পারাঃ পবিত্র কুরআনে মোট ৩০ টি পারা
বা অধ্যায় রয়েছে। এই পারাগুলোর মাধ্যমে ১১৪ টি সূরা ভাগ করে দেয়া
হয়েছে। সূরাগুলো বিভিন্ন আকারের হলেও কুরআনের পারাগুলো প্রায় সমান
আকারের। কুরআন মুখস্থকরণের ক্ষেত্রে সাধারণতম পারা অনুযায়ী শিক্ষা করানো
হয়। যেসকল স্থানে সমগ্র কুরআন পাঠের আয়োজন করা হয় সেখানেও এই
পারা
অনুযায়ী করা হয়।আদেশমুলক আয়াত= ১০০০
নিষেধমুলক আয়াত= ১০০০
ভীতিমুলক আয়াত= ১০০০
প্রতিজ্ঞামুলক আয়াত= ১০০০
দৃষ্টান্তমুলক আয়াত=১০০০
ইতিহাসমুলক আয়াত= ১০০০
প্রশংসামুলক আয়াত= ২৫০
পুর্ণতামুলক আয়াত=১০০
উদ্দেশ্যমুলক আয়াত=২৫০
অন্যান্য= ৬৬
মোট= ৬৬৬৬[১১]
বিভিন্ন সুরা ও আয়াতের খেতাব
সুরা রহমান = কুরানের মুকুট
সুরা বাক্বারা = কুর'আনের সিংহাসন
সুরা ইয়াসিন = কুর'আনের মন
সুরা ফাতেহা = কুর'আনের জননী
আয়াতুল কুরসী =কুর'আনের বন্ধু
বিভাজন: হিজ্ব বা মানজিল
হিজ্ব বা মানজিল হচ্ছে কুরআনের প্রথম সূরা (সূরা ফাতিহা) ব্যাতীত অন্য সূরাগুলো নিয়ে করা একটি শ্রেণী। হিজ্ব মুফাস্সিল একটি গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য বহন করা। এতে ৭ টি মানজিলের মাধ্যমে সবগুলো সূরাকে একসাথে করা হয়েছে। মানজিলগুলো হচ্ছে:
মানজিল ১ = ৩ টি সূরা, যথা, ২—৪
মানজিল ২ = ৫ টি সূরা, যথা, ৫—৯
মানজিল ৩ = ৭ টি সূরা, যথা, ১০—১৬
মানজিল ৪ = ৯ টি সূরা, যথা, ১৭—২৫
মানজিল ৫ = ১১ টি সূরা, যথা, ২৬—৩৬
মানজিল ৬ = ১৩ টি সূরা, যথা, ৩৭—৪৯
মানজিল ৭ = ৬৫ টি সূরা, যথা, ৫০—১১৪
কুরআনের সূরাসমূহের তালিকা
কুরআনে ১১৪টি সূরা রয়েছে। এগুলো হলো:
১. আল ফাতিহা (সূচনা)
২. আল বাকারা (বকনা-বাছুর)
৩. আল ইমরান (ইমরানের পরিবার)
৪. আন নিসা (নারী)
৫. আল মায়িদাহ (খাদ্য পরিবেশিত টেবিল)
৬. আল আনআম (গৃহপালিত পশু)
৭. আল আরাফ (উচু স্থানসমূহ),
৮. আল আনফাল (যুদ্ধে-লব্ধ ধনসম্পদ),
৯. আত তাওবাহ্ (অনুশোচনা),
১০. ইউনুস (নবী ইউনুস),
১১. হুদ (নবী হুদ),
১২. ইউসুফ (নবী ইউসুফ),
১৩. আর রা'দ (বজ্রপাত),
১৪. ইব্রাহীম (নবী ইব্রাহিম),
১৫. আল হিজর (পাথুরে পাহাড়),
