কাদিয়ানী কারা?

বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম, মানব জাতির হেদায়েতের জন্য আল্লাহ তা‌”লা যুগে যুগে যত নবী রাসুল প্রেরন করেছেন তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশৈষ নবী ও রাসুল হচ্ছেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।তিনি আখেরি নবী।খাতামুন্নাবিয়্যীন,তার পরে আর কোন নবী আসবেনা এবং আসার প্রয়োজন ও নাই।এই আকীদা ও বিশ্বাসের নামই
হচ্ছে আকীদায়ে খতমে নবুওয়ত।ঈমানদার হওয়ার জন্য এই আকীদায় বিশ্বাসী হওয়া অবশ্যই জরুরী।এই আকিদা অবিশ্বাস করে কেউ যদি এখন নবী বা রাসুল হওয়ার দাবি করে তাহলে সে হবে দাজ্জাল মিথ্যুক ও কাফের।আর যারা ঐ মিথ্যুককে নবী মানবে তারাও কাফের।
হযরত সাওবান রাঃ থেকে বর্নিত,রাসুলে আকরাম (সাঃ) ইরশাদ করেন,অচিরে আমার উম্মতের মধ্যে ত্রিশ জন মিথ্যাবাদী র আবির্ভাব ঘটবে,তারা প্রত্যেকে নবী হওয়ার দাবি করবে।অথচ আমিই সর্বশেষ নবী।আমার পরে আর কোন নবী আসবেনা।(মুসলীম শলীফ)মুসলিম উম্মাহর এই শাশ্বত আকিদা বিশ্বাসে ফাটল সৃষ্টি করে মির্জা গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী নবী হওয়ার দাবি করে বসে ১৯০১ সালের দিকে।উপমহাদেশে এদের আবির্ভাব মুসলিম উম্মাহর জন্য ক্যান্সার সরুপ।স্বার্থপর বৃটিশ সরকার তাদের আধিপত্য পাকাপোক্ত করার জন্য এবং মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃস্টির লক্ষে পুর্ব পান্জাবের গুরুদাসপুর জেলার কাদিয়ানের অধিবাসি মির্জা গোলাম আহমদ কে মিথ্যা নবুয়তের দাবিদার বানিয়ে দাড় করায়।সে তৎকালীন সরকারের সহযোগিতায় অতি ধীরে ধীরে কিছু সংখ্যক সরল মুসলমান কে পথভ্রস্ট করতে সক্ষম হয়।
মুসলমানদের সম্পর্কে কাদিয়ানী আকিদাঃ
মীর্যা গোলাম আহমাদ কাদিয়ানীদের অনুসারি ছাড়া প্রথিবীতে যত মুসলমান আছে অর্থাৎ আপনি,আমি আমরা সকলেই যারা প্রীয় নবীজী সাঃ প্রচারিত আল্লাহর তরফ হতে আসা ইসলাম ধর্ম মানি আমরা সকলে কাফের।এ বিষয়ে ভন্ড কাদিয়ানী বক্তব্য গুলো নিম্নরুপঃ---
১)আমার এসব কিতাবকে প্রতিটি মুসলমান মহব্বতের দৃস্টিতে দেখে,কিন্ত জারজ আর বেশ্যার সন্তান রা এটাকে মানে না।(মীর্যার লিখিত আয়নায়ে কামালতে ইসলাম ৫৭৪)
মীর্যার এই বক্তব্য বুঝা যাচ্চে আমরা যারা তাকে নবী বলে মানিনা আমরা সকলে জারজ সন্তান।
