পৃষ্ঠাসমূহ

তথাকথিত আহলে কুরআন এর পর্যালোচনা

যারা হাদিস অস্বীকার করে তথা তথাকথিত আহলে কুরআন; তাদের নাস্তিক হওয়ার সম্ভবনা 95% কারণ তারা অধিকাংশই আরবী না যানা। বাংলা বা ইংরেজী অনুবাদ পড়ে আহলে কুরআন হয়েছে :p বালাগাত, মানতিক, ফাসাহাতের জ্ঞান না রেখেও যদি তথাকথীত আহলে কুরআনরা নিজেদের আহলে কুরআন বলতে সাহস পায় তাহলে
আমার বা মুসলমানদের কিছুই বলার থাকবে না।

প্রশ্ন:  রসূলের (স:) হাদিস মানবো কেন? কুরআনে কি বলা হয়েছে যে হাদিস মানো? আর রসূলকে দেখি নি তাই অন্ধ অনুষরণ করি না।

= রসূলের হাদিস মানবো এই কারণে যে রসূলের ইত্যেবা এবং ইতআত ছাড়া জান্নাত লাভ সম্ভব নয়।
যে আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে অমান্য করে, তার জন্যে রয়েছে জাহান্নামের অগ্নি। তথায় তারা চিরকাল থাকবে। [সূরাআল জ্বিনঃ ২৩]
হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ মান্য কর এবং শোনার পর তা থেকে বিমুখ হয়ো না। [আল-আনফাল: ২০]
কি জবাব দিবেন এই আয়াতগুলোর?? এখন রসূলকে কিভাবে মান্য করবেন?? তিনি তো আমাদের মাঝে জীবিত নেই।
জালেম সেদিন আপন হস্তদ্বয় দংশন করতে করতে বলবে, হায় আফসোস! আমি যদি রসূলের সাথে পথ অবলম্বন করতাম। হায় আমার দূর্ভাগ্য, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম।আমার কাছে উপদেশ আসার পর সে আমাকে তা থেকে বিভ্রান্ত করেছিল। শয়তান মানুষকে বিপদকালে ধোঁকা দেয়। [আল-ফুরকানঃ ২৭-২৯]
কিভাবে রসুলের পথ অবলম্বন করবেন???
 হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রসূলের (সাঃ) আনুগত্য কর এবং নিজেদের কর্ম বিনষ্ট করো না। [সূরা মুহাম্মদঃ ৩৩]কিভাবে অনুগত্য করবেন??
আবার বলতে গিয়ে ভুল করবেন না যে এই আয়াতগুলো শুধু মাত্র তখনকার যুগের জন্য প্রজয্য ছিল। যদি তাই হতো তকে তিনি রহমাতুল্লিল আলামিন হতেন না। "আমি আপনাকে (হে মুহাম্মদ) বিশ্ববাসীর জন্যে রহমত স্বরূপই প্রেরণ করেছি। [সূরা আল-আম্বিয়াঃ ১০৭]"


বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু। [৩.সূরা আল-ইমরানঃ৩১]

এখানে কি শুধু মাত্র আল্লাহকে বা কুরআনকে অনুষরণ করার কথা বলা হয়েছে???

এবার প্রশ্নের বাকী অংশের আসি; ভাল কথা, কুরআনে হাদিস মানার কথা সরাসরী বলা না হয়ে থাকলেও তাকে  অনুষরণ করার কথা বলা হয়েছে। আর রসূলকে না দেখে যদি অনুষরণ না যায় তাহলে আল্লাহকে না দেখে কুরআনকে কেন মানার প্রতি জোর দাও?? আমরা আল্লাহকে না দেখেই আল্লাহর কথা মানি এবং রসূলকে না দেখেও রসূলের কথা মানি।

প্রশ্ন: ইত্ত্যেবা করতে তো ব্যাক্তি শর্ত?

=কিন্তু ইতআত করতে তো ব্যাক্তি উপস্থিত শর্ত নয়। তাহলে কেন আপনারা মুনকারিন হাদিস???

প্রশ্ন: বলতে পারেন যে অনেক হাদিসে কিছু অস্বাভাবিক কথা আছে যে গুলো নবী হিসেবে নবী (স:) করতে পারেন না, হোক সেটা বুখারী বা মুসলিমের হাদিস?