১৬. আন নাহল (মৌমাছি),
১৭. বনী-ইসরাঈল (ইহুদী জাতি),
১৮. আল কাহফ (গুহা),
১৯. মারইয়াম (মারইয়াম (ঈসা নবীর মা))
২০. ত্বোয়া-হা (ত্বোয়া-হা),
২১. আল আম্বিয়া (নবীগণ),
২২. আল হাজ্জ্ব (হজ্জ),
২৩. আল মু'মিনূন (মুমিনগণ),
২৪. আন নূর (আলো),
২৫. আল ফুরকান (সত্য মিথ্যার পার্থক্য নির্ধারণকারী গ্রম্থ),
২৬. আশ শুআরা (কবিগণ),
২৭. আন নম্ল (পিপীলিকা),
২৮. আল কাসাস (কাহিনী),
২৯. আল আনকাবূত (মাকড়শা),
৩০. আর রুম (রোমান জাতি),
৩১. লোক্মান (একজন জ্ঞানী ব্যাক্তি),
৩২. আস সেজদাহ্ (সিজদা),
৩৩. আল আহ্যাব (জোট),
৩৪. সাবা (রানী সাবা/শেবা),
৩৫. ফাতির (আদি স্রষ্টা),
৩৬. ইয়াসীন (ইয়াসীন),
৩৭. আস ছাফ্ফাত (সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো),
৩৮. ছোয়াদ (আরবি বর্ণ),
৩৯. আয্-যুমার (দলবদ্ধ জনতা),
৪০. আল মু'মিন (বিশ্বাসী)
৪১. হা-মীম সেজদাহ্ (সুস্পষ্ট বিবরণ),
৪২. আশ্-শূরা (পরামর্শ),
৪৩. আয্-যুখরুফ (সোনাদানা),
৪৪. আদ-দোখান (ধোঁয়া),
৪৫. আল জাসিয়াহ (নতজানু),
৪৬. আল আহ্ক্বাফ (বালুর পাহাড়),
৪৭. মুহাম্মদ (নবী মুহাম্মদ),
৪৮. আল ফাত্হ (বিজয়, মক্কা বিজয়),
৪৯. আল হুজুরাত (বাসগৃহসমুহ),
৫০. ক্বাফ (ক্বাফ),
৫১. আয-যারিয়াত (বিক্ষেপকারী বাতাস),
৫২. আত্ব তূর (পাহাড়),
৫৩. আন-নাজম (তারা),
৫৪. আল ক্বামার (চন্দ্র)
৫৫. আর রাহমান (পরম করুণাময়)
৫৬. আল ওয়াক্বিয়াহ্ (নিশ্চিত ঘটনা)
৫৭. আল হাদীদ (লোহা)
৫৮. আল মুজাদালাহ্ (অনুযোগকারিণী),
৫৯. আল হাশ্র (সমাবেশ),
৬০. আল মুম্তাহিনাহ্ (নারী, যাকে পরীক্ষা করা হবে),
৬১. আস সাফ (সারবন্দী সৈন্যদল),
৬২. আল জুমুআহ (সম্মেলন/শুক্রবার),
৬৩. আল মুনাফিকূন (কপট বিশ্বাসীগণ),
৬৪. আত তাগাবুন (মোহ অপসারণ),
৬৫. আত ত্বালাক (তালাক),
৬৬. আত তাহ্রীম (নিষিদ্ধকরণ),
৬৭. আল মুল্ক (সার্বভৌম কতৃত্ব),
৬৮. আল ক্বলম (কলম),
৬৯. আল হাক্কাহ (নিশ্চিত সত্য),
৭০. আল মাআরিজ (উন্নয়নের সোপান),
৭১. নূহ (নবী নূহ)
৭২. আল জ্বিন (জ্বিন সম্প্রদায়)
৭৩. আল মুয্যাম্মিল (বস্ত্রাচ্ছাদনকারী)
