মুসলিম সমাজের কমন সমস্যা ও তওবা

আমাদের সমাজে এই সমস্যা গুলো বিরাজমান , এ গুলো থেকে তওবা না করে মরলে বড়ই বিপদে পরতে হবে মৃত্যুর পরে , শয়তান চায় আল্লাহর বান্দা তওবা না করে মারা যাক>>আপনি কি চান না আপনার ভাই বোনেরা তওবা করুক , যদি চান তাহলে তাদের কে আজই জানিয়েই দিন। ১ – মুসলমান কাকে বলে ? আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্হাপন কারি ও আল্লাহর
কাছে আত্নসমর্পণ কারি কে মুসলমান বলে। তিরমিযী শরীফ -মিনা বুক হাউস-তাকদির অধ্যায় -২০৮৫ নং হাদিস – আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত -নবী সাঃ বলেছেন -প্রত্যেক শিশু মুসলমান হয়ে জন্মগ্রহন লাভ করে,পরে তার পিতা মাতা তইহুদি,নাসারা মোশরেক বানায় । ২ – আপনি ২রাকাত নফল নামাজ পরে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছেন? আপনি কি জানেন আপনি


কতো ভাগ্যবান ?


আপনাকে আল্লাহ মুসলমান ঘরে জন্ম গ্রহন করিয়েছেন , আপনাকে আল্লাহ যদি অন্য কোন ঘরে জন্ম গ্রহন করাতেন হয়ত আপনি জীবনেও সত্য খুজে পেতেন না।এজন্য আমাদের উচিৎ ৫ ওয়াক্ত নামায পরা এবং ২রাকাত নফল নামাজ পরে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা।আল্লাহ আপনাকে সুযোগ দিয়েছেন , আল্লাহ সবাই কে সুযোগ দেন না।
২ – পিতা মাতার সাথে ভাল ব্যবহার।




সুরা নিসা ৩৬ নং আয়াত – আল্লাহ বলছেন তোমরা আল্লাহর এবাদত করো,পিতা মাতার সাথে ভাল ব্যবহার করো।



৩ – আপনি কি প্রতিদিন কবর যেয়ারত করেন বাসায় বা কবর স্থানে বসে আপনার দাদা-দাদি , নানা-নানি ,পিতা- মাতা বা আপন জনদের জন্য?(মেয়েরা বাসায় ও ছেলেরা বাসায় বা কবর স্থানে)



মেশকাত শরীফ -সালাউদ্দিন বইঘর -৪র্থ খন্ড -১৬৭০ নং হাদিস – বুয়ায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিত নবী সাঃ বলেছেন ,আমি তোমাদের কবর যেয়ারতের করতে নিষেধ করেছিলাম,এখন থেকে তোমরা কবর যেয়ারত করতে থাকো।
মেশকাত শরীফ -সালাউদ্দিন বইঘর -৪র্থ খন্ড -১৬৭৬ নং হাদিস -মুহাম্মদ বিন নোমান রাঃ থেকে বর্ণিত নবী সাঃ বলেছেন যে ব্যাক্তি আপন পিতা মাতার বা তাদের এক জনের কবর যেয়ারত করবে,তাকে মাফ করে দেওয়া হবে এবং পিতা মাতার সাথে সদ্ব্যবহারকারি বলে লেখা হবে।
মেশকাত শরীফ -সালাউদ্দিন বইঘর -৪র্থ খন্ড -১৬৭৭ নং হাদিস -কবর যেয়ারত করবে কেননা তা তোমাকে দুনিয়ার আসক্তি থেকে ফিরিয়ে রাখে এবং আখেরাত স্বরন করিয়ে দেয়। —



৪ – আমাদের দেশে অনেক ভাই আছে যারা প্যান্ট টাখনুর (গোরালি) নিচে পরে এবং অনেক বোন টাখনুর উপরে ।




