ইসলামের দাওয়াত

মুসলিমরা সারা বিশ্বে এক নম্বর।কোন দিক থেকে?বাহানা বানাতে! সুরা নিসা – (৪)৭৯ নং আয়াত – আল্লাহ বলছেন – আমি তোমাকে [মোহাম্মাদ (সা:)] সমগ্র মানব জাতির জন্য রাসুল বানিয়ে পাঠিয়েছি। সুরা ইমরান (৩) ১৯ নং আয়াত – আল্লাহ বলছেন – নিঃসন্দেহে আল্লাহর কাছে ইসলাম একমাএ গ্রহন যোগ্য ব্যবস্হা। সুরা ইমরান (৩) ৮৫ নং আয়াত –
আল্লাহ বলছেন – ইসলাম ছাড়া অন্য কোন জীবন বিধান কবুল হবে না । ১ । ইসলামের দাওয়াত দেওয়া প্রতি মুসলমানের উপর ফরজ সুরা হা-মিম সাজদা (৪১) ৩৩ নং আয়াত – আল্লাহ বলছেন – তার চেয়ে উত্তম কোন ব্যাক্তির হতে পারে যে মানুষদের আল্লাহর দিকে ডাক দেয় এবং সে নিজেই নেক কাজ করে এবং বলে আমি তো মুসলমানদের একজন।
মিসকাত শরীফ – সালাউদ্দিন বইঘর -২য় খন্ড – ১৮৯ নং হাদিস -আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত নবী (সাঃ) বলেন তোমরা যদি একটি আয়াত জান তাহলে সেই আয়াত টা মানুষের কাছে পৌছে দাও ।

মিসকাত শরীফ – সালাউদ্দিন বইঘর -১০ম খন্ড – ৫৩১৯ নং হাদিস – সাইদ রাঃ বলেন রাসু্লুল্লাহ (সাঃ) ফরমান কিয়ামতের দিন নুহ (আঃ) কে উপস্হিত করা হবে এবং তাকে জিজ্ঞেস করা হবে , তুমি কি আমার নির্দেশবলী মানুষদের কাছে পৌছেয়েছিলে?তিনি বলবেন হ্যাঁ পৌছেছিলাম হে আমার রব ।তখন তার উম্মতদের জিজ্ঞেস করা হবে,তিনি কি তোমাদের ,আমার নির্দেশ সমুহ পৌছে দিয়েছিলো?তারা বলবে,আমাদের কাছে কোন সতর্ককারী আসেনি।তখন নুহ (আঃ) কে বলা হবে,তোমার সাক্ষ্য কে আছে,উত্তরে নুহ (আঃ) বলবেন মুহাম্মদ (সাঃ) ও তার উম্মতগন ।রাসু্লুল্লাহ (সাঃ) বলেন ,তখন তোমাদের উপস্হিত করা হবে এবং তোমরা সাক্ষ্য দিবে,অবশ্যই নুহ (আঃ) উম্মতের নিকট আল্লাহর বানী পৌছেয়েছেন।অতপরঃ রাসু্লুল্লাহ (সাঃ) এ আয়াত পাঠ করলেন – আর এভাবেই আমি তোমাদের একটি মধ্যপন্হী উম্মতরুপে প্রতিস্ঠিত করেছি ,যাতে তোমরা মানব জাতির সাক্ষ্য হতে পারো আর রাসুল (সাঃ)তোমাদের জন্য সাক্ষ্য হন।
মিশকাত ৯ম খন্ড – ৪৯১০ নং হাদিস – আবু সাঈদ খুদরী রাঃ বলেন ,রাসুল সাঃ এরশাদ করেছেন তোমাদের যে কেও কোন অপছন্দনীয় কথা বা কর্ম দেখলে সে যেন বলপূর্বক হাত দ্বারা বাধা প্রদান করে।হাত দ্বারা বাধা প্রদান করা সম্ভব না হলে যেন কথার মাধ্যমে বাধা প্রদান করে।এটাও সম্ভব না হলে সে যেন অন্তর থেকে ঘৃনা করে।আর এটিই দুর্বল ঈমান।

