১. পোশাক-পরিচ্ছদ টাইট বা আঁটসাঁট হওয়া চলবে না। অর্থাৎ পোশাক হতে হবে
ঢিলে ঢালা। এমন পোশাক পরিধান করা যাবে না, যে পোশাক পরিধান করার পরও
লজ্জাস্থানের অবয়ব বোঝা যায়। রাসূলুল্লাহ সা: ওই সব লোকদের অভিসম্পাত
করেছেন যারা পোশাক পরার পরও উলঙ্গ থাকে। ২ এমন পাতলা বা ফিনফিনে কাপড় পড়া যাবে না যে কাপড় পরার
পরও লজ্জাস্থান দেখা যায়। ৩. নারী-পুরুষের এবং পুরুষ-নারীর পোশাক পরিধান করা যাবে না। এখন অনেক ছেলেদের দেখা যায় যারা হাতে বিভিন্ন রকমের বালা পরিধান করে,কানে দুল দেয়,গলায় মালা বা চেইন পরে, পাঞ্জাবির সাথে ওড়না পরে ইত্যাদি। অন্য দিকে মেয়েরা তাদের নিজস্ব পোশাক পরিধানের পরিবর্তে জিন্সের প্যান্ট, টিশার্ট, স্কিন টাইট গেঞ্জি, পাঞ্জাবি
ইত্যাদি পরিধান করছে। রাসূলুল্লাহ সা: ওই সব পুরুষকে লা’নত করেছেন যারা নারীর বেশ ধারণ করে এবং ওই সব নারীকে লা’নত করেছেন যারা পুরুষের বেশ ধারণ করে।
৪. পুরুষের স্বর্ণের অলঙ্কার পরা যাবে না। স্বর্ণ পুরুষের জন্য হারাম। অনেক ছেলেদের দেখা যায় গলায় স্বর্ণের চেইন ব্যবহার করে। হাতে স্বর্ণের আংটি পরে। বিশেষ করে বিয়েতে মেয়ে পক্ষ ছেলেকে স্বর্ণের আংটি ও গলার চেইন দেয়। হজরত আবু হুরাইয়া রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল সা: পুরুষকে স্বর্ণের আংটি পরতে নিষেধ করেছেন। শুধু আংটি নয়, পুরুষের জন্য স্বর্ণের যেকোনো অলঙ্কার হারাম।
৫. পুরুষের রেশমি কাপড় পরিধান করা যাবে না। এটা পুরুষের জন্য হারাম। রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি
পরও লজ্জাস্থান দেখা যায়। ৩. নারী-পুরুষের এবং পুরুষ-নারীর পোশাক পরিধান করা যাবে না। এখন অনেক ছেলেদের দেখা যায় যারা হাতে বিভিন্ন রকমের বালা পরিধান করে,কানে দুল দেয়,গলায় মালা বা চেইন পরে, পাঞ্জাবির সাথে ওড়না পরে ইত্যাদি। অন্য দিকে মেয়েরা তাদের নিজস্ব পোশাক পরিধানের পরিবর্তে জিন্সের প্যান্ট, টিশার্ট, স্কিন টাইট গেঞ্জি, পাঞ্জাবি
ইত্যাদি পরিধান করছে। রাসূলুল্লাহ সা: ওই সব পুরুষকে লা’নত করেছেন যারা নারীর বেশ ধারণ করে এবং ওই সব নারীকে লা’নত করেছেন যারা পুরুষের বেশ ধারণ করে।
৪. পুরুষের স্বর্ণের অলঙ্কার পরা যাবে না। স্বর্ণ পুরুষের জন্য হারাম। অনেক ছেলেদের দেখা যায় গলায় স্বর্ণের চেইন ব্যবহার করে। হাতে স্বর্ণের আংটি পরে। বিশেষ করে বিয়েতে মেয়ে পক্ষ ছেলেকে স্বর্ণের আংটি ও গলার চেইন দেয়। হজরত আবু হুরাইয়া রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল সা: পুরুষকে স্বর্ণের আংটি পরতে নিষেধ করেছেন। শুধু আংটি নয়, পুরুষের জন্য স্বর্ণের যেকোনো অলঙ্কার হারাম।
৫. পুরুষের রেশমি কাপড় পরিধান করা যাবে না। এটা পুরুষের জন্য হারাম। রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি
দুনিয়াতে রেশমি কাপড় পরিধান
করবে আখেরাতে তার জন্য কোনো অংশ নেই। অন্য একটি হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, রেশমি
কাপড় দুনিয়াতে কাফেরদের জন্য আর মুমিনদেরজন্য পরকালে।
৬. বিজাতীয়