= কিন্তু নবী (স:) তো নির্বাচিত ব্যাক্তি। তিনি অনেক কিছুই করতে পারেন যা সাধারণ মানুষ করতে পারে না। সবাই নাসায় চাকুরী পাবে এটাতো নয়। অযু ছাড়া ফজরের সালাত আদায় করতে পারেন এমনকি ফরজ গোসল ছাড়া ফরজ রোজাও রাখতে পারে আবার ভুল বশত ফরজ গোসল ছাড়া ফজরের সালাতও অংশগ্রহন করতে পারেন। এটা ভুলে গেলে চলবে না যে এই সব ভুল যদি আল্লাহ না করাতেন তাহলে ঐ ধরণের বিধান রচিত হতো না। নবী রাসূলগন পাপ মুক্ত সেক্ষেত্রে তাদের ভুলকে ঘটা করে বলার বা সেই সমস্ত হাদিস দেখিয়ে অন্য হাদিসকে অস্বীকার করার কোন সুজোগ নেই। এটা মুর্খতারই নামান্তন। আর ঐ সমস্ত হাদিস দ্বারা কি সাধারণ মানুষের জন্য ঐ আমল করা জায়েয বুঝায়??

এবার আমার পক্ষ থেকে কিছু প্রশ্ন আপনাদের প্রতি

প্রশ্ন ১: হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রসূলের (সাঃ) আনুগত্য কর এবং নিজেদের কর্ম বিনষ্ট করো না। [সূরা মুহাম্মদঃ ৩৩]

এই আয়াতে আল্লাহ জাল্লাহ শানুহকে এবং রসূল (সা:) কে অনুগত্য করার কথা বলা হয়েছে; কিভাবে করবেন??? আল্লাহকেও দেখেন নি এবং রাসূল কেও না। আল্লাহর অনুগত্য যদি কুরআনকে অনুগত্য হয় হয় তবে রসূলের ক্ষেত্রে এটা প্রজেজ্য নয় কেন???

প্রশ্ন ২: যদি সূরা বাকারার ৮৫ নং আয়াতের (তবে কি তোমরা গ্রন্থের কিয়দংশ বিশ্বাস কর এবং কিয়দংশ অবিশ্বাস কর? ) উপর বিশ্বাস করে থাকেন তবে সুরা আহযাব: ৫৬ নং আয়াতের (আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি রহমত প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরা নবীর জন্যে রহমতের তরে দোয়া কর এবং তাঁর প্রতি সালাম প্রেরণ কর। [সুরা আহযাব: ৫৬]) উপর আমল কিভাবে করবেন?? কি দোয়া করবেন??? কিভাবে সালাম প্রেরন করবেন??? হাদিসতো আপনারা মানেন না??? তাহলে কি আপনারা সম্পুর্ণ কুরআন মানছেন না??

প্রশ্ন ৩: সুরা আহযাব: ৫৬ নং আয়াতের আরবী সালাত শব্দটি এসেছে, তাহলে কি আল্লাহ এবং তার ফেরেস্তাগন নবী (স:) এর উপর সালাত আদায় করে?

প্রশ্ন ৪: "বস্তুতঃ আমি একমাত্র এই উদ্দেশ্যেইরসূল প্রেরণ করেছি, যাতে আল্লাহর নির্দেশানুযায়ী তাঁদের আদেশ-নিষেধ মান্য করা হয়। আর সেসব লোকযখন নিজেদের অনিষ্ট সাধন করেছিল, তখন যদি আপনার কাছে আসত অতঃপর আল্লাহরনিকট ক্ষমা প্রার্থনা করত এবং রসূলও যদি তাদেরকে ক্ষমা করিয়ে দিতেন। অবশ্যই তারাআল্লাহকে ক্ষমাকারী, মেহেরবানরূপে পেত। [সূরা আন-নিসাঃ ৬৪]"

এখানে রসূল (স:) এর ক্ষমা করার দরকার কি? যেখানে আল্লাহর ক্ষমতা আছে মাফ করে দেওয়ার????

প্রশ্ন ৫: হাদিসে কুদসি সম্পর্কে কি বলবে?? এখানেতো সরাসরী আল্লাহর কথা যা নবী (স:) এর হাদিস দ্বারা প্রকাশিত।

বি:দ্র: ৩নং প্রশ্নটির উত্তর শুধু মাত্র আহলে কুরআনরাই দিবেন। কারণ তারাতো কুরআন রিসার্চ করেই হাদিসকে অস্বীকার করে। একটু দেখি তাদের দৌরের স্পিড কত।
এই হলো মানুষের জন্য বর্ণনা। আর যারা ভয় করে তাদের জন্য উপদেশবাণী। [সূরা আল-ইমরানঃ ১৩৮]

কুরআন কি পরিপূর্ণ কিতাব? যদি হয় তাহলে এটিকে আবার পরিপূর্ণ করতে হাদীসের দরকার কেন ?