৭৪. আল মুদ্দাস্সির (পোশাক পরিহিত),
৭৫. আল ক্বিয়ামাহ্ (পুনরু্ত্তান),
৭৬. আদ দাহ্র (মানুষ),
৭৭. আল মুরসালাত (প্রেরিত পুরুষগণ),
৭৮. আন্ নাবা (মহাসংবাদ),
৭৯. আন নাযিয়াত (প্রচেষ্টাকারী),
৮০. আবাসা (তিনি ভ্রুকুটি করলেন),
৮১. আত তাক্ভীর (অন্ধকারাচ্ছন্ন),
৮২. আল ইন্ফিতার (বিদীর্ণ করা),
৮৩. আত মুত্বাফ্ফিফীন (প্রতারণা করা),
৮৪. আল ইন্শিকাক (খন্ড-বিখন্ড করণ),
৮৫. আল বুরুজ (নক্ষত্রপুন্জ),
৮৬. আত তারিক্ব (রাতের আগন্তুক),
৮৭. আল আ'লা (সর্বোন্নত),
৮৮. আল গাশিয়াহ্ (বিহ্বলকর ঘটনা),
৮৯. আল ফাজ্র (ভোরবেলা),
৯০. আল বালাদ (নগর),
৯১. আশ শামস (সূর্য),
৯২. আল লাইল (রাত্রি),
৯৩. আদ দুহা (পূর্বান্হের সুর্যকিরণ),
৯৪. আল ইনশিরাহ (বক্ষ প্রশস্তকরণ),
৯৫. আত ত্বীন (ডুমুর),
৯৬. আল আলাক (রক্তপিন্ড),
৯৭. আল ক্বাদর (মহিমান্বিত),
৯৮. আল বাইয়্যিনাহ (সুস্পষ্ট প্রমাণ),
৯৯. আল যিল্যাল (ভূমিকম্প),
১০০. আল আদিয়াত (অভিযানকারী),
১০১. আল ক্বারিয়াহ (মহাসংকট),
১০২. আত তাকাসুর (প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা),
১০৩. আল আছর (সময়),
১০৪. আল হুমাযাহ (পরনিন্দাকারী),
১০৫. আল ফীল (হাতি),
১০৬. কুরাইশ (কুরাইশ গোত্র),
১০৭. আল মাউন (সাহায্য-সহায়তা),
১০৮. আল কাওসার (প্রাচুর্য),
১০৯. আল কাফিরুন (অবিশ্বাসী গোষ্ঠী),
১১০. আন নাসর (স্বর্গীয় সাহায্য),
১১১. আল লাহাব (জ্বলন্ত অংগার),
১১২. আল ইখলাস (একত্ব)
১১৩. আল ফালাক (নিশিভোর)
১১৪. আন নাস (মানবজাতি)
সাংখ্যিক তাৎপর্য
'পবিত্র কোরআন সম্পর্কিত তথ্যাবলী'
১ মোট "পারা" ৩০ টি
২ মোট "সূরা" ১১৪ টি
৩ মোট "সিজদা" ১৪ টি
৪ মোট "রুকু" ৫৪০ টি
৫ মোট "অক্ফ ১,০৫,৬৪৮ টি
৬ মোট "তাশদীদ ১,২৫২ টি
৭ মোট "মদ্ ১,৭৭১ টি
৮ মোট "নোক্তা ১,০৬,১৮৮ টি
৯ মোট "পেশ ৮,৮০৪ টি
১০ মোট "জের ৩৯,৫৮২ টি
১১ মোট "যবর ৫৩,২৪২ টি
১২ মোট "আয়াত ৬,৬৬৬ টি
১৩ মোট "হরফ ৩,৫০,১২৭ টি
১৪ মোট "আলীফ ৪৮,৮৭২ টি
১৫ মোট "বা ১১,১২৮ টি
১৬ মোট "তা" ১,১৯৯ টি
১৭ মোট "ছা" ১,২৭৬ টি
১৮ মোট "জ্বীম" ৩,২৭৩ টি
১৯ মোট "হা" ৭৭৩ টি