সহী বুখারী – ইসলামিক ফাউন্ডেশন – ৯ খন্ড – হাদীস নং ৫৩৭১ – আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত ।তিনি বলেন নবী (সাঃ) বলেছেন ইযারের যে পরিমান টাখনুর নিচে যাবে ,সে পরিমান জাহান্নাম যাবে
সহী বুখারী – ইসলামিক ফাউন্ডেশন – ৯ খন্ড – হাদীস নং ৫৪৬৫ – ইবন্ আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত ।তিনি বলেন নবী (সাঃ) ঐ সব পুরুষকে লানত করেছেন যারা নারীর বেশ ধারন করে এবং ঐ সব নারীকে যারা পুরুষের বেশ ধারন করে । —
৫ -কম্পিউটার বা মোবাইলে বাজে ভিডিও রাখা ও দেখা হারাম।
৬ – মোবাইলে মেয়েদের সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা বাজে কথা বলা বা শোনা কানের যেনা , মুখের যেনা , খারাপ CHAT করা হাতের যেনা।
সহী বুখারী – ইসলামিক ফাউন্ডেশন – ৯ খন্ড – হাদীস নং ৫৮০৯ – আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত ।তিনি বলেন নবী (সাঃ) বলেছেন নিশ্চয় আল্লাহ বনী আদমের জন্য যেনার একটা অংশ নির্ধারণ রেখেছেন ,সে অবশ্যই তাতে জড়িত হবে ,চোখের যিনা হলো তাকান (খারাপ কিছু দেখা),জিহবার যেনা হলো কথা বলা , কুপ্রবৃত্তি কামনা ও খায়েস সৃস্টি করে এবং যৌনাঙ্গ তা সত্য মিথ্যা প্রমান করে ।
মেশকাত শরীফ -সালাউদ্দিন বইঘর -১০ম খন্ড -৫৩২১ নং হাদিস -আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত নবী সাঃ বলেছেন – হাসরের ময়দানে মুখে মোহর লাগিয়ে প্রতিটি অংঙ্গ প্রতঙ্গের থেকে সাহ্ম্য গ্রহন করা হবে।–
৭ -মিছিলে ,চায়ের দোকানে, বাজারে প্রচুর মানুষ কিন্তু মসজিদে এক কাতার লোক হয় না।
সুরা বাকার ৪৩ নং আয়াত আল্লাহ বলছেন তোমরা নামাজ প্রতিস্ঠা করো,যাকাত আদায় করো,যারা আমার সামনে অবনত হয় তাদের সাথে মিলে তোমরাও আমার আনুগত্য স্বীকার করো।( – কোন স্হানে মানুষ আল্লাহর সামনে অবনত হয় সবাই মিলে ?মসজিদে ,আর তাদের সাথে মিলে মানে জামাতের সাথে ) —
৮ – যেনা হারাম মেয়ের সম্মতি থাকলেও,হস্ত মৈথুন হারাম ,সমকামিতা হারাম ।

সুরা আল মোমেনুন -(২৩)৫,৬,৭ নং আয়াত – যারা তাদের যৌন অংগ সমুহের হেফাযত করে ,তবে স্বামী-স্ত্রী কিংবা (পুরুষদের বেলায়) নিজেদের অধিকার ভুক্ত (দাসী ) দের ওপর (এ বিধান প্রযোজ্য) নয় (এখানে হেফাযত না করার জন্য )কিছুতেই তিরস্কৃত হবে না, এ (বিধিবদ্ধ উপায়)ছাড়া যদি অন্য কোন ভাবে যৌন কামনা চরিতার্থ করতে চায় তাহলে তারা সীমা লংঘন কারী ।(দাসী মানে বাড়ির কাজের মানুষ না এবং দাসী প্রথা এখন উঠে গেছে)



যে সম্সত ভাই ও বোনরা যেনা করে তাদের বলছি ,তাদের এক না এক দিন বিয়ে হবে ,তাদের বিয়ে হবার পর সন্তান হবে এবং তারা কখনই চাবে না তাদের সন্তানরা যেনা করুক ,কিস্তু তারা কি জানে না Science কি বলে? (বংশধারা / Genetic Problem)আপনি যা করেছেন আপনাদের সন্তানরাও তাই করবে (আল্লাহ মাফ করুক)তাই তওবা করে আল্লাহর পথে চলে আসুন ।

৯ -সিগারেট পান করা বা তামাক খাওয়া হারাম ।

সুরা বাকারা – ২১৯ – আল্লাহ বলেছেন -হে নবী এরা তোমাকে মদ ও জুয়া সমন্ধে জিজ্ঞেস করে ,তুমি এদের বলে দাও ,এ দুটো জিনিসের মধ্য অনেক বড়ো ধরনের পাপ রয়েছে , যদিও মানুষের জন্য কিছু উপকারিতা রয়েছে,কিন্তু এ উভয়ের গুনাহ অনেক বেশী উপকারিতার চাইতে ।
সুরা বাকারা – ১৯৫ – আল্লাহ বলেছেন -আল্লাহর পথে ধন সম্পদ ব্যয় কর ,নিজেদের হাতে নিজেদের ধব্বংস করো না
science এখন অনেক উন্নত ,science এখন প্রমান করেছে সিগারেট মানুষের কোন উপকার করে না ৷ সিগারেট যে পান করে এবং যাদের মাঝে পান করে উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত) —

