মুসলিম উম্মতের ঐক্য

সুরা ইউসুফ -(১২) ১০৬ -নং আয়াত আল্লাহ বলছেন – অধিকাংশ মানুষ আল্লাহর প্রতি ইমান আনা স্বত্বেও মুশরেকদের অন্তর্ভুক্ত।(মুশরেক – যারা শিরক করে)সুরা বাকারা -(২) ১২৪ -নং আয়াত আল্লাহ বলছেন -[ইব্র্রাহীম (আঃ) কে] আমি তোমাকে মানব জাতির নেতা ( ইমাম ) বানাতে চাই।মেশকাত শরীফ – ৩য় খন্ড – সালাউদ্দিন বই ঘর – ১৬৪ নং
হাদীস -ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত নবী (সাঃ) বলেছেন বনী ইসরাঈলের যা হয়েছিল আমার উম্মতের অবস্হা  তাই হবে ।যেমন জুতার সাথে জুতা।এমনকি তাদের কেও যদি মায়ের সাথে প্রকাশ্য যেনা করে থাকে তবে আমার উম্মতের মধ্যও এমন নরাধম হবে,যে এ কাজ করে বসবে এ ছাড়া বনী ইসরাঈল ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছিল আর আমার উম্মত বিভক্ত হবে ৭৩
দলে ।আর তাদের  ১ টি দল ছাড়া সবাই জাহান্নামে যাবে ।সবাই বলল হে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) সেটি কোন দল?উত্তরে হুজুর (সাঃ) বললেন আমি ও আমার সাহাবীগন যে দলে আছি সেই দল।

Photobucket

১ । আপনাকেই জীজ্ঞাসা করছি ?? নিজের বিবেক কে প্রশ্ন করুন !

২ । আপনি কোন মুসলিম দল বা কোন ধরনের মুসলিম??

৩ । হানাফী , সাফেয়ী , মালেকী , হাম্বলী , আহলে হাদীস , সালাফী , সিয়া , আহমেদী , মুতাজালী , মুজাহেদী , আনসারী , ওহাবী ??

৪ । নাকি অন্য কোন দল  ?? নাকি মুসলিম ??

৫ । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কোন দল ছিলেন ??

  • হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)  ছিলেন মুসলিম

  • সুরা আল ইমরান (৩)৫২ নং আয়াত – আল্লাহ বলছেন – ইসা (আঃ) ছিলেন মুসলিম ।(আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্হাপন কারি ও আল্লাহর কাছে আত্নসমর্পণ কারি কে মুসলমান বলে)

  •  আল ইমরান (৩)৬৭ নং আয়াত – আল্লাহ বলছেন – ইব্রাহিম (আঃ) ছিলেন মুসলিম।

  • সুরা ফসিলত (৪১)৩৩ নং আয়াত আল্লাহ বলছেন ঐ ব্যক্তি অপেক্ষা কথায় কে উত্তম যে আল্লাহর দিকে মানুষ কে আহবান করে , সৎ কাজ করে এবং বলে আমি আত্নসমর্পন কারিদের অন্তরভুক্ত।

  • সুরা আল ইমরান (৩)১০৩ নং আয়াত আল্লাহ বলছেন তোমরা সাবাই মিলে আল্লাহর রশি কে শক্ত করে আকরে ধরো ও কখনও পরস্পর বিছিন্ন হয়ো না।  (রশি মানে কোরআন ও সহী হাদীস )

  • সুরা আল আনাম (৬)১৫৯ নং আয়াত আল্লাহ বলছেন  নিশ্চয়ই যারা দ্বীনকে খন্ড বিখন্ড করেছেন এবং দলে উপদলে বিভক্ত হয়েছে তাদের সাথে তোমার (নবী সাঃ এর সাথে)কোন সম্পর্ক নেই ,তাদের বিষয়টি নিশ্চয়ই আল্লাহর হাওলায় রয়েছে।

৬ । কোনটা ভাল বুদ্ধি ??

৭ । সহী হাদীস মেনে চলা ?? নাকি দুর্বল ,জাল হাদীস ,ফতোয়া মেনে চলা ??

  • ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) , ইমাম শাফেয়ি (রহঃ) , ইমাম মালিক (রহঃ) , ইমাম হাম্বল (রহঃ) বলেছেন যদি তোমরা কোন সহী হাদীস পাও যা আমার ফতোয়ার সাথে  মিলে না তাহলে আমার ফতোয়া দেয়ালে ছুড়ে মারো। (ছেড়ে দাও)এবং সহী হাদীস টা নিয়ে নাও ।(মেনে চলো)

৯ । (আমাদের দেশে প্রচলিত নামায শিক্ষা বই)

১০ ।(নিচের বই গুলোতে নামাজ এর সব সহী হাদীস দেওয়া আছে যে কোন একটা বেছে নিয়ে নামাজ পড়লে ভাল হবে)

  • Allah`r Rasul Kivabe Namaz Porten (Bangla)By Ibnul Kayum

  • আল্লাহর রাসুল কিভাবে নামায পড়তেন  লিখেছেন ইবনুল কায়্যিম  click here to download

Photobucket
Photobucket
  • Rasul SAW’s Namaz (Bangla) By Nasiruddin Sah Albani

  • রাসুল সাঃ এর নামায লিখেছেন নাসিরুদ্দিন শাহ আলবানী  click here to download

১১ । আপনার পীর , মৌলভী , ইমাম , আলেম কি কোরআন ও সহী হাদীস মেনে চলে ??

১২ । আপনার পীর , মৌলভী , ইমাম , আলেম কোরআন ও সহী হাদীসের আলোকে সব কিছু বলে বা করে 

১৪ ।  আমরা দ্বীনের পিছনে কতটুকু সময় দিই 

  • সুরা  আল হুজুরাত (৪৯)৬নং আয়াত আল্লাহ বলছেন -হে ইমানদার ব্যাক্তিরা ,যদি কোন দুষ্ট লোক তোমাদের কাছে কোন তথ্য নিয়ে আসে তবে পরখ করে দেখবে । (কে দুষ্ট কে ভাল তা আল্লাহই ভাল জানে) কিন্তু আমাদের পরখ করার সময় নেই কেন ?

  • সুরা বাকারা (১) ৭৯ নং আয়াত – আল্লাহ বলছেন – সে সব লোকের জন্য ধ্বংস (অনিবার্য)যারা হাত দিয়ে কিতাব লিখে নেয় তারপর বলে এগুলো হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ থেকে ,তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে যেন তা দিয়ে (দুনিয়াতে)কিছু কিনতে পারে।

  • আসুন আমরা সবাই কোরআন বাংলায় বুঝে পড়ি (আরবী ও পড়তে হবে)এবং সহী হাদীস পড়ি ,আমাদের দেশে সব বইয়ের দোকানে কোরআন বাংলায় ,বুখারী শরীফ ,মুসলিম শরীফ,দাউদ শরীফ,তিরমিযি শরীফ,নাসাই শরীফ,ইবন মাজাহ শরীফ ,মিশকাত শরীফ,রিয়াদ্বুস ছলেহীন বাংলায় খুব কম দামে কিনতে পাওয়া যায় ।(সব খন্ড একএে)

১৫ । আপনার পীর বা ইমাম কে আপনি কতক্ষন অনুসরন করবেন ??যতক্ষন আপনার পীর বা ইমাম কোরআন ও সহী হাদীস অনুসরন করবে ততক্ষন??