২০ মোট "খা" ২,৪১৬ টি
২১ মোট "দাল" ৫,৬৪২ টি
২২ মোট "জাল ৪,৬৯৭ টি
২৩ মোট "রা" ১,২৮৯ টি
২৪ মোট "যোয়া" ১,৫৯০ টি
২৫ মোট "ছীন" ৫,৮৯০ টি
২৬ মোট "শীন" ২,২৫৩ টি
২৭ মোট "ছোয়াদ ২,০১৩ টি
২৮ মোট "দোয়াত"১,৬০৭ টি
২৯ মোট "তোয়া" ১,২৭৪ টি
৩০ মোট "জোয়া" ৮৪৬ টি
৩১ মোট "আইন" ৯২,২০০ টি
৩২ মোট "গাইন" ২,২০৮ টি
৩৩ মোট "ফা" ৮,৪৯৯ টি
৩৪ মোট "ক্কাফ" ৬,৮১৩ টি
৩৫ মোট "কাফ" ৯,৫১২ টি
৩৬ মোট "লাম" ৩,৪৩২ টি
৩৭ মোট "মীম" ২৬,৫৩৫ টি
৩৮ মোট "নূন" ২৬,৫৫০ টি
৩৯ মোট "ওয়াও" ২৫,৫৩৬ টি
৪০ মোট "হা" ১৯,০৬০ টি
৪১ মোট "লাম-আলীফ" ৩,৭২০ টি
৪২ মোট "হামজা" ৪,১১৫ টি
৪৩ মোট "ইয়া" ২৫,৯১৯ টি
সাধারণ জ্ঞান
প্রশ্ন : কুরআন শব্দের অর্থ কি?
উত্তর : পঠিত, জমা করা।
প্রশ্ন : আল কুরআনের আলোচ্য বিষয় ও উদ্দেশ্য কি?
উত্তর : আলোচ্য বিষয় সরল সঠিক পথ এবং উদ্দেশ্য হেদায়াত।
প্রশ্ন : আল কুরআন কোথায় সংরক্ষিত আছে?
উত্তর : লৌহে মাহফুজে সংরক্ষিত আছে।
প্রশ্ন : সর্ব প্রথম আল কুরআন কোথায় কখন অবতীর্ণ হয়?
উত্তর : হেরা গুহায় ৬ আগস্ট ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে।
প্রশ্ন : জামিউল কুরআন কাকে বলা হয়?
উত্তর : হযরত উসমান গনী রা.কে।
প্রশ্ন : সর্ব প্রথম আল কুরআনের পূর্ণাঙ্গ কোন সূরা নাযিল হয়?
উত্তর : সূরায়ে ফাতিহা।
প্রশ্ন : আল কুরআনের সর্ব প্রথম হাফিজ কে?
উত্তর : মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা:
প্রশ্ন : কুরআন নাযিল হতে কতটুকু সময় লেগেছে?
উত্তর : ২২ বছর ৫ মাস ১৪ দিন।
প্রশ্ন : আল কুরআনের সর্বমোট আয়াত সংখ্যা কত?
উত্তর : ৬ হাজার ৬শত ৬৬ আয়াত।
প্রশ্ন : মক্কায় সর্ব প্রথম কোন সূরা নাযিল হয়?
উত্তর : সূরায়ে আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত।
প্রশ্ন : মক্কায় সর্বশেষ কোন ছূরা নাযিল হয়?
উত্তর : সূরায়ে আনকাবুত।
প্রশ্ন : মদিনায় সর্ব প্রথম ও সর্বশেষে কোন সূরা নাযিল হয়?
উত্তর : সর্ব প্রথম সূরায়ে বাকারা, সর্বশেষ সূরায়ে মায়েদা।
প্রশ্ন : আল কুরআনের সর্ব প্রথম কোন ভাষায় কে অনুবাদ করেন?