২)আমার বিরোধীকারীরা জংগলের শুকুর হয়ে গেছে আর তাদের স্ত্রীরা কুকুরীর চেয়ে নিকৃস্ট।(মীর্যার রচিত নাজমুল হুদা-১৫ পৃষ্টা)
৩)যারা আমাকে আমার বিজয়ের স্বীকৃতি দেবেনা,তাদের হারামজাদা হওয়ার ইচ্ছা আছে।(আনওয়ারুল ইসলাম ৩০ পৃষ্ঠা)
৪)যারা আমার বিরোধীতা করবে তারা ইহুদি,খৃষ্টান আর মুশরিক বলে গন্য হবে।(নুযুলে মাসীহ-৪)
৫)মানুষের মধ্যে যারা শয়তান তারাই আমাকে মানেনা।(চশমায়ে মারেফাত)
পাঠক বৃন্দ এই হলো একজন নবীর(?)শব্দ।তার দৃষ্টিতে তার মুস্টিমেয় কিছু অনুসারী ছাড়া আমারা সকলেই কাফের,জারজ,হারামজাদা,তার অনুসারী অল্প কয়জন বেহেস্ত যাবে আর আমরা যারা মুসলমান সারা দৃনিয়াতে ছড়িয় আছি আমরা সুযোগ পাবনা।তার কথায় বুঝা যাচ্ছে আল্লাহ তায়ালার বেহেষ্ত জায়গা কম হয়ে গেছে।
সুতরাং আজ আমাদের সকলকে সোচ্চার হতে হবে তাদের বিরুদ্ধে।নিজেরা তাদের সম্বন্দে আরো জানার চেষ্টা করব এবং সেই সাথে যারা জানেনে তাদের কে কাদিয়াণী সম্পর্কে অবহিত করব।তাদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক করতে হবে।
খৃষ্টান মিশনারীরা যেমন মানব সেবার ছদ্দবেশে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে বাইবেল এবং পুস্তক পুস্তিকা অবাধে বিতরন করে বেড়াচ্ছে এই অমুসলিম কাদিয়ানীরাও ঠিক সেই ভাবে তাদের ভ্রান্ত মতবাদ,ইসলামের নামে প্রচার করে বেড়াচ্ছে।চাকুরী প্রদান,বিদেশে পাঠানর লোভ সহ নানারকম সুযোগ-সুবিধা দেয়ার প্রলোভনে দেখিয়ে এরা সরলমনা যুবক এবং বেকারদেরকে সহ যারা ইসলামকে মানে কিন্তু আকিদা বা আমল সম্পর্কে একটু সচেতন কম বা যারা কম জানে তাদেরকে টার্গেট করে নিজেদের দলে ভিড়েয়ে নিয়ে ঈমান হারা করছে।
আজ আমরা এতই অগ্ঞ হয়ে বসে আছি যে কাদিয়ানীদের পরিচয় পর্যন্ত জানিনা।যার কারনে অজান্তে তাদের সাথে উঠাবসা মেলা-মেশা করছি।এমন কি তাদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক পর্যন্ত হচ্ছে।কাদিয়াণী মতবাদ প্রচার করার জন্য যত টাকা পয়ষা বা অন্যাণ্য সুযোগ সুবিধা তাদের জন্মলগ্ণ থেকে নাছারা রা বহন করে আসছে।আল্লাহ আমাদের সকলকে ঈমাণী শক্তি বলিয়ান করুন এবং সমস্ত ঈমান নস্টকারী ফেরকা থেকে হেফাজত করুন্। আমার এই লেখার উদ্দেশ্য কাউকে আঘাত করা নয়। বরং আমরা মুসলমানরা যাতে ঈমান রক্ষায় আরো সতর্ক হয়। তার জন্য। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করেন।

