সকল
প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলার জন্য, যিনি পরিপূর্ণ দ্বীন
হিসাবে আমাদেরকে ইসলাম দান করেছেন, যিনি তার নাযিলকৃত কিতাবে বলেছেন, বরং
আমি সত্যকে মিথ্যার উপর নিক্ষেপ করি, অতঃপর সত্য মিথ্যার মস্তক
চুর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়, অতঃপর মিথ্যা তৎক্ষণাৎ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তোমরা
যা বলছ, তার জন্যে তোমাদের
দুর্ভোগ। -সুরা আম্বিয়া: ১৮ সালাত ও সালাম তাঁরই রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি, যিনি আল্লাহর দ্বীনের রিসালাতের দায়িত্ব পূর্ণাঙ্গভাবে আদায় করেছেন, কোথাও কোন কার্পণ্য করেননি। দ্বীন হিসাবে যা কিছু এসেছে তিনি তা উম্মতের কাছে পৌছে দিয়েছেন ও নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করে গেছেন। তার সাহাবায়ে কিরামের প্রতি আল্লাহর রাহমাত বর্ষিত হোক, যারা ছিলেন উম্মতে মুহাম্মাদীর আদর্শ ও আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ পালনে সকলের চেয়ে অগ্রগামী।
দুর্ভোগ। -সুরা আম্বিয়া: ১৮ সালাত ও সালাম তাঁরই রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি, যিনি আল্লাহর দ্বীনের রিসালাতের দায়িত্ব পূর্ণাঙ্গভাবে আদায় করেছেন, কোথাও কোন কার্পণ্য করেননি। দ্বীন হিসাবে যা কিছু এসেছে তিনি তা উম্মতের কাছে পৌছে দিয়েছেন ও নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করে গেছেন। তার সাহাবায়ে কিরামের প্রতি আল্লাহর রাহমাত বর্ষিত হোক, যারা ছিলেন উম্মতে মুহাম্মাদীর আদর্শ ও আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ পালনে সকলের চেয়ে অগ্রগামী।
আমার বক্তব্য একটি প্রশ্ন দিয়ে শুরুতে করতে চাই, ইসলাম কি একটি সুন্নাতকে বাস্তবায়নের জন্য অনেক গুলো মিথ্যা কথা বলার সুজগ দেয়??? আমার
এই লেখার উদ্দেশ্য এটা নয় যে একটি একটি সুন্নত সঠিক কিনা তা যাচাই করা, বা
নিজের মতকে প্রধান্য দেয়া বা হাদিসের অপব্যাখ্যা করা। আমার উদ্দেশ্য হলো
একটি বক্তব্যকে কারো উপর চাপিয়ে দেয়ার জন্য মিথ্যা রেফারেন্স দেয়ার সুজগ
ইসলাম দেয় কি না।।। আমার উদ্দেশ্য এটা নয় যে, সালাতে হাত কোথায় বাঁধতে হবে
বুকে, নাভির উপরে না কি নাভির নিচে। আমার উদ্দেশ্য এটাও নয় যে বুকের উপরে
হাত বাধা যায়েজ নয়। আমার উদ্দেশ্য হলো বুকের উপর হাত বাধা নিয়ে কোন মিথ্যার
আশ্রয় নেয়া হয় কিনা তা যাচাই করা। হাত বাধতে হবে এ নিয়ে কারো মাথ্যা
ব্যাথা নেই, কারণ এর ব্যাপারে সবাই একমত কিন্তু কিছু লোক এই তর্ক করার জন্য
প্রস্তুত যে হাত বুকের উপরই বাধতে হবে এটাই সঠিক নিয়ম।
এবং তর্ক শুরু করলে তারা দেখায় যে অনেক গুলো হাদিস বুকে হাত বাধার কথা বলা
আছে যেমন, সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলীম, তিরমিজি, মিশকাত, মুয়াত্তা মালিক, এবং
আবু দাউদ শরীফের হাদিস। আসলেই কি উপরক্ত সব কিতাবে বুকের উপর হাত বাধার
কথা বলা আছে? “على صدره বা বুকের উপর” ??