উত্তর : লেট্রিন ভাষায়, রর্বার্ট ক্যাটেনেনিছা।
প্রশ্ন : আল কুরআনের সর্ব প্রথম বাংলায় অনুবাদ করেন কে?
উত্তর : মাওলানা আমীর উ্দদীন বশুনিয়া ১৮০৮ সালে।
প্রশ্ন : সর্ব প্রথম পুস্তুক আকারে বাংলায় কুরআনের অনুবাদ করেন কে?
উত্তর : গ্রীস চন্দ্র সেন ১৮৮৬ সালে।
প্রশ্ন : সর্ব প্রথম কোন ভাষায়, কত সালে কুরআনের অনুবাদ করা হয়।
উত্তর : ১১৪৬ সালে লেট্রিন ভাষায়।
প্রশ্ন : আল কুরআনে সবচেয়ে বেশি কোন নবীর নাম এসেছে?
উত্তর : হযরত মুসা আ.।
প্রশ্ন : আল কুরআনে কত জন নবীর নাম উল্লেখ আছে?
উত্তর : ২৮ জন নবীর নাম।
প্রশ্ন : আল কুরআনে কোন কোন ফিরিশতার নাম উল্লেখ আছে?
উত্তর : (১) জিব্রাঈল (২) মিকাইল (৩) হারুত (৪) মারুত
প্রশ্ন : কুরআনে মুহাম্মাদ সা. নামটি কতবার এসেছে?
উত্তর : ৪বার (এবং আহমাদ নামটি ১বার এসেছে)
প্রশ্ন : আল কুরআনে প্রকাশ্যে একমাত্র কোন রমনীর নাম এসেছে?
উত্তর : ঈসা আ. এর মাতা হযরত মারয়াম আ.।
প্রশ্ন : আল কুরআনে একমাত্র কোন সাহাবীর নাম উল্লেখ আছে?
উত্তর : রাসূল সা. এর পুষ্যপুত্র হযরত যায়েদ ইবনে হারিছ রা. ।
প্রশ্ন : আল কুরআনে কোন কোন কাফিরের নাম উল্লেখ আছে?
উত্তর : ফেরআউন, হামান, আবু লাহাব, কারুণ, ছারেমী, আজর এবং ইবলিস।
প্রশ্ন : আল কুরআন কোন কোন মুর্তির নাম আছে।
উত্তর : লাত, উজ্জা, মানাত, ওয়াদ, ছয়া, ইয়াগুছ, ইয়াউক এবং নাছারা।
প্রশ্ন : আল কুরআনে কতটি সমপ্রদায়ের নাম আছে?
উত্তর : ১৪টি সমপ্রদায়ের নাম।
প্রশ্ন : আল কুরআনে কোন কোন মসজিদের নাম উল্লেখ আছে?
উত্তর মসজিদে হারাম, মসজিদে নববী, মসজিদে কুবা, মসজিদে আকসা, মসজিদে জিরার।
প্রশ্ন : আল কুরআনে কোন কোন পাহাড়ের নাম আছে?
উত্তর : তুর পাহাড়, সাফা, মারওয়া, আরাফাত, জুদি পাহাড়।
প্রশ্ন : আল কুরআনে কোন কোন কীট প্রতঙ্গের নাম আছে?
উত্তর : মৌমাছি, পিপিলিকা, মাকড়শা।
প্রশ্ন : কোন সূরায় মীম এবং কোন সূরায় বা বর্ণ নেই?
উত্তর : সূরায়ে কাওছারে �মীম� নেই। সূরায়ে এখলাছে বা নেই।
প্রশ্ন : একমাত্র কোন সূরা যার মধ্যে বিসমিল্লাহ দুবার এসেছে?
উত্তর : সূরায়ে নামলে।
প্রশ্ন : কোন সূরাকে কুরআনের জননী বলা হয়?
উত্তর : সূরায়ে ফাতেহাকে।
প্রশ্ন : আল কুরআনের হারকাত এবং নুকতার প্রচলন কে কখন করেন?