১৬ । আপনার পীর বা ইমামদের মধ্য যদি মতানৈক্য থাকে তাহলে আপনি কি করবেন?? (আমরা জানি ইমাম বা পীরদের মধ্য অনেক মতানৈক্য রয়েছে)

  • সুরা নিসা (8)৫৯ নং আয়াত – আল্লাহ বলছেন – হে ইমানদার মানুষরা তোমরা আল্লহর আনুগত্য করো,আনুগত্য করো (তার) রাসুলের এবং সেসব লোকদের যারা তোমাদের মাঝে দায়িত্বপ্রাপ্ত ,অতপর কোন ব্যাপারে তো্মরা যদি একে অপরের সাথে মতবিরোধ করো,তাহলে সে বিষয়টি (ফয়সালার জন্যে)আল্লাহ ও রাসুলের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাও।

  • সুরা কাহাফ (১৮)৫৪ নং আয়াত – আল্লাহ বলছেন – আমি মানুষের বোঝার জন্যে এই কোরআনের সব ধরনের উপমা বিশদভাবে বর্ণনা করেছি কিন্তু মানুষরা অধিকাংশ বিষয় নিয়েই তর্ক করে ।

বিভিন্ন দল হওয়ার পিছনে কারন গুলো কি কি?

  • যত পীর তত দল ” চিন্তা করে দেখুন”।পীরখানা গুলো যারা চালায় তারা এর জন্য দায়ী।

  • পরা শক্তি এর পিছনে কাজ করে ,কেননা মুসলমানরা এক হয়ে গেলে যদি ক্ষমতায় চলে যায় (কিছু দেশ চাই না মুসলমান এক হয়ে যাক ) শোনা কথা এর পিছনে কিছু টাকাও ব্যায় করা হয়।

  • মুসলমানরা কোরআন ও সহী সুন্নাহ থেকে দূরে।

  • কিছু জাল ও দুর্বল হাদিস নিয়ে তর্ক বা বিরোধ।

  • মানুষদের মধ্য তাকলিদ বা গোড়ামী। মানুষের common  উত্তর – আমি যা এতদিন জেনে এসেছি তা ভুল?তোমরা বেশি জান।এত লোক সব ভুল করছে?আপনি যদি বুখারি বা মুসলিম শরীফের এমন কোন হাদিস বর্ণনা করেন যা মানুষ জানে না, তাহলে তারা বলবে এসব নুতুন কিছু কই পেয়েছ?আমাদের সময় এইগুলো ছিল না।

গুলো নিরাময়ের উপায় ?

  • মানুষদের তাকলিদ বা গোড়ামী না করা ।

  • জাল ও দুর্বল হাদিস গুলো অনুযায়ী আমল না করা ।জাল ও দুর্বল হাদিস গুলো নিয়ে তর্ক না করা ।কেন আপনি জাল ও দুর্বল হাদিস অনুযায়ী আমল করে Risk নিবেন?

  • পীরখানা গুলোয় না যাওয়া। (তাদের কবর যিয়ারত করা যাবে)

  • মুসলমানদের কোরআন ও সহী সুন্নাহ মেনে চলা।

  • পরা শক্তি দেরকে নিজেদের মধ্য ঠায় বা প্রশয় না দেওয়া।

  • প্রথমে আমাদের মানতে হবে কোরআন ও সহী হাদিস তারপর ৪ইমাম এর ফতোয়ার গুরুত্ব দিতে হবে।তাহলে সকল মুসলিম এক হয়ে যাবে

  • এই হাদিস এর সঠিক মানে বুঝা - নবী সাঃ ভবিষৎ বানী করেছেন যে আমার উম্মতের মধ্য ৭৩ টা দল হবে। নবী সাঃ কখনই বলেনি তোমরা ৭৩ টা দল বানাও

শেষ কথা

প্রতিটি দলের মাঝে ৯৫% মিল মাত্র ৫% এদিক আর সেদিক -কেউ Non Muslim থেকে কিছু নিয়েছে , কেউ জাল ও দুর্বল হাদিস গুলো অনুযায়ী আমল করে আর কেউ সহী হাদিস অনুযায়ী আমল করে ।আসুন আমরা সকলে এই ৫% ঠিক করে নিই এবং খাটি মুসলমান হয়ে যায় – আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে সঠিক বোঝার তৌফিক দান করেন এবং আমরা যেন সকল মুসলমান এক হয়ে যায় ,আল্লাহ যেন আমাদের উপর রহম করেন – আমীন

******************************************************************************

কেও যদি আর কোন কারন খুজে পান তাহলে দয়া করে এইখানে লিখুন