১০ – প্রেম বা প্রেম করে বিয়ে করা ইসলামে যায়েজ না বা হারাম ।(নাপাক সম্পর্কের আশংকা থাকে )বিয়ের পর স্ত্রী এর সাথে প্রেম ভালবাসা যায়েজ বা হালাল ।
সুরা নিসা (৪)২৫ নং আয়াত – আল্লাহ বলছেন – অতপর তোমরা তাদের (অধিকার ভুক্ত) অভিভাবকদের অনুমুতি নিয়ে বিয়ে করো এবং ন্যায়-ইনসাফ ভিত্তিক তাদের মোহরানা দিয়ে দাও।


১১ – অনেক বোন বাসা থেকে বের হবার সময় সেজে(রুপ চর্চা) বের হয় এটা ইসলামে হারাম , এতে ফেৎনা সৃস্টি হবার সম্ভবনা থাকে বা আছে এটা তাদের কে জানাতে হবে, স্বামির জন্য সাজা যায়েজ আছে ।

যে সমস্ত বোনরা পর্দা করে না তাদেরকে পর্দা পরার জন্য উপদেশ দিতে হবে ।নেকাব মুস্তাহাব কিন্তু আমাদের দেশে অধিকাংশ সাধারন লোক ইসলাম সম্পর্কে কম জ্ঞান রাখে -আমাদের বোনরা বাইরে গেলে ইভটিজিং এর স্বীকার হতে পারেন ,কারন যারা ইভটিজিং করে তারা ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান রাখে না ,তারা নামাযের সময়ও বাইরে আড্ডা দেয় মনে করে নামায বুড়ো লোকের কাজ ।এজন্য বোনেরা নেকাব মুস্তাহাব হলেও নেকাব ব্যাবহার করা উচিৎ।
সুরা আহযাব (৩৩)৫৯ নং আয়াত আল্লাহ বলছেন -হে নবী তুমি তোমার স্ত্রী , মেয়ে ও মোমেন নারি দের বলো তারা যেন তাদের চাদর (থেকে কিয়দংস) নিজেদের উপর টেনে দেয় এতে করে তাদের চেনা সহজ হবে এবং তাদের কোনরকম উও্যক্ত করা হবে না,আল্লাহ ক্ষমালীল ও পরম দয়ালু। —
১২ -আমাদের অনেক বোনরা বিউটি পার্লারে যায় এটা হারাম ।

সহী বুখারী – ৯ খন্ড -৫৫১৪ নং হাদীস – আলকামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত সৌন্দর্য উদ্দেশে যে সব নারী অংগ প্রতংগে উলকি উৎকীরনো করে , যে সব নারী ভ্রু উপরে ফেলে , যে সব নারী দাত সুরু করে দাতের মাঝে ফাক সৃস্টি করে,যা আল্লাহর সৃস্টি কে পরিবর্তন করে তাদের উপর লানত। —

১৩ -আমাদের অনেক ভাই চিন্তা করে দাড়ী রাখলে সুন্দর দেখা যায় না বা জংগলী দেখা যায় বা অপরিস্কার – আপনি যে ,নবীর (সাঃ) উম্মত আপনি কি তার চেয়ে সুন্দর? তিনি কি জংগলী বা অপরিস্কার ছিলেন ?তিনি তো দাড়ী রেখেছেন ,আচ্ছা বলুনতো মোহাম্মদ (সাঃ) থেকে দুনিয়াতে কে বেশী সুন্দর? আমাদের ভাইয়েরা নবী (সাঃ) যেই স্হানের পশম বা চুল কাটতে ( নাভীর নিচে )বলেছেন ,তা না করে যেই স্হানের তা (দাড়ী) রাখতে বলেছেন তা কেটে ফেলছেন, মানে উল্টোটা করছেন।
সহী বুখারী – ৯ খন্ড -৫৪৭১ নং হাদীস আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত নবী (সাঃ) বলেছেন ফিতরা্ত পাচটি – খাতনা করা ,( নাভীর নিচে) ক্ষুর ব্যাবহার করা , গোফ ছোট করা ,নখ কাটা ,বগলের পশম উপরে ফেলা —
১৪ আল্লাহ নিরাকার না এবং সর্বএ বিরাজ মান না ।