যদি না থাকে তাহলে
তারা কেন ঐ কিতাবগুলোর রেফারেন্স দিয়ে সহীহ আমলের কথা বলে? তারা কেন
মিথ্যার আশ্রয় নেয়? তাহলে তারা কি হাদিসের কিতাবের ব্যাপারে মিথ্যারোপ করে
তাদের মতকে শক্তিশালী করার জন্য??? যাই হোক এর বিচার আল্লাহ করবেন,
উল্লেখিত ছবিটির রেফারেন্সগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক। ছবির রেফারেন্স অনুয়ায়ী:
০১. বুখারী শরীফ: ১ম খন্ড-৬৯৬ - সাহল ইবন সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকদের নির্দেশ দেওয়া হত যে, সালাতে প্রত্যেক ডান হাত বাম হাতের কব্জির উপর রাখবে।- সহীহ বুখারী: ৭০৪ দ্বিতীয় খন্ড ১০২ পৃস্ঠা.... (ই:ফা:)
০২. মুসলিম ২য় খন্ড-৭৮০ -
ওয়াইল ইবন হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) – কে দেখেছেন
তিনি যখন সালাত শুরু করলেন তখন উভয় হাত উঠিয়ে তাকবীর বললেন। রাবী হুমাম
বলেন, উভয় হাত কান বরাবর উঠালেন। তারপর কাপড়ে ঢেকে নিলেন (গায়ে চাদর
দিলেন)। তারপর তার ডান হাত বাম হাতের উপর। - সহীহ মুসলীম: ৭৭৯ প্রথম খন্ড ৩৮২ পৃস্ঠা.... (ই:ফা:)
০৩. তিরমিজি ১ম খন্ড-২৪৪ -
কাবীসা ইবনে হুবল (রা:) হতে তার পিতার সূত্রে বর্নিত। তিনি (হুবল) বলেন,
রাসূলুল্লাহ (স:) আমাদের ইমামতি করতেন এবং (দাড়ানো অবস্থায়) নিজের ডান হাত দিয়ে বা হাত ধরতেন। - তিরমিজি: ২৩৯ প্রথম খন্ড ১২৬ পৃস্ঠা.... (ই:ফা:)
০৪. আবু দাউদ ১ম খন্ড-৭৫৯ - তাউস (রহ) থেকে বর্নিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স:) নামাযরত অবস্থায় ডান হাত বাম হাতের উপর স্থাপন করে তা নিজের বুকের উপর বেধে রাখতেন।- আবু দাউদ: ৭৫৯ প্রথম খন্ড ৪১১ পৃস্ঠা.... (ই:ফা:)
০৫. মুয়াত্তা ১ম খন্ড- ১৭০ নং পু- সাহল ইবনে সা'দ আস-সাঈদী (রা:) হইতে বংর্ণিত- লোকদিগকে নির্দেশ প্রদান করা হইত যেন নামাযে প্রত্যেকে তাহার ডান হাত বাম হাতের কব্জির উপর রাখে। - মুয়াত্তা মালিক: ১ম খন্ড ৪৭ নং রেওয়াত ২৪০ পৃস্ঠা(ই:ফা:)
এই
ছবিতে মিশকাতুল মাসাবীহ এর যে রেফারেন্স দিয়েছেন সেই স্থানে আমি এমন হাদিস
খুজে পাই নাই যা বুকের উপর হাত বাধার কথা বলা হয়েছে। তাহলে কি তারা একটি
হাদিসকে শক্তিশালী করার জন্য বুখারী এবং মুসলীম শরীফের হাদিসের নামে
মিথ্যাচার করছেন? তাহলে কি এরা অবান্তর কথা সংগ্রহ করে মানুষকে ধোকা
দিচ্ছে? আল্লাহ বলেন, একশ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে
গোমরাহ করার উদ্দেশে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং উহাকে
নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্ রূপ করে। এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি।-সুরা লুকমান: ৬
আল্লাহ পাক আরো বলেন, তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না এবং জানা সত্ত্বে সত্যকে তোমরা গোপন করো না।-সূরা
বাকারা:৪২ ল্লাহ পাকের এই আয়াতের উপর আমল করে আমি এই লেখাটি প্রকাশ করার
সুযোগ নিয়েছি। যারা বুকে হাত বাধার পক্ষে তাদের কে বলছি, আপনারা বুকে হাত
বাধেন এর জন্য দলিল পেষ করেন, সেখেত্রে যেখানে “على صدره বা বুকের উপর” হাত
বাধার হাদিস আছে সেই হাদিস দলিল হিসেবে উপস্থাপন করুন। আপনারা কেন একটি
বিষয়ের সাথে অন্য বিষয় মিলিয়ে দিচ্ছেন???