পোশাক পরিধান করা যাবে না। অন্য ধর্মাবলম্বীদের নির্ধারিত ধর্মীয় প্রতীক
ব্যবহার করে এমন পোশাক পরিধান করা জায়েজ নেই। যেমন খ্রিষ্টানদের ক্রুশ
অঙ্কিত পোশাক, হিন্দুদের মতো উল্কি আঁকা, সিঁদুর পরা ইত্যাদি। রাসূলুল্লাহ
সা: ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি অন্য কোনো জাতির অনুসরণ করবে সে সেই জাতির
উম্মত হিসেবে গণ্য হবে। রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেছেন, লা’নত বর্ষিত হোক
সেই সব নারীর ওপর যারা উল্কি এঁকে নেয় এবং যারা উল্কি আঁকায়, যারা চুল
উঠিয়ে ফেলে, ভ্র প্লাক করে, সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য দাঁত কেটে চিকন করে,
দাঁতের মধ্যে ফাঁক সৃষ্টি করে যা আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন এনে দেয়।
৭. বেশি চাকচিক্য পোশাক পরিধান করা যাবে না, যাতে বিপরীত লিঙ্গকে আকৃষ্ট
করে। নারী-পুরুষ উভয়ই পর নারী বা পর পুরুষকে আকৃষ্ট করার জন্য বেশি
চাকচিক্য পোশাক পরিধান করা যাবে না। বিশেষ করে নারীরা এ ব্যাপারে সতর্ক
থাকবে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘তারা যেন (নারীরা) যা সাধারণত প্রকাশমান
এমন সৌন্দর্য ছাড়া অতিরিক্ত সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে বেড়ায়।’
৮.
পুরুষের টাকনুর নিচে পোশাক পরিধান করা যাবে না। আজকাল অধিকাংশ পুরুষকে দেখা
যায় তারা তাদের প্যান্ট পায়ের পাতা পর্যন্ত ঝুল দেয়। এর মধ্যে যারা
নামাজি তারা নামাজের সময় তাদের প্যান্ট টাকনু পর্যন্ত গুছিয়ে নেয়। আসলে
টাকনু পর্যন্ত কাপড় পরা পুরুষদের সব সময়ের জন্য আবশ্যক, শুধু নামাজের
সময় নয়। রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেছেন, ‘যেসব পুরুষ অহঙ্কারের (ফ্যাশনের)
জন্য টাকনুর নিচে কাপড় পরে মহান আল্লাহ কিয়ামতের দিন তাদের দিকে রহমতের
দৃষ্টিতে তাকাবেন না।’
পূর্বোক্ত পোশাকের নীতিমালা মেনে চললে বর্তমানে
দেশে বিরাজমান অস্থিরতা অনেকাংশে কমবে। টিনেজার ও যুব সমাজকে তাদের সঠিক
পথে চালনা করা সহজ হবে। তাদেরকে চারিত্রিক অবক্ষয়, ঝরে পড়া সর্বোপরি নেশা
থেকে বাঁচানোর সম্ভব হবে। তা ছাড়া আমরা আমাদের জাতি সত্তা ও ধর্মীয়
সংস্কৃতি রক্ষা করতে পারব।নচেৎ আমাদের ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণুর জন্য অপেক্ষা করতে
হবে। অধিক অস্থিরতার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
♥মহান আল্লাহ সূরা
আ’রাফের ২৬ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করেছেন, ‘হে বনি-আদম! আমি তোমাদের জন্য
পোশাক অবতীর্ণ করেছি, যা তোমাদের লজ্জা স্থান আবৃত করে এবং অবতীর্ণ করেছি
সাজ সজ্জার বস্ত্র এবং পরহেজগারির পোশাক, এটি সর্বোত্তম।’ অন্য দিকে
বেহায়াপনা, বেল্লাপনা ও উলঙ্গপনাকে হারাম করা হয়েছে। একই সূরার ৩৩ নম্বর
আয়াতে আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘আপনি বলে দিন, আমার পালনকর্তা প্রকাশ্য ও
গোপন অশ্লীল বিষয়গুলো হারাম করেছেন। এটি আল্লাহর কুদরতের অন্যতম নিদর্শন,
যাতে তারা চিন্তা ভাবনা করে।