মুসলিম সমাজের কমন শিরক ও বিদাআত

আমাদের সমাজে এই শিরক ও বিদাআত গুলো বিরাজমান , এ গুলো থেকে তওবা না করে মরলে বড়ই বিপদে পরতে হবে মৃত্যুর পরে , শয়তান চায় আল্লাহর বান্দা তওবা না করে মারা যাক>>আপনি কি চান না আপনার ভাই বোনেরা তওবা করুক , যদি চান তাহলে তাদের কে আজই জানিয়েই দিন। শিরক ও বিদাআত আল্লাহ কখনই মাফ করবে না। বিদআত
এর বিস্তারিত সংজ্ঞা জানতে এখানে পড়ুন বিদআত সম্পর্কে ভাল একটি বই বিদাত পরিচিতির মুলনীতি-ড: মনজুরে ইলাহী বিদআত এর কোন ভাল-মন্দ নেই বিদআত হলো বিদআতই বুখারী শরীফ -ইসলামিক ফাউন্ডেশন – ১০ম খন্ড – ৬৮০৮ নং হাদিস -আসিম রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বললেন নবী সাঃ মদীনাকে সংরক্ষিত এলাকা বলেছিলেন ।এই এলাকার কোন গাছ কাটা যাবে না এবং যে বিদআত সৃস্টি করবে তার উপর আল্লাহর ও সকল মানুষের লানত।সামান্য গাছ কাটা যদি ঐ এলাকায় বিদআত হয় আসুন দেখা যাক আমরা কি কি বিদআত করে থাকি 
১– বৌ ভাত ,গায়ে হুলুদ ,জন্মদিন ,নববর্ষ অনুস্ঠান বিদআত ।
এগুলো টাকার অপচয় ,আল্লাহ আমাদের খুশির ও আনন্দের জন্য ২টি ঈদ দিয়েছেন আর আমরা চিন্তা করি কি করে আরো খুশির ও আনন্দের দিন আমাদের মাঝে আনা যায় – নবী সাঃ যে গুলো আমাদের শিখিয়ে দিয়ে গিয়েছেন তারমধ্যে নুতন কিছু বা অনুস্ঠান যুক্ত করা বিদআত ।
আমরা যদি ৯৫% ইসলাম মেনে চলি আর ১% থেকে ৫% অন্য কোন ধর্ম থেকে নিয়ে মেনে চলি তাহলে এইটা আর ইসলাম থাকে?

সুরা আল ইমরান (৩) ১৪৯ নং আয়াতে আল্লাহ বলছেন – হে মানুষ ,তোমরা যারা (আল্লাহর উপর)ইমান এনেছো,তোমরা যদি NONMuslim দের অনুসরন করতে শুরু করো তাহলে এরা তোমাদের পূর্ববর্তি (জাহেলিয়াতের) অবস্হা ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।ফলে তোমরা নিদারুন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পরবে।

সুরা বাকারা (২)২৭০ নং আয়াতে আল্লাহ বলছেন – তোমরা যা কিছু খরচ করো আর যা কিছু মানত করো আল্লাহ তা নিশ্চই জানে ,যালেমদের কোন সাহায্যকারি নাই। 
তিরমিযী শরীফ -মিনা বুক হাউস-কিয়ামত অধ্যায় -২৩৫৮ নং হাদিস -মাসুউদ রা থেকে বর্ণিত নবী সাঃ বলেন রোজ কিয়ামতে পাচটি বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে তার একটি হল তুমি তোমার ধন সম্পদ কোথা থেকে আয় করেছো এবং কোন খাতে ব্যবহার করেছো?