আল্লাহ সব কিছু সৃস্টি করেছেন এবং সব সৃস্টির সুন্দর সুন্দর আকার দিয়েছেন আর তার নিজের কোন আকার নাই? ।আপনি আবার আল্লাহর আকার কেমন তা চিন্তা করতে যেয়ে কুফুরিতে লিপ্ত হয়েন না।আল্লাহর আকার আছে আল্লাহর মতো
আল্লাহর আকার আছে আল্লাহর মতো – সুরা আল শোয়ারা (৪২)১১ নং আয়াত কোন কিছু আল্লাহর সদৃশ্ নয় ।
সুরা বাকারা ১১৫ নং আয়াত আল্লাহ বলেছেন – পর্ব ও পস্চিম এর মালিক আল্লাহ , তোমরা যে দিকেই মুখ ফেরাও সেদিকেই আল্লাহর চেহেরা ।
সুরা আল ইমরান ৭৩ নং আয়াত আল্লাহ বলেছেন – হে রাসুল সাঃ আপনি বলেদিন ধন সম্পদ ও সন্মান সবই আল্লাহর হাতে।
সুরা আরাফ (৭)৫৪ নং আয়াত আল্লাহ বলছেন তিনি আরশের উপর সমাহীন হয়েছেন ।
আল্লাহ সর্বএবিরাজমান না কারন আপনি বাথরুমে যাচ্ছেন আল্লাহ কি আপনার সাথে যাচ্ছে?
খুনি খুন করতে যাচ্ছে ,যেনাকারি যেনা করতে যাচ্ছে আল্লাহ কি সাথে যাচ্ছে?
বরং আল্লাহ সব কিছুর ইলম বা জ্ঞান রাখে ,আল্লাহর রহমত ,বরকত সর্বএ।
১৫ -হুযুররা রুকুতে গেলে কিছু ভাইয়েরা দৌড়ে নামাযে রুকু ধরে ,যে রাকাতে সে রুকু ধরলো তার ঐ রাকাত নামায নিজে পরতে নিতে হবে ।

বুখারি শরীফ – ২য় খন্ড – ৭৪৭ নং হাদিস – আবু বাকরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি নবী (সাঃ) এর কাছে এমন অবস্হায় পৌছেলেন যে নবী (সাঃ) তখন রুকু তে ছিলেন ,তিনি কাতারে পৌছার আগে তিনি রুকু তে চলে যান ,এ ঘটনা নবী (সাঃ) এর কাছে বর্ণনা করা হলে নবী (সাঃ) বলেন এরুপ আর করবে না ।
১৬ – আমাদের দেশে হুজুর বা ইমাম বা যারা ইসলামীক মাইন্ডের অনেক বিবাহ করে কেন?


সুরা নিসা (৪) ৩ নং আয়াত আল্লাহ বলছেন – নারী দের মাঝে থেকে তোমাদের যাদের ভাল লাগে ২,৩,৪ জনকে বিয়ে করে নাও কিন্তু যদি তোমরা (একের অধিক হলে তাদের মাঝে)তাদের মাঝে ইনসাফ করতে না পারো,তাহলে একজনকে (বিয়ে করো)সীমালংঘন থেকে বেচে থাকার জন্য এটাই হচ্ছে (উত্তম ও) সহজতর।
সুরা নিসা (৪) ১২৯ নং আয়াত আল্লাহ বলছেন -তোমরা কখনো স্ত্রী দের মাঝে ইনসাফ করতে পারবে না ।তাই তাদের এক জনের দিকে তুমি এমন ভাবে ঝুকে পরো না , আরেক জন কে ঝুলন্ত অবস্তায় (রেখে)।
যারা যেনা করে তাদের টা কারও চোখে পরে না আর এগুলো চেপে থেকে যায় ,আর হুজুর বা ইমাম রা বিয়ে করলে সবার চোখে বাধে কেন??যারা যেনা করে তাদের চেয়ে এই লোক গুলো কি ভাল নয়?? কিন্তু কিছু লোক আছে যারা ২,৩ টা বিয়ে করে এবং স্রী দের মাঝে ইনসাফ করতে পারেনা , এজন্য এ দেশে বহু বিবাহ কে খারাপ চোখে দেখা হয় ,স্রী দের মাঝে ইনসাফ করতে না পারলে ২,৩,৪ টা বিয়ে করবেন কেন? (অধিকাংশ ভাল হুজুর বা ইমামদের ১ টা করে বিয়ে)
১৭ -আমাদের দেশের ইমামরা সত্য বা বলিস্ঠ ভাবে কিছু বলতে পারে না কেন?যেমন -মিলাদ বিদায়াত বা এটা ঠিক না ঐ টা ঠিক ।
১৮ – আমাদের অনেক ভাই ও বোনেরা পিতার পরিচয় দিতে ঘৃণা করে বা মিথ্যা বলে ।