কাদিয়ানী আল্লাহর আয়াতকেই উল্টিয়েছে কিভাবে?

কাদিয়ানী আল্লাহর আয়াতকেই উল্টিয়েছে কিভাবে?
রাসুলের মাঝেই আজকে মোসলেম উম্মাহর জন্য উত্তম আদর্শ নিহিত।
কিছু কাদিয়ানী মাঠে নেমেছে যারা এমন ভাবে আয়াত দেখাই যে রাসুলই বাদ পড়ে যায়।তারা বলে সুরা আহযাবে 40 নং আয়াতে শেষ নবী (মানে খাতামুন্নাবিয়ীন) তার পর বলে শেষ নবী মানে নবী শেষ, রাসুল শেষ নয়। আল্লাহ বোললেন যে শেষ এরা বলে রাসুল আসবে (মানে ইসা (আ) রাসুল হিসাবে আসবে। মানে আল্লাহ অন্য আয়াতে দীন পরিপুন এই আয়াত মিথ্যে হয়ে যায়।(Deen is complete) তাইলে কেমনে আবার রাসুল আসবে? আল্লাহ নিজেই বলেছেন -তাহার কথাই কোন রদবদল হয়না। (সুরা আল কাহাফ 29) তাইলে কি কাদিয়ানী দের বেলায় তাদের চিন্তার উপর Depend করে আবার রাসুল পাঠাইবেন?
আল্লাহ যে অর্থে এই আয়াত বলেছে তারা তার তরজমা উল্টা বুঝে।তারপরে মানুষকে বিভ্রান্ত করে, মানুষ মেনে নিতে বাধ্য হয়। কারন কোরানের আয়াত কিন্তু আল্লাহ অইভাবে বলেননি।
এরা এও বোঝেনা যে -“প্রত্যেক নবী মানেই রাসুল নন আর প্রত্যেক রাসুল মানেই নবী।”
(এই সুত্র যারাই ভুলবেন তারাই কাদিয়ানী বিশাস করতে শুরু করবেন)
আল্লাহ বোললেন “খাতামুন্নাবিয়ীন “মানে শেষ নবী- রাসুল মানেই যদি নবী হয় তাহলে নবী খতম হলে রাসুল আসার কি প্রয়োজন? কারন. রেসালা  অহী বন্ধ  / Deen complete. Nothing য় added with deen.How will Rasool come again?
নবীর দায়িত্ব রেসালা দিয়ে আল্লাহর বিধান দিয়ে মানুষ পরিচালনা উহা সমাজে/রাষ্ট্রে  প্রতিষ্টিত করা। এই হলো নবী আর যিনি আল্লাহর কাছ হতে “অহী পাবেন তিনি রাসুল (কারন তিনি আল্লাহর কাছ হতে রেসালা নিবেন “অহী প্রাপ্ত হবেন।)যিনি রেসালা বা অহী নেবেন তিনিই হলো রাসুল বা রাসুলাল্লাহ । আর সুরা আহযাবে 40 নং আয়াতে খাতামুন্নাবিয়ীন না বলে যদি আল্লাহ বলতেন খাতাবুরাসুল তাহা হইলে কাদিয়ানী আরো বিশাল সুযোগ পাইতো মানে নবী আসবেই। এই জন্য আল্লাহ জানেন তিনি রাহমানুর রাহীম তাই আল্লাহ বল্লেন খাতামুন্নাবিয়ীন ,কারন আল্লাহ যদি খাতামুন্নাবিয়ীন না বলেন তাইলে কোরানের বহু আয়াত বাদ পরে যায়।
(যেমন এসলাম পরিপুণ – দীন কে পুন করলাম)
তাই আল্লাহ গোড়ায় মেরে দিয়ে বলেছেন খাতামুন্নাবিয়ীন (আহযাব 40) কারন আল্লাহ মহান তাই সত্যি জবাবই দিলেন মানব জাতি আবার “এই সুত্র ভুলে যাবে?, নবী মানেই রাসুল নন আর রাসুল মানেই নবী? এখানেই কাদিয়ানী ধরা।  আল্লাহ জানতেন যে এগুলো হবে তাই আল্লাহ খাতামুন্নাবিয়ীন দিয়েছে।আর কোরানে কোন ভুল নেই (বাকারা- 1)অবশ্যই এই আয়াত বলতেন আল্লাহ। কাজেই কাদিয়ানী মহা প্রতারক শয়তান এদের যারা মানে তারাও শয়তান তাও ডাহা শয়তান।
তাই কাদিয়ানী হতে দুরে থাকুন।
কিছু কিছু আয়াতে আল্লাহ রাসুলুল্লাহ (দ)কে সতর্ক করেছেন মাত্র। সারা কোরানে আল্লাহ রাসুলের (দ) সাথে তুই, তুকার পযন্ত বলেননি।বলেছে আপনি বলুন,বারে বারে সারা কোরানে- বলো , বলে দিন কি সুন্দর মধুর ব্যবহার। 
কিন্তু আজ এই কাদিয়ানী রাসুলের উপর দরুদ ও সালাম দেয় না যেটা আল্লাহ নিজে দিতে বলেছেন।
এদের কাজ কারবার দেখলে চোখে জল এসে যায়, কারন এরা সরাসরি রাসুল (দ) কে বাদ দিয়ে লইছে। আল্লাহ বলেন আমাকে পেতে হলে আমার সাহায্য পেতে হলে রাসুল কে ভালোবাসো অনুসরণ করো মানো ,তাও আবার  তোমাদের পরিবারের চেয়ে। তাই আল্লাহ বললেন রাসুলুল্লাহ (দ) এর মাঝে উওম আদর্শ রয়েছে। (সুরা আহযাব 21)
তাহলে যে যায়গায় আল্লাহ রাসুল (দ) সম্মান জানিয়েছ আমরা সম্মান (মানে দরুদ)  জানাবো না? আল্লাহ এবং মালাইকা সহ রসুলের উপড় দরুদ ও সালাম পাঠান।
সালাতু সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ (দ)
সালাতু সালামু আলাইকা ইয়া হাবিবাল্লাহ
সালাতু সালামু আলাইকা ইয়া খাতামুন্নাবিয়ীন
সালাতু সালামু আলাইকা ইয়া রাহমাতাল্লিল আলামিন।
রাসুলের ভালোবাসা আনুগত্য. রাসুলের সেরাত ছাড়া, আদর্শ ছাড়া কেউ কোনদিন জান্নাতে যাইতে পারবেনা। রাসুলের জীবনে আল্লাহর হুকুমের বাহিরে কোন কাজ করেননি।
ইয়া আল্লাহ তুমি আমাদের রাসুলের উওম আদর্শ অনুসরণ করার তওফীক দাও। (আমিন)