মেশকাত শরীফ -সালাউদ্দিন বইঘর -৬ষ্ট খন্ড -৩০৭৩ নং হাদিস -আনাস (রাঃ) বলেন নবী (সাঃ )যয়নবের বিয়েতে যত বড় বিবাহ ভোজ করেছেন তা অন্য কোন বিবির জন্য করেনি,তাতে তিনি একটা ভেড়া দিয়ে বিবাহ ভোজ করিয়েছেন ।


অতএব বিবাহের সময় অনুস্ঠান বা বিবাহ ভোজ একটা (যে পক্ষই অনুস্ঠান করুক বা উভই পক্ষ একএে অনুস্ঠান করুক)এগুলো বিদআত কেন – নবী সাঃ এর সময় লোকজন বিয়ে করেছে ও নবী সাঃ অনেকের বিয়ে দিয়েছেন কিন্তু নবী সাঃ বৌ ভাত ,গায়ে হুলুদ অনুস্ঠান করেনি এজন্য এগুলো বিদআত (নবী (সাঃ ) মাগরিবের নামায পড়েছেন ৩ রাকাত এখন আপনি কি ৪ রাকাত নামায পড়বেন মাগরিবে? তিনি বিয়ের নিয়ম আমাদের বলে দিয়ে গেছেন?)

মেশকাত শরীফ -সালাউদ্দিন বইঘর -৬ষ্ট খন্ড -৩০৮০ নং হাদিস আবু হুরাইরা রাঃ থেকে বর্ণিত -নবী সাঃ বলেছেন সর্বাপেক্ষা মন্দ সে অলীমার ভোজ (বিবাহ ভোজ)যাতে ধনীদের দাওয়াত করা হয় আর গরীবদের বাদ দেওয়া হয়।

আমাদের উচিৎ যাদের বিবাহ ভোজে যাচ্ছি তাদের জন্য দোয়া করা।সেইটা অধিকাংশ লোকই আমরা করি না।গিফট না নিয়ে গেলে মান সম্মান থাকবে না অথচ গিফট বিবাহ ভোজের অংশ না ,দোয়া বিবাহ ভোজের অংশ।(গিফট দেওয়া যাবে না তা না , কিন্তু আমাদের দোয়া করা উচিৎ

২ -মিলাদ ও মৃত্যুর পর ৪০ শে পালন বিদআত।

নবী (সাঃ) এর সময় লোকজন মারা গেছে কিন্তু তিনি কখনও কারও জন্য মিলাদ বা ৪০ দিন পরে কোন অনুস্ঠান করেনি ।মৃত ব্যাক্তিদের জন্য দোয়া করেন,যা করলে আপনার পিতা মাতার ভাল হবে এটাই আমরা করি না ।

৩ -ঈদে মিলাদুন্নবী বিদআত ।(মিলাদ-জন্ম)

জন্মঅস্টমী (হিন্দু) , বড়দিন (খ্রিস্টান),মিলাদুন্নবী একই কথা একই কাজ।

সুরা আল ইমরান (৩) ১৪৯ নং আয়াতে আল্লাহ বলছেন – হে মানুষ ,তোমরা যারা (আল্লাহর উপর)ইমান এনেছো,তোমরা যদি NONMuslim দের অনুসরন করতে শুরু করো তাহলে এরা তোমাদের পূর্ববর্তি (জাহেলিয়াতের) অবস্হা ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।ফলে তোমরা নিদারুন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পরবে।

নবী (সাঃ) এর (মৃত্যু)ইন্তেকালের পর কোন সাহাবী (রাঃ) নবী (সাঃ) এর মিলাদুন্নবী অনুস্ঠান করেনি ।তাহলে আমরা করছি কেন?তাহলে সাহাবীরা কি ভুল করে গেছে? এ থেকে মানুষ শিখেছে নিজের,ছেলে মেয়ের জন্মদিন পালন।আরো লোক আছে তাদের জন্মদিন কেন পালন করছেন না?(সাহাবীরা,বাকি নবী-রাসুলরা কি দোষ করেছেন তাদের নাম তো আল্লাহ কোরআনে উল্লেখ করেছেন।

নবী (সাঃ) ইদে মিলাদুন্নবীর দিন কয় রাকাত নামায পরেছেন ? ইদের দিনতো মানুষ ২ রাকাত নামায পড়ে নাকি?