মিশকাত -৯ম খন্ড - ৫১৩৮ – নুমান ইবনে বাসীর রাঃ বলেন রাসুল সাঃ বলেচেন আল্লাহর বিধান পালনে অলসতাকারি ও অমান্যকারী দৃষ্টান্ত ঐ লকদের ন্যায় যারা লটারীর মাধ্যমে কেউ জাহাজের উপরে ,কেউ জাহাজের নিছে স্হান পেয়েছে।তাদের মধ্য যারা নিচে রয়েছে , তারা পানি আনার জন্য উপরে গেলে উপরের লোকদের কষ্ট হত।কাজেই নিচের এক ব্যক্তি একটি কুঠার নিয়ে নৌকার তলা ছিদ্র করতে আরম্ভ করল।তখন উপরের লোকজন এসে বলল,তোমার কি হয়েছে?তুমি নৌকা ছিদ্র করছ কেন?সে বলল উপরে পানি আনতে গেলে তোমাদের কষ্ট হয় আর পানি আমার একান্ত প্রয়োজন।এক্ষনে যদি তারা ঐ ব্যক্তিকে নৌকা ছিদ্র করতে বাধা দেয় তবে তারা তাকে এবং নিজেদেরকে রক্ষা করল।আর যদি তাকে নৌকা ছিদ্র করার কাজে ছেড়ে দেয় তবে তারা তারা তাকে এবং নিজেদের ধ্বংস করল

মিশকাত – ৯ম খন্ড – ৪৯১৫ -আবু বকর ছিদ্দীক রাঃ বলেন আমি রাসুল সাঃ বলতে শুনেছি,নিশ্চয়ই মানুষ যখন কোন অপছন্দ কথা বা কর্ম লক্ষ্য করে তা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে না ,অচিরেই আল্লাহ তাদের সকলকে শাস্তি দিবেন।অন্য বর্ণনায় যখন কোন সমপ্রদায়ের মাঝে পাপ হতে থাকে এবং প্রতিরোধ করতে সক্ষম ব্যক্তিরা প্রতিরোধ না করে , তখন আল্লাহ সকলকেই শাস্তি দেন।

মিশকাত – ৫১৫২ – জাবির রাঃ হতে বর্নিত তিনি বলে যে রাসুল সাঃ বলেছেন আল্লাহ তা’আলা জিব্রিল কে বললেন ওমুক ওমুক শহর ধ্বংস করে দাও।জিব্রিল বলেন প্রতিপালক তাদের মধ্য এমন এক ব্যক্তি রয়েছেন যিনি এক মূহুর্ত আপনার নাফরমানী করেন না।আল্লাহ বলেন তাকে সহ সকলকে ধ্বংস করে দাও।নিষ্চয়ই তার মুখ আমারা ব্যাপারে এক মূহুর্তও চিন্তিত হয় না।(অর্থাৎ অপরকে দাওয়াত প্রদান করে না)

যাকে ইসলামের দাওয়াত দিবেন সে মানল কি মানল না তা দেখার দায়ীত্ব আপনার না ।
সুরা ক্বাছাছ (২৮) ৫৬ নং আয়াত – আল্লাহ বলছেন – নবী (সাঃ) তুমি যাকে ইচ্ছা তাকে হেদায়াত দিতে পার না তবে হ্যা আল্লাহ যাকে চান তাকে অবশ্যই তিনি হেদায়াত দান করে।

সুরা বাকারা (২) ২৫৬ নং আয়াত – আল্লাহ বলছেন -দ্বীনের ব্যাপারে কোন জোর জোবরদস্তি নয়।(কারন )সত্য এখানে মিথ্যা থেকে পরিস্কার হয়ে গেছে ।তোমাদের মধ্যে যদি কোন ব্যক্তি বাতিল কে অস্বীকার করে ,আল্লাহর উপর ইমাম আনে ,সে যেন এর মাধ্যমে এক শক্তিশালী রশি ধরলো ,যা কোন দিনই ছিড়ে যাবার নয়,আল্লাহ সব শোনেন এবং জানেন।