প্রশ্নটা এমন যে ভাত খাবে এতে পানি খাওয়ার কি দরকার? অথবা পড়াশুনা করবে এতে আবার কলম-খাতার কি দরকার? দয়া করে হাসবেন না। এগুলো হলো হাবলামি মার্কা জবাব।

এবার আসি মূলকথায়,

[৬: আনআম-৩৮] "আমি কোন কিছু লিখতে ছাড়িনি"

[৬: আনআম-৫৯] "স্থলে ও জলে যা আছে, তিনিই জানেন। কোন পাতা ঝরে না; কিন্তু তিনি তা জানেন। কোন শস্য কণা মৃত্তিকার অন্ধকার অংশে পতিত হয় না এবং কোন আর্দ্র ও শুস্ক দ্রব্য পতিত হয় না; কিন্তু তা সব প্রকাশ্য গ্রন্থে রয়েছে।"

[১০: ইউনুস-৬১] " আর তোমার পরওয়ারদেগার থেকে গোপন থাকে না একটি কনাও, না যমীনের এবং না আসমানের। না এর চেয়ে ক্ষুদ্র কোন কিছু আছে, না বড় যা এই প্রকৃষ্ট কিতাবে নেই।"

[১৬: নাহল-৮৯] "আমি আপনার প্রতি গ্রন্থ নাযিল করেছি যেটি এমন যে তা প্রত্যেক বস্তুর সুস্পষ্ট বর্ণনা, হেদায়েত, রহমত এবং মুসলমানদের জন্যে সুসংবাদ।"

[১৭: বনি-ইস্রাইল-৮৯] "আমি এই কোরআনে মানুষকে বিভিন্ন উপকার দ্বারা সব রকম বিষয়বস্তু বুঝিয়েছি। কিন্তু অধিকাংশ লোক অস্বীকার না করে থাকেনি। "

[২৭: নমল-৭৪,৭৫] "আকাশে ও পৃথিবীতে এমন কোন গোপন ভেদ নেই, যা সুস্পষ্ট কিতাবে না আছে। "

এছাড়া আরো অনেক আয়াতের মধ্যে আল্লাহ বলেছেন আমি কিতাবে সব কিছূই লিপিবদ্ধ করে দিয়েছি। তার মানে কুরআন পরিপূর্ণ। আমি ১০০% এক মত যে কুরআন পরিপূর্ণ। কিন্তু আরো একটি কিতাব রয়েছে যেটা লাওহে মাহফুজে, আল্লাহ পাক বলেন"আল্লাহ যা ইচ্ছা মিটিয়ে দেন এবং বহাল রাখেন এবং মূলগ্রন্থ তাঁর কাছেই রয়েছে। [সুরা রা’দ: ৩৯]" আরো বলেন "বরং এটা মহান কোরআন, লওহে মাহফুযে লিপিবদ্ধ।[৮৫:সুরা বুরূজ: ২১,২২]"

তাহলে কি আল্লাহ পাক দুনিয়ার কুরআনের মধ্যে অনেক কিছুই গোপন করেছেন যা মূল কিতাবে পরিস্কার ভাবে আছে? আল্লাহই ভাল জানেন, আমার চিন্তা এর থেকে আর বেশিদূর যেতে পারছে না।

কিন্তু এখানে চিন্তা করার সুযোগ রয়েছে, কারণ "এমন কোন গোপন বিষয় নেই যা সুস্পষ্ট কিতাবে না আছে"। এখন কুরআনে কি সব গোপন বিষয় লেখা হয়েছে??? যেমন মানুষের জম্ম কখন হবে? বা মৃত্যু কখন হবে? বা কোন মানুষের কি নাম হবে বা কিয়ামত কখন হবে? দুনিয়ার আকার গোলাকার? গ্রহগুলোর কাজ কি? বা তকদির? এগুলোর কোনটারই উত্তর কুরআনে দেওয়া হয়নি। এটাও দেওয়া হয়নি যে দুনিয়ায় কতজন মানুষ জম্মাবে বা কত জন কিয়ামত পর্যন্ত জীবিত থাকবে। তাহলে কি আমাদের কুরআনে সব কিছুর বর্ননা করা হয় নি??? 

:) এবার উত্তর খোজার চেস্টা করি,

হ্যা কুরআনে সব কিছুই বলা হয়েছে তবে কিছু জিনিষ সম্পুর্ণ ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে আর কিছূ জিনিষ সংক্ষিপ্ত ভাবে বর্ণনা করা হয়েছ। যেমন মানুষ সৃস্টির রহস্য আল্লাহ পাক সম্পূর্ন ভাবে বর্ণনা করেছেন। আবার মিরাজের ঘটনা একটি মাত্র আয়াতের মাধ্যমে বর্ণনা করেছেন। যেটা খুবই সংক্ষিপ্ত আকারে, মূলতো এটাকে ইঙ্গিত বলা যায়। তাহলে এই সংক্ষিপ্ত আয়াতগুলো দ্বারা এটাকি প্রমাণ করা যায় যে কুরআন অসম্পূর্ণ?? আসলে তা নায়, নবী (স:) তার হাদিস দ্বারা তা প্রকাশ করে দিয়েছেন। অনেক বিষয় আছে যা শুধু মাত্র ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যেমন:

১.  দাড়ী রাখার ব্যাপারে শুধু মাত্র ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে (20:94) আর হাদিসে এর বিষয় ভাবে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।(বুখারী 5473 নং হাদিসে)

২. কুরআনে বলা হয়েছে "সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ। [সুরা ইয়া-সীন: ৩৮]"

আহলে কুরআনদের কাছে আমার প্রশ্ন এখানে সূর্য কোথায় যায়?? হাদিস ছাড়া কি জবাব দিতে পারবেন??