টাকার অপচয় ।কাউকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় ভাই আপনি কেন মিলাদুন্নবী পালন করেন?উত্তরে সে বলে আমরা মিলাদুন্নবী করি কারন আমরা নবী (সাঃ) কে ভালবাসি।আপনি যে টাকা মিলাদুন্নবীর দিন খরচ করছেন এইটা কি ঠিক?আল্লাহ বলেছেন আল্লাহর পথে খরচ করতে (দান করেন?) থেকে।যারা মিলাদুন্নবী করে তাদের চিন্তা দ্বীন পুর্নাঙ না তারা দ্বীন কে পুর্নাঙ করার অযথা চেস্টা করছে।কিন্তু আল্লাহ বলছেন -REF–আমি তোমাদের জন্য দ্বীন কে পুর্নাঙ করে দিলাম।

যেইটা করা উচিৎ সেইটাই আমরা করি না।নবী (সাঃ) প্রতি অতিরিক্ত সলাত (দুরুদ) পাঠ করেন প্রতিদিন।যা তিনি আদেশ করে গেছেন।
৪ -বিবাহ বার্ষিকী পালন করা বিদআত।
নবী (সাঃ) বিবাহ করেছেন কিন্তু কখন ও বিবাহ বার্ষিকী পালন করেনি এবং সাহাবীরাও করেনি ।
৫ -মোবাইল,কমপিউটার,ফ্যান,মাইক,ইটের বাড়ী ,প্লেন,নেট,টিভি,ডিস এ গুলো বিদআত না কেন।এগুলো তো নবী সাঃ এর সময় ছিলো না কিন্তু আমরা এ গুলো ব্যবহার করি।
আল্লাহর নিয়ামত গুলোকে আমরা ভাল কাজে ব্যবহার করি,
সহী মুসলিম -ইসলামিক ফাউন্ডেশন -৭ম খন্ড -৫৬৯৮ নং হাদিস -আবু হুরাইরা রাঃ থেকে বর্ণিত -নবী সাঃ বলেছেন -আল্লাহ বলেন আদম সন্তান যুগ ও সময় কে গালি দেয় ,অথচ এ গুলো আমিই নিয়ন্ত্রন করি এবং পরিবর্তন করি।
সুরা আস ছাফফাত (৩৭) ৯৬ নং আয়াত -আল্লাহ বলছেন – আল্লাহ তোমাদের সৃস্টি করেছেন এবং (সৃস্টি করেছেন) তোমরা যা কিছু বানাও তাও।
তিরমিযী শরীফ – মীনা বুক হাউস – হাদীস নং ১৯৮৮ – ইবনে সারিফ রাঃ থেকে বর্ণিত কিছু সাহাবী বললেন আমরা কি রোগীর চিকিৎসা করব না? আল্লাহর নবী (সাঃ) বলেছেন অবশ্যই চিকিৎসা করবে।
পূর্বে মানুষরা রোগ নিরাময়ের জন্য ডাক্তারের কাছে যেত এখনও মানুষ রোগ নিরাময়ের জন্য ডাক্তারের কাছে যায় কিন্তু এখন চিকিৎসা অনেক উন্নত এবং রোগও বেশী।রোগ বেশী বলেই ঔষধ ও যন্ত্রাংশ বেশী।

নবী (সাঃ) সময় এ মানুষেরা এক স্হান থেকে অন্য স্হানে গিয়েছে উটে বা পায়ে হেটে আর এখন আমরা যাচ্ছি বাসে,প্লেনে,গাড়িতে স্বল্প সময়ে।