সহী মুসলিম (১ম খন্ড )১২৫ নং হাদিস – আবু যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত নবী (সাঃ) বলেছেন যে ব্যাক্তি নিজের পিতা ছাড়া অন্য কাউকে পিতা বলে দাবি করে সে কুফুরি করল,আর যে নিজেকে এমন বংশের বলে দাবি করে ,অথচ সেই বংশের সাথে তার কোন সম্পর্ক নাই্‌সে নিজের বাসস্হান জাহান্নামে তৈরী করে নিল।
সহী মুসলিম (১ম খন্ড )১২৬ নং হাদিস – হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত নবী (সাঃ) বলেছেন যে ব্যাক্তি নিজ পিতার পরিচয় দিতে ঘৃনা করল সে কুফুরি করলো।
১৯ -আমাদের অনেক ভাই বোনরা আযান দিলে আযানের উত্তর দেয়না ।

সহী বুখারি – ইসলামিক ফাউন্ডেশন – ২য় খন্ড – আবু সায়ীদ খুদরী (রাঃ) থাকে বর্ণিত নবী (সাঃ) বলেছেন যখন তোমরা আযান শোন তখন মোয়াযযিন যা বলবে তোমরা ও তার অনুরুপ বলবে।
২০ -আমাদের অনেক ভাইয়েরা কার সাথে দেখা হলে বা কথা হলে হায় হেলো বলে সালাম দেয় না ।কোন লোকর সাথে দেখা হলে “মামা বা মামু” বলে ডেকে থাকে।
সহী বুখারি- ইসলামিক ফাউন্ডেশন – ৯ম খণ্ড – ৫৮০২ নং হাদিস – আমর রাঃ থেকে বর্ণিত এক ব্যাক্তি নবী সাঃ জিজ্ঞেস করল ,ইসলামের কোন কাজ উত্তম ? তিনি বললেন তুমি খুদার্থ কে খাবার দিবে আর সালাম দিবে যাকে তুমি চিন এবং যাকে তুমি চিন না ।
যে কোন লোককে “মামা বা মামু” বলা এইটা কি ঠিক?নবী সাঃ কি বলেছেন তোমরা একে অপরের মামু নাকি বলেছেন তোমরা একে অপরের ভাই?
২১ -বাচ্চা নস্ট করা বা হত্যা করা হারাম
মুসলিম শরীফ -৪২৪২ – আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত যে হুসাইন গোএের দুই মহিলা লড়াই করার সময় -এক মহিলা আরেক মহিলার প্রতি পাথর নিক্ষেপ করে ,যার ফলে অপর মহিলাটির গর্ভপাত ঘটে ,নবী সাঃ ফায়সালা দিলেন- যে ভ্রন হত্যা কারিনী মহিলার একটি কৃতদাস বা কৃতদাসী (রক্ত মূল্য হিসেবে )দিতে হবে
সুরা আন আম (৬) ১৪০ নং আয়াত আল্লাহ বলছেন – তোমরা তোমাদের সন্তান দের হত্যা কর না।
২২ -বাচ্চাদের নাম রাখার ক্ষেএে -নুতন নাম রাখা বা Uncommon নাম রাখা – এ রকম নাম রাখতে গিয়ে NONMuslim দের নামও রাখে মুসলিম রা।
সহী বুখারি- ইসলামিক ফাউন্ডেশন – ৯ম খণ্ড – ৫৭৫৩ নং হাদিস – জাবির রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বললেন আমদের একজনের একটা ছেলে জন্মগ্রহন করল আমরা তার নাম রাখলাম কাসেম ,নবী সাঃ বললেন তোমার ছেলের নাম আব্দুর রাহমান রেখে দাও।