হাদিসটি দেখুন,মুহাম্মদ ইব্ন ইউসুফ(র)...............আবূ যার (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সাঃ)সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় আবূ যার (রা)-কে বললেন, তুমি কি জান, সূর্য কোথায় যায়? আমি বললাম, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলইভাল জানেন। তিনি বললেন, তা যেতে যেতে আরশের নীচেগিয়ে সিজদায় পড়ে যায়। এরপর সে পুনঃ উদিত হওয়ার অনুমতি চায় এবং তাকে অনুমতি দেওয়াহয়। আর অচিরেই এমন সময় আসবে যে, সিজদা করবে তা কবূল করাহবে না এবং সে অনুমতি চাইবে কিন্তু অনুমতি দেওয়া হবে না। তাকে বলা হবে যে পথে এসেছ, সে পথে ফিরে যাও। তখন সে পশ্চিম দিক হতে উদিত হবে--এটাই মর্ম হলআল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ আর সূর্য গমন করে তার নির্দিষ্টগন্ত্যব্যের দিকে, এটাই পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ। (৩৬:৩৮) এই হাদীসটা পাওয়া যাবে বোখারী শরীফেরসৃষ্টির সূচনা অধ্যায়(৪৯ নং) এর ২৯৭২ নং হাদীসে। এটা ৩৬ নং সূরার ৩৮ নং আয়াতেরব্যাখ্যা।

৩. কুরআনে সালাতের ব্যাপারে বলা হয়েছে রুকু এবং সিজদার কথা, তাহলে কি শুধু মাত্র আপনি সালাত আদায় করবেন রুকু আর সিজদার মাধ্যমে??? [২২: ৭৭], [৩: ৪৩] নবী (স:) যেভাবে আদায় করেছেন সেটা কি পরিত্যাজ্য কুরআনে না থাকার কারণে??

৪. কুরআনে সরাসরী ভাবে সালাতের ৫ ওয়াক্তের কথা নেই, যা আছে সেটা নিচের আয়াতগুলো দ্বারা প্রমাণ করা যায়
 “নামায কায়েমকরো দিনের দুই প্রান্তে (অর্থাৎ ফজর ও মাগরিব) এবং কিছু রাত পার হয়ে গেলে (অর্থাৎএশা)।” (সূরা হূদ: ১১৪ )
-এই আয়াতে সরাসরী সালাতের কথা বলা হয়েছে
“আর নিজেররবের হামদ (প্রশংসা) সহকারে তাঁর তাসবীহ (পবিত্রতা বর্ণনা) করতে থাকো সূর্যোদয়েরপূর্বে (ফজর) ও সূর্যাস্তের পূর্বে (আসর) এবং রাতের সময় আবার তাসবীহ করো (এশা) আরদিনের প্রান্তসমূহে (অর্থাৎ ফজর, যোহর ও মাগরিব)” (সূরা তা-হা: ১৩০ আয়াত)
-এই আয়াতে প্রশংসাকে সালাত হিসেবে ধরে নেয়া হয়েছে কারণ সালাতের ভিতর হামদ এবং সানাহ থাকে।
“কাজেইআল্লাহর তাসবীহ করো যখন তোমাদের সন্ধ্যা হয় (মাগরিব) এবং যখন সকাল হয় (ফজর)। তাঁরইজন্য প্রশংসা আকাশসমূহে ও পৃথিবীতে এবং তাঁর তাসবীহ করো দিনের শেষ অংশে (আসর) এবংযখন তোমাদের দুপুর (যোহর) হয়।” [সূরা রূমে ১৭-১৮ আয়াত]

-এই আয়াতে তাসবীহ শব্দটি এসেছে। যারা ফেকাহ পড়েছেন তারা জানবেন যে সালাত এর আবিধানিক অর একটি অর্থ হলে তাসবিহ।
সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবানহও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী (আসর বা যোহর) নামাযের ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্তআদবের সাথে দাঁড়াও।(২.সূরা বাকারা: ২৩৮)