উত্তর : হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ ৭৫ হিজরীতে।
প্রশ্ন : আল কুরআনকে ৩০ পারায় বিভক্ত করেন কে?
উত্তর : হযরত উসমান রা.
প্রশ্ন : আল কুরআনের নাম কি কি?
উত্তর : (১) আল কুরআন, (২) আল ফুরকান, (৪) আত তানযীল (৪) আজ যিফর।
প্রশ্ন : আল কুরআনের অবতরণ সমাপ্ত হয় কখন?
উত্তর : ১০ হিজরীর সফর মাসে।
This comment has been removed by the author.
ReplyDeleteপ্রশ্ন : আল কুরআনের সর্বমোট আয়াত সংখ্যা কত?
Deleteউত্তর : ৬ হাজার ৬শত ৬৬ আয়াত।
এটি ভুল
আল কোরআন একাডেমী লন্ডন থেকে প্রকাশিত পবিত্র কোরআনের পূর্ণাঙ্গ সহজ সরল বাংলা অনুবাদ জনাব হাফেজ মুনির উদ্দীন আহমদ সাহেবের কিতাব থেকে যা পেয়েছি তিনি তার কিতাবের ১৭ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন:
Deleteজান্নাতের ওয়াদা ১০০০, জাহান্নামের ভয় ১০০০, নিষেধ ১০০০, আদেশ-১০০০, উদাহরন-১০০০, কাহিনী-১০০০, হারাম-২৫০, হালাল-২৫০, পবিত্রতা-১০০ এবং বিবিধ-৬৬ সর্বমোট ৬৬৬৬ আয়াত।
হযরত আয়েশা রা. এর মতে ৬৬৬৬, হযরত ওসমা রা. মতে ৬২৫০, হযরত আলী রা. মতে ৬২৩৬, হযরত ইবনে মাসউদ রা. মতে ৬২১৮, মক্কার গননা মতে ৬২১২, বসরার গণনা মতে ৬২২৬, ইরাকের গণনা মতে ৬২১৪টি আয়াত আমাদের মুসলমাদের ধর্মগ্রন্থে বিদ্যমান। ঐতিহাসিকদের মতে আয়েশা রা. গণনাই বেশী প্রসিদ্ধ লাভ করেছে।
http://bangla-website.blogspot.com/2019/06/all-bangla-islamic-website-list.html?m=1
Deleteসর্বপ্রথম কত সালে এবং কোন দেশে কোরাআন শরীফ মুদ্রন হয়?
ReplyDeleteকুরআনের সূরা আল-হিজরের (১৫ নং সূরা), ৯ নং আয়াতের কথা উল্লেখ করে থাকে, এবং তা হল:
Delete“ আমি স্বয়ং এ উপদেশগ্রন্থ অবতরণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।[৬] ”
মুদ্রন যন্ত্র আবিষ্কৃত হওয়ার পর সর্বপ্রথম জার্মানীর হামবুর্গ শহর থেকে হিজরী ১১১৩ সনে কোরান শরিফ মুদ্রিত হয়। কিন্তু মুসলীম জাহানের কাছে তা গ্রহনযোগ্য বলে বিবেচিত হয়নি। মুদ্রিত সেই কোরানের এক কপি মিশরের দারুল কুতুবে আজও রক্ষিত আছে। মুসলীমদের মাঝে সর্ব প্রথম কোরান মুদ্রন করেন, মওলায়ে ওসমান, ১৭৮৭ খ্রীষ্টাব্দে জার্মানীর সেন্টপিটাস বুর্গ শহরে। ১৮২৬ খ্রীষ্টাব্দে ইরাণের তেহরাণ শহর থেকেও কোরান মুদ্রিত হয়। এর পর থেকেই পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলেও মুদ্রিত কোরান শরীফ ব্যাপক ভাবে চালু হয়। (তাফসীরে মারেফুল কোরআন) মুদ্রন যন্ত্র আবিষ্কারের আগে মুসলীম ওলামাগন অত্যন্ত ধৈর্য্য ও নিষ্ঠার সাথে হাতেই