সুরা গাসিয়া ২১-২২ -আপনি উপদেশ দিন ,আপনি উপদেশ দাতা মাএ,আপনি তাদের শাসক বা দারোগা নন
সুরা যারিয়াত ৫৫ – আপনি উপদেশ দান করুন , নিশ্চয়ই উপদেশ মুমিনকে উপকৃত করে
৪ । দাঈ (Daee
যারা ইসলামের দাওয়াত দেয় তাদের দাঈ (Daee)বলা হয়
দাঈ (Daee) বিভিন্ন প্রকার -Full time , Per time ,Weekly দাঈ (Daee)
৫।দাঈদের (Daee)চরিএ।
দাঈদের (Daee)চরিএ হতে হবে সুন্দর কোরআন ও সহী হাদিসের আলোকে।
সুরা লোকমান ১৭ – ১৮ আয়াত – হে বৎস।ছলাত আদায় কর,সৎ কাজের আদেশ দাও,অসৎ কাজে বাধা প্রদান করা এবং বিপদে ধৈর্য ধারন কর।নিশচয়ই এইটা সাহসিকতার কাজ।অহংকার বশে তুমি মানুষকে ভ্রুকুঙ্কিত কর না এবং পৃথিবী তে গর্বভরে চল না।নিশচয়ই আল্লাহ অহংকারী কে পছন্দ করেন না।সুরা লোকমান – প্রতিটি মানুষের উপদেশ গ্রহন বা দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

প্রথমে তাওহীদ ও ইমান ঠিক করতে হবে।তাওহীদ ও ইমান ঠিক করলে ইসলামের বাকী কাজ গুলো মানুষ এমনিতেই করবে বা মেনে চলবে ।(নামায,রোজা ইত্যাদি)

৬। ইসলামের দাওয়াত শুরু করবেন কোথা হতে

প্রথম ইসলামের দাওয়াত দিতে হবে নিজের পরিবার ও নিজের বংশের সকলকে।

সুরা তাহ রিম(৬৬)৬ নং আয়াত – আল্লাহ বলছেন – যারা ইমান এনেছো তোমরা নিজেদেরকে ও নিজেদের পরিবার পরিজনদের (জাহান্নামের)আগুন থেকে বাচাও ।

এরপর ইসলামের দাওয়াত দিতে হবে আমাদের মুসলিম ভাই-বোনদের ।যারা মনে করে আমরা মুসলমান ঘরে জন্মেছি আমরা মুসলমান অথচ নামাজ না পরলে তারা মুসলমানই থাকছে না, এ বিষয় তারা জানে না,তাদের কে জানাতে হবে।

এরপর ইসলামের দাওয়াত দিতে হবে আমাদের অমুসলিম ভাই-বোনদের ।

যদি মনে করেন আমি প্রথমে ১০০% ঠিক হব ,আমার পরিবার পরিজন কে ১০০% ঠিক করব ,মুসলমানদের ১০০% ঠিক করব এবং ahmed dedat বা dr zakir naik এর মতো অনেক কিছু পড়ে-জেনে তারপর আমি ইসলামের দাওয়াত দিবো। তাহলে সেই দিন কখনই আসবেনা । যদি এর মাঝে আমার বা আপনার মৃত হয়ে যায়? আল্লাহ না করুক।যতদুর সম্ভব এগুলো ঠিক করতে হবে।

৭। কিভাবে ইসলামের দাওয়াত দিবেন?

হিকমত অবলম্বন করা -

সুরা নাহল ১২৫ – আপনি মানুষ কে হিকমত ও উত্তম উপদেশের মাধ্যমে আল্লাহর পথে দাওয়াত দিন।হিকমত অর্থ – কোরআন ও সহী হাদিস । দাওয়াত বা তাবলীগের জন্য কোরআন ও সহী হাদিস সব চেয়ে বেশী প্রয়োজন।এ ২টি হিকমত বা কৌশল এবং যুক্তির সবচেয়ে বড় মাধ্যম । এ ২টির মাধ্যমে দাওয়াত প্রদান করলে মানুষ সহজেই দাওয়াত কবুল করতে আগ্রহী হয়।

নম্রতার সাথে বিনয়ী ভাবে কথা বলা -

সুরা ইমরান ১৫৯ -আল্লাহর অসীম দয়া যে আপনি তাদের প্রতি কমল হৃদয় এবং নম্র স্বভাবের হয়েছেন যদি আপনি তাদের প্রতি রুহ ও কঠোর স্বভাবের হতেন তাহলে তারা আপনার নিকত হতে সরে যেত সুতারাং আপনি তাদের ক্ষমা করুন এবং তাদের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেন প্রয়োজনে তাদের সাথে পরার্মশ করেন এবং আল্লাহর উপর ভরশা করেন।

অএ আয়াতে দাঈদের ৫টি বৈশিষ্ট্য পরিস্ফুটিত হয়েছে। ১ । নম্র স্বভাবের হওয়া ২ । মানুষকে ক্ষমা করা । ৩ । মানুষের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়া ও তাদের হেদায়াতের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা ৪ ।কোন কাজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় পরামর্শ করা । ৫।আল্লাহর উপর ভরশা করা।