বিস্তারিত আরও দেখুনঃ

15 comments:

  1. সদা সত্য30 September 2015 at 21:23

    মহনবী (সা:) এর পর মির্যা কাদিয়ানীকে নবী মানার কারণে যদি কাদিয়ানীরা ইসলামের শত্রু হয়, তবে খৃষ্টানদের খোদা যিশুকে মৃত প্রমাণ করার মাধ্যমে কাদিয়ানীরা তাদের দালাল হয় কিভাবে? একটু বুঝিয়ে বলবেন প্লিজ।

    ReplyDelete
  2. ///মহনবী (সা:) এর পর মির্যা কাদিয়ানীকে নবী মানার কারণে যদি কাদিয়ানীরা ইসলামের শত্রু হয়, তবে খৃষ্টানদের খোদা যিশুকে মৃত প্রমাণ করার মাধ্যমে কাদিয়ানীরা তাদের দালাল হয় কিভাবে? একটু বুঝিয়ে বলবেন প্লিজ।///

    কাদিয়ানীদের খৃষ্টানদের দালাল কোথায় বলা হয়েছে? দয়া করে পংতিটি উল্লেখ করুন

    ReplyDelete
  3. সদা সত্য4 October 2015 at 02:46

    //কাদিয়ানীদের খৃষ্টানদের দালাল কোথায় বলা হয়েছে? দয়া করে পংতিটি উল্লেখ করুন//

    আপনার নিম্নোক্ত উক্তি কি তা বোঝায় না?

    "..কাদিয়াণী মতবাদ প্রচার করার জন্য যত টাকা পয়ষা বা অন্যাণ্য সুযোগ সুবিধা তাদের জন্মলগ্ণ থেকে নাছারা রা বহন করে আসছে"

    ReplyDelete
  4. সদা সত্য5 October 2015 at 00:50

    মুজাহিদ ভাই, আপনার উত্তরের অপেক্ষায়। আমার আরো প্রশ্ন আছে, তবে প্রথমটির উত্তর পাবার পর সেগুলো করবো।

    ReplyDelete
  5. সদা সত্য5 October 2015 at 03:14

    মুজাহিদ ভাই, আশা করছি, আমার প্রশ্ন আর আপনার উত্তরের মাধ্যমে কাদিয়ানীদের মুখোশ সবার সামনে উম্নেচন হবে।

    ReplyDelete
  6. মুজাহিদ ভাই, আপনি কি উত্তর দিতে পারছেন না? খুবই আশ্চর্য হলাম। মির্যা কাদিয়ানীকে নিয়ে এতবড় লেখা লিখে ফেললেন আর আমার মাত্র একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছেন না!