নবী (সাঃ) সময় মানুষেরা এক স্হান থেকে অন্য স্হানে খবর পাঠিয়েছে লোকদের মাধ্যমে আর আমরা এখন খবর পাঠাচ্ছি মোবাইল বা মেইল এর মাধ্যমে অল্প সময়ে।
নবী (সাঃ) এর সময় টিভি , ডিশ , ইন্টারনেট ছিল না। টিভি , ডিশ , ইন্টারনেট এগুলো সংবাদ পাঠানোর একটি মাধ্যম ।এগুলোর আবিস্কার হয়েছে দুনিয়ার যে কোন প্রান্তের খবর অল্প সময়ে আপনার কাছে পাঠানোর জন্য।কিন্তু আমরা কি করছি? আমরা আমদের নবী (সাঃ)এর খবর মানুষের কাছে না পৌছে NONMuslim দের খবরটা নিচ্ছি এবং রীতিমত তাদেরটা ভাল মনে করে সেগুলো করছি।
একই কাজ আমরা করছি স্বল্প সময়ের মধ্য ,এজন্য এগুলো বিদআত না।কিন্তু বউ ভাত,গায়ে হলু্দ, ‌মিলাদ, জন্মদিন ,নববর্ষ আগে কখনও নবী (সাঃ) সাহাবীরা পালন করেনি ।তাহলে কি তারা ভুল করেছে?আসলে আমরা কি চাচ্ছি ?১২মাসে ১৩ টা অনুস্ঠান?
মাদ্রাসা – যে স্হানে মানুষদের কোরআন ও হাদিস শিক্ষা দেওয়া হয় ।নবী সাঃ বলেছেন তোমরা এতিমদের দেখ এজন্য এইটা বিদআত না।
তাবলীগ করা বিদআত না কারন নবী সাঃ এর সময় দূর দুরান্তের থেকে মানুষরা নবী সাঃ বা সাহাবীদের কাছে এসেছে ইসলাম জানার জন্য।আপনিও তো একই কাজ করছেন আপনার সামর্থের মধ্য তাবলীগ করতে ,ইসলাম কে জানতে।
সুরা মায়েদা (৫) ৬৭ নং আয়াত আল্লাহ বলেছেন – হে রাসুল – যা কিছু তোমার উপর নাযিল করা হইয়েছে তা তুমি অন্যর কাছে পোঁছে দেও, যদি তুমি তা না করো তাহলে তুমি তো মানুষদের তার (আল্লাহর) বার্তা পৌছে দিলে না।আল্লাহ তোমাকে মানুষের (অনিস্ট )থেকে বাচিয়ে রাখবেন।নিস্চয়ই আল্লাহ কখনও কোনো অবাধ্য জাতিকে পথ প্রদর্শন করেন না।
শিরক যা আমরা প্রায় করে থাকি কিন্তু জানি না এইগুলো শিরক !
শিরক ২ প্রকার আকবর শিরক(বড়),আসগর শিরক(ছোট)

১. আকবর শিরিক...

  • বাচ্চাদের কপালে কাজলের কালো ফোঁটা দেওয়া হয়,যাতে বদ নজর যেন না লাগে এইটা শিরক।কে রক্ষা করবে বদ নজর থেকে কাজলের কালো ফোঁটা ?(সুরা নাস,ফালাক।

২. আসগর শিরক(ছোট)

  • হুরাইরা রাঃ থেকে বর্ণিত নবী সাঃ বলেছেন তোমরা ধংসাত্নক কাজ থেকে বেচে থাক তা হলো আল্লাহর সঙ্গে শরীক করা ও যাদু করা।
  • মেশকাত শরীফ -সালাউদ্দিন বইঘর -১০ম খন্ড -৪৩৫৭ নং হাদিস -ঈসা বিন হামযা রা বলেন -একদা আমি উকাইমের নিকট গেলাম ,তার শরীরে লাল ফোসকা পড়েছে আমি বললাম আপনি তাবিজ ব্যবহার করবেন না?তিনি বললেন ,তা থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাই ।কেননা নবী সাঃ বলেছেন যে এই গুলো ব্যবহার করে তাকে তার প্রতি সর্পদ করে দেওয়া হয়।
  • আর যারা বলেন – আমার তাবিজে তো আল্লাহর কালাম লেখা অথচ তা নিয়ে আপনি বাথরুমে যাচ্ছেন ,যদি আপনাকে বলি আপনি কোরআন নিয়ে বাথরুমে যানতো, তা কি আপনি পারবেন?অথচ আপনি আল্লাহর কালাম কে অসন্মান করছেন ।আর তাবিজ যারা ব্যবহার করে তারা শিরকে লিপ্ত হয় এক না এক সময় তাবিজের উপর বিশ্বাস স্হাপন করে।