উত্তম পন্থায় জবাব দেওয়া -

সুরা হা মিম সিজদা ৩৪ -আপনি উত্তম পন্থায় জবাব দিয়ে মন্দ কে পতিহত করুন,দেখবেন যে ব্যক্তির সাথে আপনার শত্রুতা রয়েছে সেও আপনার অন্তরঙ্গ বন্ধু হয়ে গেছে।

দ্বীনের ব্যাপারে কোন জোর জোবরদস্তি নয় -

সুরা বাকারা (২) ২৫৬ নং আয়াত – আল্লাহ বলছেন -দ্বীনের ব্যাপারে কোন জোর জোবরদস্তি নয়।
সুরা গাসিয়া ২১-২২ -আপনি উপদেশ দিন ,আপনি উপদেশ দাতা মাএ,আপনি তাদের শাসক বা দারোগা নন।
সুরা যারিয়াত ৫৫ – আপনি উপদেশ দান করুন , নিশ্চয়ই উপদেশ মুমিনকে উপকৃত করে

সর্বদা দাওয়াতের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।
সুরা নুহ ৫ ,৮ -৯ – হে আমার পালন কর্তা আমি আমার জাতি কে দিবা রাএি দাওয়াত দিয়েছি,তারপর আমি তাদেরকে প্রকাশ্য দাওয়াত দিয়েছি।ঘোষনা সহকারে ও গোপনে দাওয়াত দিয়েছি।
দাঈ যখন সময় পাবেন দাওয়াত দিবেন প্রকাশ্য-গোপনে ,ব্যক্তিগতভাবে-সমস্টিগতভাবে এবং রাতে ও দিনে ।
কোরআন ও সহী হাদীসের মাধ্যমে দাওয়াত দেওয়া।

সুরা ইউনুছ – ১৫ – আমার উপর যা অহি অবতীর্ন হয় তার অনুসরন করি ।যদি আমি আমার প্রতি পালকের নাফরমানী করি তাহলে কিয়ামতের কঠিন শাস্তির ভয় করি

সুরা নাজম ২৩ – রাসুল সাঃ নিজের পক্ষ থেকে মনগড়া কিছুই বলেননি তার নিকট যা অহি অবতীর্ন হয় তাই বলেন।


নিয়ত পরিস্কার ও বিশুদ্ধ করা -

বুখারি ,মুসলিম,মিশকাত – ১ - আমল সুমহ নিয়তের উপর নির্ভরশীল।নিশ্চয়ই মানুষ যা নিয়ত করে তাই প্রতিফলিত হয়।

আল্লাহর জন্য আমল খালেছ করা

সুরা আনআম ১৬২ – হে নবী আপনি বলুন আমার ছলাত,আমার কোরবানি,আমার জীবন,আমার মরন বিশ্বপ্রতিপালক আল্লাহর জন্য।
জ্ঞানার্জন করা।
ধৈর্যশীল হওয়া।
সুরা আছর ৩ -আর যারা পরস্পরে ধৈর্যধারন করার উপদেশ দেয় তারা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত নয়।
সুরা বাকারা ৪৬ – তোমরা ধৈর্য ও ছালাতের মাধ্যমে আল্লাহর নিকট সাহায্য চাও।
আল্লাহর উপর ভরশা রাখা।
সুরা যুমার ৩৮ – হে রাসুল আপনি বলুন আমার জন্য আল্লাহই যথেস্ট ,ভরশাকারীরা আল্লাহর উপর ভরশা করে।
দাওয়াত অনুযায়ী আমল করা।

সুরা ছফ ২,৩ – হে ইমানদারগন তোমরা এমন কথা বলোনা যা তোমরা নিজেরায় কর না।তোমরা যা কর না তা বলা আল্লাহর নিকট কঠিন গোনাহের কাজ।

হক প্রকাশ করা এবং বাতিলের সাথে আপোষ না করা ।

সুরা বাকারা ১৭৪ – যারা সেসব বিষয় গোপন করে যা আল্লাহ কিতাবে নাযিল করেছেন তারা অল্প মুল্যে তা বিক্রি করে তারা আগুন দারা পেট পুরন করছে।