    ReplyDelete
  7. আপনার নিম্নোক্ত উক্তিরও প্রমাণ করে কাদিয়ানীরা বৃটিশ তখা খৃষ্টানদের দালাল,

    "স্বার্থপর বৃটিশ সরকার তাদের আধিপত্য পাকাপোক্ত করার জন্য এবং মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃস্টির লক্ষে পুর্ব পান্জাবের গুরুদাসপুর জেলার কাদিয়ানের অধিবাসি মির্জা গোলাম আহমদ কে মিথ্যা নবুয়তের দাবিদার বানিয়ে দাড় করায়।?"

    যখন দেখি যে মির্যা সাহেব মসীহ (আ:) কে মৃত প্রমাণ করেন (http://ahmadiyyabangla.org/Articles/Jesus/jesus1.htm) তখন আপনার কথা বিশ্বাস করার যুক্তি কোথায়?

    ReplyDelete
  8. মুজাহিদ ভাইয়ের সুবাদে কাদিয়ানীদের ওয়েব সাইট ঘেটে জানতে পারলাম আমাদের প্রিয় নবী (সা:) এর প্রতি মির্যা কাদিয়ানী কিরুপ মনোভাব রাখতেন।

    http://www.ahmadiyyabangla.org/Articles/The%20Promised%20Messiah%20and%20Imam%20Mahdi%20(as)/shortbioimammahdias.htm

    স্মরণ রাখো, আমাদের ধর্মবিশ্বাস এই যে, পবিত্র কুরআন শেষ কিতাব ও শেষ শরীয়ত, এবং এরপর কিয়ামত পর্যন্ত এ অর্থে কোনো নবী নেই যিনি শরীয়তধারী হবেন অথবা হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুবর্তিতার মাধ্যম ব্যতীত অন্য কোনো পথে ওহী লাভ করতে পারেন। বরং কেয়ামত পর্যন্ত এ দ্বার রূদ্ধ হয়ে গেছে আর নবী (সা.)-এর অনুবর্তিতার মাধ্যমে ওহীর নেয়ামত লাভের দরজা কেয়ামত পর্যন্ত খোলা আছে। সেই ওহী যা [রসূলুল্লাহ (সা.)-এর] অনুবর্তিতার ফল তার ধার কখনো ছিন্ন হবে না। কিন্তু, শরীয়তধারী নবুওয়ত বা স্বাধীন নবুওয়তের ধারা ছিন্ন হয়ে গেছে এবং কেয়ামত পর্যন্ত এ দ্বার উন্মূক্ত হবে না। যে বলে যে, সে মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুবর্তী নয়, আর শরীয়তধারী নবী বা এ উম্মতের বাইরে শরীয়তবিহীন নবী হওয়ার দাবী করে, তার উপমা এমন ব্যক্তির ন্যায় যাকে এক প্লাবনে শক্তিশালী স্রোত ভ্রান্ত পথে টেনে নিয়ে যাচ্ছে যা থেকে মৃত্যুর পূর্বে উদ্ধার পাওয়ার তার কোনো পথ নেই।

    (রিভিউ বর মুবাহাসা বাটালভী ও চক্রালভী, রূহানী খাযায়েন, ১৯ খণ্ড, পৃ. ২১৩)

    ReplyDelete
  9. মির্যা কাদিয়ানী আরো কি বলে শুনুন,

    http://www.ahmadiyyabangla.org/Articles/The%20Promised%20Messiah%20and%20Imam%20Mahdi%20(as)/shortbioimammahdias.htm