কোরান নকল করতেন। বাদশা নাসীরুদ্দীন ও কোরান নকল করতেন বলে বর্ণনায় পাওয়া যায়। মিশরের ন্যশনাল লাইব্রেরীতে হিজরী ৬৮ সনের (৬৮৮খৃঃ) হাতে লেখা কোরান সহ ১ম ও ২য় শতাব্দীর হাতে লেখা কোরান রক্ষিত আছে। ১৯৮৮ খ্রীষ্টব্দের মার্চ, এপ্রিল,মে মাসে ঢাকায় প্রকাশিত “ডেইলী বাংলাদেশ অবজারভার” এর বিভিন্ন সূত্র থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের লোকজনের কাছে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম কোরানের সন্ধান পাওয়া যায়।সংগ্রহ অনুযায়ী বর্তমান বিশ্বের ক্ষুদ্রতম কোরানটি লণ্ডনের ব্রিটীশ লাইব্রেরীতে রক্ষিত আছে, যার আয়তন- দৈর্ঘ ১.২ সেন্টি মিটার ও প্রস্থ ১.১ সেন্টি মিটার। (ইসলাম কোরান ও হাদিশ, জনাব সাইদুল হোসেন)
ধন্যবাদ ভাই
ReplyDeleteকোন সূরাতে উনিশ এর ফর্মূলা রয়েছে?
ReplyDeleteএই লিঙ্ক টি ভিজিট করুন
Deleteআল কুরআন এবং ১৯ এর প্রকৌশল
https://islamdharmo.blogspot.com/2017/10/blog-post.html
This comment has been removed by the author.
ReplyDeleteকুরআন শরীফে মোট আয়াত ৬২৩৬ টি
ReplyDeleteপ্রবিত্র কুরআন শরীফে প্রত্যেকটা সূরার আয়াত সংখ্যা দেওয়া আছে। আপনি চাইলে সূরার আয়াত গুলো যোগ করে দেখতে পারেন, তাহলেই জেনে যাবেন আসলেই কুরআন শরীফে কত আয়াত আছে।
ReplyDeleteআমি এডমিন কে অনুরোধ করবো এই রকম একটা সহজ ভুলগুলো সংশোধন করার জন্য
ReplyDeleteআমি এডমিন কে অনুরোধ করবো এই রকম একটা সহজ ভুলগুলো সংশোধন করার জন্য
ReplyDeleteআল কোরআন একাডেমী লন্ডন থেকে প্রকাশিত পবিত্র কোরআনের পূর্ণাঙ্গ সহজ সরল বাংলা অনুবাদ জনাব হাফেজ মুনির উদ্দীন আহমদ সাহেবের কিতাব থেকে যা পেয়েছি তিনি তার কিতাবের ১৭ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন:
Deleteজান্নাতের ওয়াদা ১০০০, জাহান্নামের ভয় ১০০০, নিষেধ ১০০০, আদেশ-১০০০, উদাহরন-১০০০, কাহিনী-১০০০, হারাম-২৫০, হালাল-২৫০, পবিত্রতা-১০০ এবং বিবিধ-৬৬ সর্বমোট ৬৬৬৬ আয়াত।
হযরত আয়েশা রা. এর মতে ৬৬৬৬, হযরত ওসমা রা. মতে ৬২৫০, হযরত আলী রা. মতে ৬২৩৬, হযরত ইবনে মাসউদ রা. মতে ৬২১৮, মক্কার গননা মতে ৬২১২, বসরার গণনা মতে ৬২২৬, ইরাকের গণনা মতে ৬২১৪টি আয়াত আমাদের মুসলমাদের ধর্মগ্রন্থে বিদ্যমান। ঐতিহাসিকদের মতে আয়েশা রা. গণনাই বেশী প্রসিদ্ধ লাভ করেছে।
তবে আমি আপনার জুক্তিকেও ফেলে দিতে পারবনা কারন সরাসরি গুনলে আপনার কথাও ঠিক।
Thanks bro
Deleteসুন্দর পোষ্ট
ReplyDeleteশুকরিয়া
ReplyDeleteকুরআন শরীফে আল্লাহ নামটি কতবার আছে?