সর্বোত্তম চরিএের অধিকারী হওয়া

দাঈকে আল্লাহর পথে দাওয়াত প্রদানে অটল ও অবিচল হতে হবে।

৮ । কিছু টিপস।

আল্লাহর নাম দিয়ে শুরু করবেন ।

ইসলামের দাওয়াত দিতে হলে আপনাকে একটু কষ্ট করতে হবে youtube অনেক ভিডিও আছে “কিভাবে ইসলামের দাওয়াত দিতে হবে”how to dawah islam”দিয়ে সার্চ করলে পেয়ে যাবেন।

দাওয়াতের জন্য কোরআন বাংলায় পড়া ও কিছু সনদ( reference )মুখস্ত করতে হবে ।পুরো মুখস্ত হলে ভাল আরবি সহ মুখস্ত করলে আরও ভাল।যত বেশী মনে রাখা সম্ভব তত ভাল।হাদিসের ক্ষেএেও একই।উদ্দেশ্য থাকবে আল্লাহর খুশি,আল্লাহর আনুগত্য,আর রাসুলের বানী পৌছে দেওয়া।১০ নেকীর জন্য আরবি জানা দরকার।
দাওয়াতের সময় যখনই কিছু বলবেন দলীল (সনদ বা reference )সহকারে বলবেন । মনে না থাকলে বলার দরকার নেই ।বাড়ী ফেরৎ আসেন আবার পড়েন তারপর আবার দাওয়াতে যান।
ওয়েব সাইট এর reference দেওয়া ।
ভাল বই বা ভাল আলেমদের ওয়াজ বা লেকচার সিডি বা ডিভিডি গিফট দেওয়া।
দাওয়াত দেওয়ার সময় কোন প্রশ্নের মুখোমুখি হলে ,তা জানা থাকলে অবশ্যয়ই ভাল করে চিন্তা ভাবনা করে উত্তর দিবেন ,না জানা থাকলে তাকে বলে দিবেন আমি এ বিষয় জানি না আমি নিজে জেনে আপনাকে জানিয়ে দিব।

দাওয়াতের সময় কমন প্রশ্নের মুখোমুখিঃ-?

আমরা যারা সাধারন মুসলমান আমরা কি করে দাওয়াত দিব?আমরা তো ভাল আরবি জানি না।শুধু মাএ ওজু থেকে শুরু করে নামাজ শেষ পর্যন্ত সব কিছু আরবিতে জানি আর কিছু দোয়া আরবিতে জানি।আর দাওয়াতের ক্ষেএে কাঊকে দাওয়াত দিতে গেলে বলে তুমি আরবি ভাল করে জান না তুমি আবার দাওয়াত দিতে এসেছ?দাওয়াত দেওয়ার জন্য আরবি জানতে হবে এমন কোন কথা নেই।ঐ লোকের চেয়ে কি আপনি ভাল না?আপনি নবী সাঃ এর ঐ হাদিসের উপর আমল করছেন – একটি আয়াত জানলে তা মানুষের কাছে পৌছে দাও।আল্লাহ সবাই কে একরকম মেধা দিয়ে পাঠাননি।

আর আপনি নামাজের মধ্য কি পড়েন তার মানে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে কারন তা নাহলে আপনি আল্লাহর কাছে গাধা ।সুরা যুমার ৫ নং আয়াত - যারা মানে জানে না তাদেরকে আল্লাহ গাধা বলেছে।তারা তৌরাত বহন করেছিল আর আপনি কোরআনের কিছু অংশ একই কথা।আরবি শেখাও চালিয়ে যাতে হবে।
২।এত বড় বড় আলেম কি ভুল জানে?তারা কি ভুল করছে?


এই কথা Non Muslim দের কথা।যখন ইসলামের প্রচার শুরু হয় তখনকার দিনের Non Muslim রা এই একই কথা বলত।

৩।তোমরা তো বিদআত সৃষ্টি করছ।
এই কথা Non Muslim দের কথা।যখন ইসলামের প্রচার শুরু হয় তখনকার দিনের Non Muslim রা মোহাম্মদ সাঃ বা সাহাবী রাঃ দের বলত তুমি বা তোমরা বাপ দাদার ধর্মের মধ্য বিদআত সৃষ্টি করছ।যদিও তাদের সাথে কারও তুলনা চলেনা।তারা (সাহাবী রাঃ)এই উম্মতের শ্রেষ্ট উম্মত।