৯ । জ্ঞানগত শিরকঃ

  • রাসুল সাঃ গায়েব সম্পর্কে জানতেন বলে বিশ্বাস করা।
  • ভাগ্য সম্পর্কে জানার জন্য ফকির বা জ্যোতির্বিদদের নিকট গমন করা এবং তাদের কথা বিশ্বাস করা।
  • জিন বা জিন সাধক রা গায়েব সম্পর্কে জানতে পারে বলে বিশ্বাস করা।
  • পাখি ,বানর ইত্যাদির মাধ্যমে ভাগ্য জানার চেষ্ঠা করা ।
  • আল্লাহর ওলি-আওলিয়া ও পীর সাহেব গায়েব জানেন বলে বিশ্বাস করা।

১০ । পরিচালনা গত শিরিকঃ
  • বিপদ মুক্তির জন্য দুরুদ বা খতমে নবী পাঠ করা।
  • রাসুল সাঃ এর প্রশংসা বর্ণনা করে তাকে আল্লাহর অবতারে পরিনত করা।
  • ওলি-আওলিয়ারা পৃথিবী পরিচালনা করেন বলে বিশ্বাস করা।
  • কবরে পীররা হস্তক্ষেপ করতে পারে বলে বিশ্বাস করা।
  • কোন পীর কে দস্তগীর (আল্লাহর হাত পাকরাওকারী )নামে অভিহত করা
  • রাষ্টীয় ক্ষমতা প্রাপ্তির ক্ষেএে দেশের জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস মনে করা।
  • আওলিয়াদের কবরের মাটি,আশেপাশের গাছ বা পানি বা জীব জন্তুর দ্বারা উপকার সাধিত হয় বলে বিশ্বাস করা।
  • মানব রচিত বিধান ও আইন দ্বারা দেশ শাসন ও বিচার কার্য পরিচালনা করা।
  • জিনের অনিষ্ট থেকে বাচার জন্য জিনকে শিরনী দান করা।
  • ভাগ্য পরিবর্তনের ক্ষেএে পাথরের প্রভাবকে বিশ্বাস করা। তারকারাজির ও গ্রহের প্রভাবকে বিশ্বাস করা।


১১। উপসনাগত শিরিকঃ
  • আল্লাহর নামের সাথে যিকিরের সাথে রাসুল সাঃ এর নামের যিকির করা।যেমন – ইয়া রাসুল্লাহ,ইয়া রাহামুতল্লিল আলামিন,ইয়া নবী ,নুরে রাসুল,নুরে খোদা ইত্যাদি।
  • কবর মুখী হয়ে বা কবরের পাশে সালাত আদায় করা।
  • দ্রুত দোয়া কবুল হবার আশায় মুরশিদ বা পীর এর বৈঠকখানার দিকে মুখ করে দুয়া করা।
  • ওলি-আওলিয়াদের নিকট কিছু কামনা করা।
  • আওলিয়াদেরকে সাহায্য এর জন্য আহবান করা।
  • আওলিয়াদের কবরের পাশে দাড়িয়ে বিনয় প্রকাশ করা।
  • কবর,মাজার,,দরবার,মুকামে মানত করা।
  • কবরের চারপাশে প্রদক্ষিন করা।
  • কবরকে সামনে রেখে রুকু বা সিজদা করা।
  • গাইরুল্লাহর নামে কবর,মাজার বা অন্য কোথাও পুশু জবাই দেওয়া।
  • আল্লাহর ন্যায় পীর কে ভালবাসা।
  • অন্তরে ওলি-আওলিয়া বা পীরদের পক্ষ থেকে কোন অনিষ্টের গোপন ভয় করা।
  • আল্লাহ ব্যতীত অন্যর উপর ভরশা করা।
  • আল্লাহ বা রাসুল ব্যতীত অন্য কোন মত বা পথের অন্ধ আনুগত্য বা অনুকরন বা অনুসরন করা।
  • পীরের নিকট রহমত ও করুনা কামনা করা।
১২ । অভ্যাসগত শিরিক

  • রোগ নিরাময়ের জন্য ধাতব দ্রব্য দ্বারা তৈরী আংটি বা বালা পরিধান করা।
  • সর্ব অবস্হায় তাবিজ শিরিক।
  • আগুন,রক্ত,সন্তান ,মাটি ইত্যাদির নামে বা তাতে হাত রেখে শপথ গ্রহন করা বা কসম করা।
  • কপালে টাকা স্পর্শ করে তা সম্মান করা।