সহী বুখারি- ইসলামিক ফাউন্ডেশন – ৯ম খণ্ড – ৫৭৭২ নং হাদিস – আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত নবী সাঃ বলেছেন আল্লাহর কাছে সবচেয়ে ঘৃনিত নাম রাজাধিরাজ ,সাহান সাহ।
২৩ – আমাদ র অনেক ভাইরা গনকের কাছে যায় হাত দেখিয়ে ভাগ্য জানার চেস্টা করে।
মেশকাত শরীফ -সালাউদ্দিন বইঘর -১০ম খন্ড -৪৩৯০ নং হাদিস হাকাম রাঃ বলেন আমি আরজ করলাম হে রাসুল্লাহ আমরা কি জ্যোতিষীদের কাছে যাব ,নবী সাঃ আমাদের নিষেধ করলেন।
মেশকাত শরীফ -সালাউদ্দিন বইঘর -১০ম খন্ড -৪৩৯১ নং হাদিস – হযরত আয়েশা রাঃ বলেন- কিছু লোক নবী সাঃ কে জ্যোতিষীদের বাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন তা কিছুই না ।লোকরা বলল ইয়া রাসুল্লাহ ,তারা কখনও কখনও এমন কথা বলে যা সত্য হয়ে থাকে।তখন রাসুল্লাহ বললেন তাদের সে কথা সত্য যা জিন শয়তান উপর থেকে ফেরেস্তাদের আলাপ শোনে ,যখনই কিছু শোনে তা তারা গনকের নিকট শত শত মিথ্যা মিলিয়ে পৌছে দেয় এবং গনকরা তার সাথে শত শত মিথ্যা মিলিয়ে প রকাশ করে।
২৪ -আমাদের অনেক ভাই ও বোনরা তাবিজ বা গনকের আংটি ব্যাবহার করে -তাবিজ ও গনকের আংটি শিরক।ঝাড়-ফুক যায়েজ আছে যেমন-(সুরা-ফাতেহা,নাছ,ফালাক)
আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত নবী সাঃ বলেছেন তোমরা ধংসাত্নক কাজ থেকে বেচে থাক তা হলো আল্লাহর সঙ্গে শরীক করা ও যাদু করা।
মেশকাত শরীফ -সালাউদ্দিন বইঘর -১০ম খন্ড -৪৩৫৭ নং হাদিস -ঈসা বিন হামযা রা বলেন -একদা আমি উকাইমের নিকট গেলাম ,তার শরীরে লাল ফোসকা পড়েছে আমি বললাম আপনি তাবিজ ব্যবহার করবেন না?তিনি বললেন ,তা থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাই ।কেননা নবী সাঃ বলেছেন যে এই গুলো ব্যবহার করে তাকে তার প্রতি সোর্পদ করে দেওয়া হয়।
আর যারা বলেন – আমার তাবিজে তো আল্লাহর কালাম লেখা অথচ তা নিয়ে আপনি বাথরুমে যাচ্ছেন ,যদি আপনাকে বলি আপনি কোরআন নিয়ে বাথরুমে যানতো, তা কি আপনি পারবেন?অথচ আপনি আল্লাহর কালাম কে অসন্মান করছেন ।আর তাবিজ যারা ব্যবহার করে তারা শিরকে লিপ্ত হয় এক না এক সময় তাবিজের উপর বিশ্বাস স্হাপন করে।
২৫ – বৌ ভাত ,গায়ে হুলুদ ,জন্মদিন ,নববর্ষ ,মিলাদ ও মৃত্যুর পর ৪০ শে পালন,মিলাদুন্নবী বিদআত।মাদ্রাসা ,মোবাইল,কমপিউটার,ফ্যান,মাইক,ইটের বাড়ী ,প্লেন,নেট,টিভি,ডিস এ গুলো বিদআত না কেন?এগুলো তো নবী সাঃ এর সময় ছিলো না কিন্তু আমরা এ গুলো ব্যবহার করি।
শিরক ও বিদাআত পৃস্ঠা দেখুন ।

২৬ – পীরদের কাছে যাওয়া শিরক।
পীর পৃস্ঠা পড়ুন।
২৭ – আমাদের অনেক ভাই ঠিক সময়ে আকিকা করে না।
(নিস্চয় ভাল কাজ মোমিন মানুষের লক্ষন।এইগুলো মানুষের কাছে পৌছে দিয়ে কিছু সওয়াবের অধিকারি হন।দয়া করে পেজটি শেয়ার করতে ভুলবেন না ভাই ও বোনেরা ধন্যবাদ )