ReplyDeleteমোট কুরআনে আল্লাহ শব্দটি এসেছে: ২৮১০ বার
Deleteকোন সুরাকে পবিত্র কোরআন শরীফের অর্ধেক বলা হয়?
ReplyDeleteসূরা আররহমানের মধ্যে ফাবি আয়্যি আলাই রব্বিকুমাতুকায্যিবান কতো বার উল্যেখ আছে?
ReplyDeleteআরবি: الرحمن- মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৫৫ তম সূরা; এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৭৮ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ৩। সূরা আর রহমান মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
Deleteএই সূরায় জ্বীন ও মানব জাতিকে উদ্দেশ্য করে বারবার প্রশ্ন করা হয়েছে, "অতএব, তোমরা তোমাদের রবের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে?" এ আয়াতটি ৩১ বার রয়েছে।
কোন সূরা অবতীনের সময় জিব্রাইল এর সাথে ৭০ হাজার ফেরেশতা অবতীর্ণ হয়
ReplyDeleteসূরা আনআম
Deleteফেরেস্তাগন কতজনকে গোসল দিয়েছিলেন
ReplyDelete১ জন। সাহাবির নাম হানযালা (রাঃ)। (সাহাবিঃ যাঁরা ঈমানের সাথে নবী (সাঃ)এর সাথে সাক্ষাত লাভ করেছেন এবং ঈমানের উপর অটল থেকে মৃত্যু বরণ করেছেন তাঁদেরকে বলা হয় সাহাবী।)
Deleteকোন পারায় বেশি আয়াত আছে
ReplyDeleteসূরা বাকারা আয়াত 286
Deleteআল-কুরআন সর্বপ্রথম কোথায় একসাথে অবতীর্ণ হয়?
ReplyDeleteসূরাতুল ফাতিহাহ’ অর্থ মুখবন্ধ বা ভূমিকার সূরা। ইমাম কুরতুবী বলেন, একে ‘ফাতিহাহ’ এজন্য বলা হয় যে, এই সূরার মাধ্যমে কুরআন পাঠ শুরু করা হয়। এই সূরার মাধ্যমে কুরআনের সংকলন কাজ শুরু হয়েছে এবং এই সূরার মাধ্যমে ছালাত শুরু করা হয়’। এটি মক্কায় অবতীর্ণ ১ম ও পূর্ণাঙ্গ সূরা। এতে ৭টি আয়াত, ২৫টি কালেমা বা শব্দ এবং ১১৩টি হরফ বা বর্ণ রয়েছে। সূরাটি কুরআনের মূল, কুরআনের ভূমিকা ও ছালাতের প্রতি রাক‘আতে পঠিতব্য সাতটি আয়াতের সমষ্টি ‘আস-সাব‘উল মাছানী’ নামে ছহীহ হাদীছে ও পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে। যেমন আল্লাহপাক এরশাদ করেন, وَلَقَدْ آتَيْنَاكَ سَبْعاً مِّنَ الْمَثَانِيْ وَالْقُرْآنَ الْعَظِيْمَ ‘আমি আপনাকে সাতটি বার বার পঠিতব্য আয়াত এবং মহান কোরআন দিয়েছি।’ (হিজর ১৫/৮৭)।
Deleteএটি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুওয়াত লাভের একেবারেই প্রথম যুগের সূরা
A.D পূর্ণরূপ কি?কোন সময়কে A.D ধরা হয়?
ReplyDeleteফিরিশতা ৫ জনের নাম এসেছে 'মালেক' জাহান্নামের প্রধান ফেরেশতা ।
ReplyDelete