  এই আয়াতে মধ্যবর্তি সালাত বলতে আসর বা যোহরে কথা বলা হয়েছে। কিন্তু হাদিসে ৫ ওয়াক্ত সালাত এবং এর নিয়ম কানুন সম্পর্কে বিশধ ভাবে বলা হয়েছে।

এই ক্ষেত্রে আহলে কুরআনরা তাদের জ্ঞানের স্বলপতা এবং আরবীর প্রতি ধারণা না থাকার কারণে বা হাদিস অস্বীকার করার কারণে সালাতের ওয়াক্ত নির্বাচন করেন ৩টি যে সব আয়াতে সালাতের কথা স্পস্ট বলা হয়েছে। (সূরা হূদ: ১১৪)

৫. [৪ সুরা নিসা: ৪৩] এই আয়াতে তায়াম্মুমের কথা বলা হয়েছে "পাক-পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-তাতে মুখমন্ডল ও হাতকে ঘষে নাও।"

এখানে কি তায়াম্মুম করার সব শর্ত বর্নিত হয়েছে??? বা হাত বলতে কতটুকু বোঝানে হয়েছে তা কি বর্ণনা করা হয়েছে?? যদি না হয় তাহলে কেথা থেকে এর সমাধান নেবেন?? অবশ্যই হাদিস থেকে, দেখি সহীহ মুসলিমের হাদিস কি বলে;
.....তিনি (রাসুলুল্লাহ ﷺ )বললেন, তোমার জন্য হাত দিয়ে এরুপ করাই যথেষ্ট ছিল-এই বলে তিনি তাঁর দুই হাত একবার মাটিতে মারলেন। তারপর বাম হাত দিয়ে ডান হাত মাসেহ করলেন এবং উভয় হাতের কজির উপরিভাগ ও মুখমন্ডল মাসহ করলেন।...ই:ফা: ৭০৩
আরো অনেক বিষয় আছে যেগুলোতে কুরআন ইঙ্গিত দিয়েছেন মাত্র। অতএব এ থেকে প্রমাণিত হয় যে কুরআনে অনেক কিছু বলা হয়েছে সংক্ষিপ্ত আকারে আর হাদিসে তা নবী (স:) স্পস্ট করে বর্ণনা করেছেন। আবার অনেক কিছুই বিস্তারিত ভাবে বর্ননা করেছেন তাতে হাদিসের ব্যখ্যার প্রয়োজন নেই। যেমন ওযু করার পদ্ধতি কুরআনে সুন্দভাবে বর্ণনা করা হয়েছে কিন্তু কোন কোন কাজ করলে ওযু ভঙ্গ হয় তা সুস্পস্ট ভাবে বলা হয় নি। আল্লাহ পাক কুরআন নাযিল করেছেন সহজ ভাবে এবং কুরআন চিন্তা করার প্রয়াস দিয়েছে, ব্যাপারটা এমন যে গনিত বইতে উধাহরণ দেওয়া আছে এবং চিন্তা করার জন্য প্রশ্নমালাও দেওয়া হয়েছে। আর সেই প্রশ্নমালার উত্তর দিয়েছেন নবী (স:) এর হাদিস দ্বারা।

এত কিছু বলার পরেও যাদের মনে হয় যে হাদিস মানার প্রয়োজন নেই তারা দয়া করে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে কথা শুরু করুন।

আমার বা মুসলমানদের পক্ষথেকে তথাকথিত আহলে কুরআনদের নিকট কিছু প্রশ্ন

১. বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু। [সুরা ইমরান: ৩১]

-কেন?? এখানে রসূলের অনুষরন করার কথা বলা হয়েছে??? রসূলকে (স:) অনুষরণ করার প্রয়োজন কি যেখানে আল্লাহর কুরআন আছে???

২. বলুন, আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য প্রকাশ কর। বস্তুতঃ যদি তারা বিমুখতা অবলম্বন করে, তাহলে আল্লাহ কাফেরদিগকে ভালবাসেন না। [সুরা ইমরান: ৩২]

-কেন আল্লাহ বললেন যে তার এবং তার রসূলের অনুগত্য প্রকাশ করতে??? আল্লাহর কালাম তো তাদের কাছে ছিল..তাই না??

৩. সূরা নিসার ৫৯ নং আয়াতের ব্যাপারে কি বলবেন??? তাহলে কি সূরা নিসার ৫৯ আয়াত আপনারা মানেন না???