    যেমন সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ তা’লার নামসমূহ, এবং যেমন পবিত্র কুর’আনের শব্দসমূহ এবং যেমনটি সেই সকল পূর্ণাঙ্গতা বা শ্রেষ্ঠত্বসমূহ যা আল্লাহ্‌র বিচারে রসূলুল্লাহ (সা.) লাভ করেছেন এমন গুরুগম্ভীর কসমের সাথে আমি ঘোষণা করছি যে, আঁ-হযরত (সা.)-এর উপর আমার ঈমান রয়েছে। আমার ধর্ম বিশ্বাসের কোনো অংশ আল্লাহ্ তা’লা এবং তাঁর রসূল (সা.)-এর আদেশের পরিপন্থী নয়। যদি কেউ এরূপ ধারণা করে থাকে, তবে নিশ্চয় তা তার ভুল বুঝার ফল। যে কেউ আমাকে এর পরও কাফির গণ্য করে, এবং আমাকে কাফির অভিহিত করা থেকে বিরত হয় না, তার স্মরণ রাখা উচিত যে, মৃত্যুর পরে এর জন্য তাকে জবাবদিহি করতে হবে। সর্বশক্তিমান খোদা তা’লা সাক্ষী যে, খোদা তা’লা এবং তাঁর রসূল (সা.)-এর উপর আমার ঈমান এতোটাই দৃঢ় যে, যদি এ যুগের সকলের ঈমানকে এক পাল্লায় রেখে আমার ঈমানকে আরেক পাল্লায় রাখা হয়, তবে আল্লাহ্‌র ফযলে আমার ঈমান ভারী সাব্যস্ত হবে।

    (কারামাতুস সাদেকীন, রূহানী খাযায়েন, ৭ম খণ্ড, পৃ. ৬৭)

    ReplyDelete
  10. মুজাহিদ6 November 2015 at 02:34

    মির্জা গোলাম আহমাদ উম্নতী নবী (হযরত মুহাম্মদ সা. এর চাকর নবী) হওয়ার দাবি করেন 1889 সালে। কিন্তু আপনি বললেন 1901 সালে । আপনি ভুল তথ্য কেন দিলেন?

    ReplyDelete
  11. মির্জা গোলাম আহমাদ উম্নতী নবী (হযরত মুহাম্মদ সা. এর চাকর নবী) হওয়ার দাবি করেন 1889 সালে। কিন্তু আপনি বললেন 1901 সালে । আপনি ভুল তথ্য কেন দিলেন?

    ReplyDelete
  12. মুজাহিদ ভাই, কাদিয়ানীদের সত্যতা প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে। কিছু করুন প্লিজ।

    ReplyDelete
  13. মুজাহিদ ভাই, আপনি লিখেছেন: কাদিয়ানী আল্লাহর আয়াতকেই উল্টিয়েছে কিভাবে?

    কিন্তু কোরআনের সুরা হিজর এর ৯নং আয়াতে আল্লাহপাক স্পষ্টভাবে ঘোষনা দিয়েছেন: নিশ্চয় আমরা কোরআন নাযেল করেছি এবং নিশ্চয় আমরাই এর হেফাজতকারী।

    তাহলে আল্লাহর ঘোষনাকে কি আপনি সত্য বলে মনে করেন না?

    ReplyDelete
  14. মুজাহিদ ভাই, আপনি বলেছেন, "এরা সরাসরি রাসুল (দ) কে বাদ দিয়ে লইছে"

    কিন্তু আমরা তো আজি যে, ইমাম মাহদী (আ:) আসার কথা হাদিসেই আছে। তাহলে প্রশ্ন হলো হাদিস অনুযায়ী যার আসার কথা তিনি কিভাবে মহানবী (সা:) কে অস্বীকার করতে পারেন? তাকে তো হাদিস থেকেই প্রমান দেখাতে হচ্ছে যে তিনি ইমাম মাহদী (আ:)!

    ReplyDelete
  15. জাজাকাল্লাহ।

    ReplyDelete

Thanks for comments