হাত বাধা নিয়ে কারো
দ্বিমত নেই। দ্বিমত আছে হাত কোথায় বাধতে হবে সেই ব্যাপার নিয়ে। তাহলে যেটা
আপনাদের দলিল সেটা মানুষকে বলুন কেন বুখারী, মিসলীমের হাদিস দেখিয়ে
আপনাদের দলিলকে শক্তিশালী করার অপপ্রচেস্টা চালাচ্ছেন??? ভাই সালাত ঐক্যের
চিন্হ, যেখানে ধনী-গরীব এক কাতারে কাধে কাধ মিলিয়ে দাড়ায়। সেই সালাতকে
প্রশ্নবিদ্ধ করে মানুষকে দয়া করে বিভ্রান্তি করবেন না।
পরিশেষে একটি আয়াত দিয়ে আমার লেখার ইতি টানতে চাই, যারা সত্য নিয়ে আগমন করছে এবং সত্যকে সত্য মেনে নিয়েছে; তারাই তো খোদাভীরু।-সূরা জুমার:৩৩
ভুল
হলে দয়া করে কমেন্টে জানিয়ে দিবেন। যদিও আমার পোস্টে খুব কম লোকই কমেন্ট
করে। হয়তোবা সত্য উপস্থাপন করার পর মিথ্যা বলার কেউ সাহস করে না। ভালো
লাগলে শেয়ার করে সবাইকে সত্য জানিয়ে দিন।।।আল্লাহ পাক আমাদের সত্য যেনে আমল
করার তৌফিক দান করুন।
সার্বিক সহযোগিতায়ঃ
Alhamdullha, Nice, Allah blessyou.
ReplyDeleteআপনাকে অনেক পড়ালেখা করতে হবে। অনেক কিছুই জানেনে না
ReplyDelete১.হযরত আলী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘সুন্নাহ হচ্ছে নামাযে হাতের পাতা হাতের পাতার উপর নাভীর নিচে রাখা।’-মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ৮৭৫; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৭৫৬; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৩৯৬৬ সনদসহ রেওয়ায়েতটির পূর্ণ আরবী পাঠ এই- حدثنا محمد بن محبوب، حدثنا حفص بن غياث، عن عبد الرحمن بن إسحاق، عن زياد بن زيد، عن أبي جحيفة أن عليا رضي الله عنه قال : السنة وضع الكف على الكف في الصلاة تحت السرة. قال المزي في تحفة الأشراف ٨/٤٥٨، هذا الحديث في رواية ابي سعيد بن الأعرابي، وابن داسة وغير واحد عن أبي داود، ولم يذكره أبو القاسم.