৪. সর্বপরি আয়াতের শানে নযুল আপনি কোথায় পাবেন??? কেননা শানে নযূল ছাড়া মানুষ আল্লাহর বিধান কি ভাবে বুঝবে??
যে কেউ রসূলের বিরুদ্ধাচারণ করে, তার কাছে সরলপথ প্রকাশিত হওয়ার পর এবং সব মুসলমানের অনুসৃত পথের বিরুদ্ধে চলে, আমি তাকে ঐ দিকেই ফেরাব যে দিক সে অবলম্বন করেছে এবং তাকে জাহান্নামেনিক্ষেপ করব। আর তা নিকৃষ্টতর গন্তব্যস্থান। [আন নিসাঃ ১১৫] আশা করি হেদায়েত চাইলে আল্লাহ পাক সবাইকে হেদায়েত দিতে পারেন।

এই সম্পর্কিত লেখাগুলো উপযুক্ত মনে হলে পর্যাপ্ত পরিমানে শেয়ার করুন।

কিছুদিন আগে একব্যাক্তি যিনি "ওয়ার্ল্ড আল কুরআন রিসার্চসেন্টার" এর বিশেষ পদে রয়েছেন তার একটি নোট দেখেছিলাম যেখানে তিনি তার নিজের যুক্তি দিয়ে কুরআনের একটি বিধানকে ভুল ব্যাখার করের সওম ১০ দিন তাও আবার হজ্জের মৌসুমে, তা প্রমাণ করার চেস্টা করেছেন এবং দুক্ষ প্রকাশ করেছেন আমাদের এবং আমাদের পূর্ববর্তিদের নিয়ে যারা রমজান মাসে ৩০ বা ২৯ দিন সাওম পালন করেছেন তাদের নিয়ে। তার নোটটির শিরোনাম ছিল "রমজান মাসে ৩০ রোজা রেখে যারা মৃত্যুবরন করেছেন তাদের অবস্থা কি হবে ?" আজকে আমরা তার বক্তব্যকে কুরআন দিয়ে যাচাই করার চেস্টা করবো। কেননা আহলে কুরআনরা রমজান মাসের ৩০ রোজা রাখে না, তারা ১০টি রোজা রাখে। যা কুরআন বিরুধি এবং খ্রীস্টানদের চক্রন্ত।
যাই হোক, তার কথার সারসংক্ষেপ টুকু বলি, তিনি বলেন ০২:১৮৪ আয়াতের মাধ্যমে আমরা জেনেছি যে, আল্লাহ ‘আইয়ামাম মা’দূদাতে’ সিয়াম পালন করতে আদেশ দিয়েছেন। ০২:১৯৬ আয়াতে আমরা দেখেছি হজ্জের ক্ষেত্রেতিন দিনকে ‘আইয়ামাম মা’দূদাত’ বলা হয়েছে। কিন্তু ০২:১৮৫ আয়াতে ‘ইদ্দাতের কামালিয়াত’ তথা সংখ্যার পূর্ণতায় পৌঁছার কথা বলা হয়েছে। সুতরাং ‘তিন দিন’ হচ্ছে ‘আইয়ামাম মা’দূদাতের’সর্বনিম্ন দিনসংখ্যা। কিন্তু এর সর্বোচ্চ দিনসংখ্যা হবে ‘পূর্ণতাপ্রাপ্তসংখ্যা’। ০২:১৯৬ আয়াতে আমরা দেখেছি ‘দশ’কেই ‘পূর্ণতাপ্রাপ্তসংখ্যা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সুতরাং ‘দশদিন’ হচ্ছে ‘আইয়ামাম মা’দূদাতের’সর্বোচ্চ দিনসংখ্যা। অর্থাৎ রমজান মাসে ‘দশদিন’ বা দশটি সিয়াম পালন করতে হবে।
দয়া করে কেউ হাসবেন না, তিনি তার যুক্তি ব্যাবহার করেছেন, আসুন দেখি  কুরআন কি বলে সিয়ামের সংখ্যা সম্পর্কে

০২: ১৮৩: হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পার।

অনেক আহলে কুরআনরা  যুক্তি দিয়ে বলেন যে, এখানে পূর্ব বর্তিদের কথাও বলা হয়েছে তাই তারা যেখাবে সাওম পালন করেছেন তেমনি ভাবে আমাদেরও সাওম পালন করতে হবে। আমার জবাব হলো এখানে সাওম ফরজ হওয়ার করা বলাহয়েছে, তার মানে এটা পূর্ববর্তিদের উপরও ফরজ হয়েছিল। এখানে তাদের মত সাওম পালন করার কথা বলা হয় নি। শুধু মাত্র ফরজ হওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর এই আয়াত দিয়েই উম্মতে মুহাম্মাদীর উপর সাওম পালন করা ফরজ করেছেন মহান বিধান দাতা আল্লাহ।

০২: ১৮৪: গণনার কয়েকটি দিনের জন্য অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে, অসুখ থাকবে অথবা সফরে থাকবে, তার পক্ষে অন্য সময়ে সে রোজা পূরণ করে নিতে হবে। আর এটি যাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট দায়ক হয়, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্যদান করবে। যে ব্যক্তি খুশীর সাথে সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণ কর হয়। আর যদি রোজা রাখ, তবে তোমাদের জন্যে বিশেষ কল্যাণকর, যদি তোমরা তা বুঝতে পার।

এই আয়াতের মাধ্যমে কিছুদিনকে নির্দিস্ট করা হয়েছে কিন্তু কত দিন সাওম আদায় করতে হবে তা বলা হয় নি, এবং যারা সাওম পালন করতে অপারগ তাদের ব্যাপারে বিধান বর্নিত হয়েছে।  

০২: ১৮৫: রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তায়ালার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।

এই আয়াতের প্রথমে কুরআন কোন মাসে নাযিল করা হয়েছে তা বর্নিত হয়েছে। এবং সওমের নির্দিস্ট দিনের সংখ্যাও বলা হয়েছে। যারা হাদিস বিরুধী তারা এই আয়াতটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এখানে স্পস্ট করে বলা হয়েছে যে ব্যক্তি এই রমজান মাস পাবে সে এই মাসে রোজা রাখবে। তার মানে হলো রমযানই হলো রোজা রাখার মাস যা ০২: ১৮৩ নং আয়াত দ্বারা ফরজ করা হয়েছে এবং ০২: ১৮৪ নং আয়াত দ্বারা দিনগুলো গননা করতে বলা হয়েছে। ভাল করে লক্ষ করুন, দিনগুলো গননা এই কারণে করা হয়েছে যাতে মাসকে পূর্ণ করা যায় কেননা ০২: ১৮৫ নং আয়াত দ্বারা অসুস্থ এবং মুসাফিরের ফউত হওয়া সওম যাতে পরবর্তি পালন করা যায়। কেননা আল্লাহ বলেন "আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর"

২:১৮৯: তোমার নিকট তারা জিজ্ঞেস করে নতুন চাঁদের বিষয়ে। বলে দাও যে এটি মানুষের জন্য সময় নির্ধারণ এবং হজ্বের সময় ঠিক করার মাধ্যম। আর পেছনের দিক দিয়ে ঘরে প্রবেশ করার মধ্যে কোন নেকী বা কল্যাণ নেই। অবশ্য নেকী হল আল্লাহকে ভয় করার মধ্যে। আর তোমরা ঘরে প্রবেশ কর দরজা দিয়ে এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক যাতে তোমরা নিজেদের বাসনায় কৃতকার্য হতে পার।

এই আয়াতের দ্বারা আল্লাহ দিনগননা কিসের মাধ্যমে করবে সেই ব্যাপারে বর্ননা দিয়েছে, আমরা জানি সওম, হজ্জ ইত্যাদি নতুন মাসের সাথে সম্পর্কিত তাই আল্লাহ নতুন চাঁদ দিয়ে আয়াতটি বর্ননা করেছেন।

০২: ১৯৬: আর তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ্ব ওমরাহ পরিপূর্ণ ভাবে পালন কর। যদি তোমরা বাধা প্রাপ্ত হও, তাহলে কোরবানীর জন্য যাকিছু সহজলভ্য, তাই তোমাদের উপর ধার্য। আর তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মাথা মুন্ডন করবে না, যতক্ষণ না কোরবাণী যথাস্থানে পৌছে যাবে। যারা তোমাদের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়বে কিংবা মাথায় যদি কোন কষ্ট থাকে, তাহলে তার পরিবর্তে রোজা করবে কিংবা খয়রাত দেবে অথবা কুরবানী করবে। আর তোমাদের মধ্যে যারা হজ্জ্ব ওমরাহ একত্রে একই সাথে পালন করতে চাও, তবে যাকিছু সহজলভ্য, তা দিয়ে কুরবানী করাই তার উপর কর্তব্য। বস্তুতঃ যারা কোরবানীর পশু পাবে না, তারা হজ্জ্বের দিনগুলোর মধ্যে রোজা রাখবে তিনটি আর সাতটি রোযা রাখবে ফিরে যাবার পর। এভাবে দশটি রোযা পূর্ণ হয়ে যাবে। এ নির্দেশটি তাদের জন্য, যাদের পরিবার পরিজন মসজিদুল হারামের আশে-পাশে বসবাস করে না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক। সন্দেহাতীতভাবে জেনো যে, আল্লাহর আযাব বড়ই কঠিন।

এই আয়াতটি খেয়াল করে পড়ুন। এই আয়াতের মাধ্যমেই আহলে কুরআনরা প্রমাণ করতে চায় যে সাওম ১০ দিন। "আর তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ্ব ওমরাহ পরিপূর্ণ ভাবে পালন কর। যদি তোমরা বাধা প্রাপ্ত হও, তাহলে কোরবানীর জন্য যাকিছু সহজলভ্য, তাই তোমাদের উপর ধার্য। আর তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মাথা মুন্ডন করবে না, যতক্ষণ না কোরবাণী যথাস্থানে পৌছে যাবে।" এখানে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন যে হজ্জ ও ওমরাহ পরিপূর্ণ ভাবে আদায় করতে এবং বাধা প্রাপ্ত হলে কি করতে হবে সেটাও বলা হয়েছে।