ReplyDeleteকিন্তু নাসিরউদ্দিন আদবানী (র) ৭৫৬,৭৫৭,৭৫৮ নং হাদীস কে দুর্বল বলেছেন
Delete২.আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, ‘নামাযে হাতের পাতাসমূহ দ্বারা হাতের পাতাসমূহ নাভীর নীচে ধরা হবে।’ সনদসহ রেওয়ায়েতটির আরবী পাঠ এই- حدثنا مسدد، حدثنا عبد الواحد بن زياد، عن عبد الرحمن بن إسحاق الكوفي، عن سيار أبي الحكم، عن أبي وائل قال : قال أبو هريرة رضي الله عنه : أخذ الأكف على الأكف في الصلاة تحت السرة. -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৭৫৮, তাহকীক : শায়খ মুহাম্মাদ আওয়ামাহ; তুহফাতুল আশরাফ, হাদীস : ১৩৪৯৪
ReplyDeleteHadith no: 758
DeleteNarrated / Authority Of: Tawus
The Apostle of Allah (peace_be_upon_him) used to place his right hand on his left hand, then he folded them strictly on his chest in prayer. এখানে বুকের কথা বলা হইছে ভাই নাভিনা। তাই কপি পেস্ট করার আগে অর্জিনালটা দেখে কইরেন।
Hadith no: 758
DeleteNarrated / Authority Of: Tawus
The Apostle of Allah (peace_be_upon_him) used to place his right hand on his left hand, then he folded them strictly on his chest in prayer. এখানে বুকের কথা বলা হইছে ভাই নাভিনা। তাই কপি পেস্ট করার আগে অর্জিনালটা দেখে কইরেন।
“আলী রাযিঃ (সালাতে) সাধারণত তার (ডান হাতের) পাঞ্জা বাম হাতের কব্জির উপর রাখতেন।” (বুখারী ১/১৫৯,ইফা ২/৩৩০)
ReplyDelete৩.হযরত ওয়াইল ইবনে হুজর রা. থেকে বর্ণিত, ‘আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি, তিনি নামাযে ডান হাত বাম হাতের উপর নাভীর নীচে রেখেছেন। সনদসহ রেওয়ায়েতের আরবী পাঠ এই- حدثنا وكيع، عن موسى بن عمير، عن علقمة بن وائل بن حجر، عن أبيه قال : رأيت النبي صلى الله عليه وسلم يضع يمينه على شماله في الصلاة تحت السرة. -মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৩৯৫১
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeleteভাই আপনে আবু দাউদ এর রেফারেন্স দিলেন ভাল,আমিও দিলাম ,আপনে দিলেন তাউস (রহ) এর, আমি দিলাম হযরত আলী রা. ও আবু হুরায়রা রা. যারা সাহাবি, শুধু সাধারন সাহাবি নন, যারা আলেম সাহাবি ।
ReplyDeleteআল্লাহর রাসুল (সা) বলেছেন আমাকে যেভাবে নামাজ পড়তে দেখেছ। আমি দেখিনাই, আপনেও দেখেন নাই, তাউস (রহ) দেখেন নাই, দেখলে (রহ) হতেন না (রাযিঃ) হতেন। তাই যারা দেখেছেন তাদের আনুসরন করা উচিত। পাড়লে হযরত আলী রা. ও আবু হুরায়রা রা. এর বুকে হাত বাধার হাদিস দেখান। যারা হুজুর (সা) সবচে নিকটতম,কাছের,এবং এন্তেকালের পূর্বমুহুর্ত পর্যন্ত কাছে থেকে নবুয়াতের শেষ আমল দেখেছে। কারন যতই হাদিস থাকুক নবুয়াতের শেষ আমল গ্রহোন যোগ্য (বুখারি শরীফে এই হাদিস আছে একটু খুইজা নিয়েন এত বইসা বইসা খাওয়ান জাইব না, ভুলেও আশ্বীকার কিরেন না আপনারই আপনাদের কাছে ধরা খাইবেন )
তাহলে হাত কোথায় বাধতে হবে। নাভির নিচে না নাভির উপরে। সঠিক কোনটা হবে। সবাই ত বলে নাভির নিচে হাত বাধতে হবে। কিন্তু আমরাও ত খুজে পাইনি। তাহলে এই কথা যারা বলে তারাও ত সঠিক কথা বলে না। সঠিক কোনটা দয়া করে জানাবেন।
ReplyDelete