এর পরপরই বলা হয়েছে  "যারা তোমাদের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়বে কিংবা মাথায় যদি কোন কষ্ট থাকে, তাহলে তার পরিবর্তে রোজা করবে কিংবা খয়রাত দেবে অথবা কুরবানী করবে।" এখানে যে রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে তা কাফফারা হিসেবে কেননা যারা অসুস্থ বা যারা মাথা মুন্ডন করতে পারবে না তাদের জন্যই এই রোজা।

এর পর আল্লাহ বলেন " বস্তুতঃ যারা কোরবানীর পশু পাবে না, তারা হজ্জ্বের দিনগুলোর মধ্যে রোজা রাখবে তিনটি আর সাতটি রোযা রাখবে ফিরে যাবার পর। এভাবে দশটি রোযা পূর্ণ হয়ে যাবে" এখানেই আহলে কুরআনরা সুযোগ নিয়েছে উম্মতের মধ্যে ফ্যানতা তৈরী করার। দেখুন এখানে আল্লাহ পাক স্পস্ট করে বলেছেন যে যারা কোরবানী করতে পারবে না তাদের কায়ফফারা হলো ১০টি রোজা, যার মধ্যে ৩টি হজ্জের দিনগুলোতে এবং বাকী ৭টি হজ্জ থেকে ফারাগ হওয়ার পরে। এখানে কোন সুযোগ নেই যে এই দশটি সওম রমজান মাসের যা ০২: ১৮৫ দ্বারা বুঝানে হয়েছে।

কিছু প্রশ্ন:

১. আমার বুঝে আসে না যেখান আল্লাহ স্পস্ট ভাবে বলেছেন যে "কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে।" (০২: ১৮৫) সেখানে নির্দিষ্ট করা ১০টি রোজা কোথা থেকে আসলো?

২. আর যদি এই ১০টি রোজা রমজান মাসের হয় তাহলে তা হজ্জের আয়াতে বলবেন কেন? (০২: ১৯৬)

৩. যদি এই ১০টি রোজা রমজান মাসের হয় তাহলে হজ্জের সময় কোরবানীর কাফফারা কি?? (০২: ১৯৬)

৪. রমজান মাসে কি সওম ফরজ না কি জ্বিলহজ্জ মাসে সওম ফরজ?

৫. সওমের নির্দিস্ট  সময় কি?? যেহেতু আপনারা বলতে চাচ্ছেন ০২: ১৯৬ দ্বারা ১০টি রোজা ফরজ কিন্তু একই আয়াতেই অসুন্থ এবং মাথা মুন্ডন না করতে পারলে রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে।

৬. তাহলে ০২: ১৯৬ আয়াত দ্বারা কতটি রোজা রাখতে হবে??

৭. ০২: ১৯৭ আয়াতে হজ্জের নির্দিস্ট মাসের কথা বলা হয়েছে, আর ০২: ১৮৫ দ্বারা সওমের নির্দিস্ট মাসের কথা বলা হয়েছে, তাহলে হজ্জের সময় যে ১০টি সওম পালনের কথা বলা হয়েছে সেটা কি পরবর্তি বছর রমজান মাসে পালন করবে??? কেননা হজ্জের এবং সাওমের নির্দিস্ট মাস রয়েছে।

একটি আয়াত না লিখে পারছি না, "বরং আমি সত্যকে মিথ্যার উপর নিক্ষেপ করি, অতঃপর সত্য মিথ্যার মস্তকচুর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়, অতঃপরমিথ্যা তৎক্ষণাৎ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তোমরা যা বলছ, তার জন্যে তোমাদের দুর্ভোগ। [সুরা আম্বিয়া: ১৮]"

যারা বিরুধিতা করতে চান, তারা করতে পারেন কিন্তু আমার প্রশ্নের জবাব দিয়ে তার পর বিরুধিতা শুরু করবেন আশা করি, নচেৎ কমেন্ট ডিলিট করা হবে।

আল্লাহ আমাদের কুরআন বুঝে আমল করার তৌফিক দান করুন এবং আমাদের দ্বীনের জন্য সর্ব রকম চেস্টাকে কুবুল করুন।

(আমীন, ছুম্মা আমীন)

সার্বিক সহযোগিতায়ঃ

1 comment:

  1. ফরজ নামাজ কয় রাকাত? কুরান থেকে কিভাবে প্রমাণ করব?

    ReplyDelete

Thanks for comments