নামাজ-নামাজ যেভাবে আদায় করবেনঃ আমরা আজ জানাব নামাজের সঠিক সময়, নামাজের নিওম উচ্চারন সহ (আরবি উচ্চারন বাংলায় সঠিক ভাবে লেখা সম্ভব না। তাই আপনি সঠিক উচ্চারন জেনে নিন)। এবং ছবি সহ নামাজের সঠিক নিয়ম, আল্লাহ আমাদের সকলকে মঙ্গল করুন। আমিন।
ফরয নামায
ইসলাম মুসলমানদের উপর দিন ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছে। আর এগুলো হল, ফজরের নামায, যোহরের নামায, আসরের নামায, মাগরিবের নামায এবং এশার নামায।
১। ফজরের নামায: ফজরের নামায দুই রাকাত। এর সময় ফজরেসানী অর্থাৎ রাতের শেষাংশে, পূর্বাকাশে, শ্বেত আভা প্রসারিত হওয়া থেকে নিয়ে সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত।
২। যোহরের নামায: যোহরের নামায চার রাকাত। এর সময় মধ্যকাশ থেকে সূর্য ঢলে যাওয়ার পর মূল ছায়া ব্যতীত প্রত্যেক জিনিসের ছায়া তার সমান হওয়া পর্যন্ত।
৩। আসরের নামায: আসরের নামায চার রাকাত। এর সময় যোহরের সময় শেষ হবার পর আরম্ভ হয় যাওয়ালের ছায়া ছাড়া প্রত্যেকটি জিনিসের ছায়া দ্বিগুণ হওয়া পর্যন্ত। (এটি সবচে উত্তম ওয়াক্ত) আর জরুরী ওয়াক্ত সূর্য নিস্তেজ হয়ে রোদের হলুদ রং হওয়া পর্যন্ত।
৪। মাগরিবের নামায: মাগরিবের নামায তিন রাকাত। এর সময় সূর্যাস্তের পর থেকে শফক্বে আহমার অর্থাৎ পশ্চিম আকাশে লোহিত রং অদৃশ্য হওয়ার আগ পর্যন্ত।
৫। এশার নামায: এশার নামায চার রাকাত। এর সময় মাগরিবের সময় শেষ হওয়ার পর থেকে রাতের এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত। অথবা রাতের প্রথম অর্ধাংশ পর্যন্ত।
নামায যেভাবে আদায় করবেন
উল্লিখিত বিবরণ অনুযায়ী নামাযের স্থান ও শরীরের পবিত্রতা অর্জনের পর নামাযের সময় হলে নফল অথবা ফরয, যে কোন নামায পড়ার ইচ্ছা করুন না কেন, অন্তরে দৃঢ়সংকল্প নিয়ে কিব্লা অর্থাৎ পবিত্র মক্কায় অবস্থিত কাবা শরীফের দিকে মুখ করে একাগ্রতার সাথে দাঁড়িয়ে যাবেন এবং নিুবর্ণিত কর্মগুলো করবেন:
১। সেজদার জায়গায় দৃষ্টি রেখে তাক্বীরে তাহ্রীমা (আল্লাহু আকবার) বলবেন।
২। তাকবীরের সময় কান বরাবর অথবা কাঁধ বরাবর উভয় হাত উঠাবেন।
৩। তাকবীরের পর নামায শুরুর একটি দু’আ পড়বেন, পড়া সুন্নাত। দু’আটি নিুরূপ:
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلا إلَهَ غَيْرُكَ
ইচ্ছা করলে উক্ত দু’আর পরিবর্তে এই দোআ পড়া যাবে:
”اَللَّهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، اَللَّهُمَّ نَقِّنِي مِنْ خَطَايَايَ كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ، اَللَّهُمَّ اغْسِلْنِي مِنْ خَطَايَايَ بِالْمَاْءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ“
৪। তারপর বলবেন:
أَعُوْذُ باللهِِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
الْحَمْدُ للّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ * الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ * مَلِكِ يَوْمِ الدِّينِ * إِيَّاكَ نَعْبُدُ وإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ * اهدِنَا الصِّرَاطَ المُستَقِيمَ * صِرَاطَ الَّذِينَ أَنعَمتَ عَلَيهِمْ غَيرِ المَغضُوبِ عَلَيهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ آمين
অর্থ: “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি সৃষ্টিকুলের রব। পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। বিচার দিবসের মালিক। আপনারই আমরা ইবাদত করি এবং আপনারই নিকট সাহায্য চাই। আমাদেরকে সরল পথের হিদায়াত দিন। তাদের পথ, যাদেরকে আপনি নিয়ামত দিয়েছেন। যাদের উপর আপনার ক্রোধ আপতিত হয় নি এবং যারা পথভ্রষ্টও নয়।”
৫। তার পর পবিত্র কুরআনের ১১৪ সুরা থেকে একটি সুরা বা নিম্নে ৩ টি আয়াত পড়ুন। (কুরআনের ১১৪ টি সুরা ও উচ্চারন পড়তে অ শুনতে - এখানে ক্লিক করুন) মনে রালখবেন এ ক্ষেত্রে উত্তম হল দ্বিতীয় রাকাতে সুরা পরার সময় সিরিয়াল ঠিক রাখবেন (মানে হল সুরা এখলাসের পরে কাওসার পড়লেন এটা ভুল কেননা সুরা এখলাস ১১২ নং ও সুরা কাওসার ১০৮ নং। এখানে ১১২ < ১০৮ উল্টা হয়ে যাচ্ছে, ১০৮ > ১১২ সঠিক) কুরআন হতে মুখস্থ যা সহজ তা পড়বেন। যেমন:
إِذَا جَاء نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ * وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا * فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا
অর্থ: “যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন আপনি আপনার পালককর্তার পবিত্রতা ঘোষণা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল।”
৬। তারপর আল্লাহু আকবার (আল্লাহ সবচেয়ে বড়) বলে দুই হাত হাঁটুর উপর রেখে পিঠ সোজা ও সমান করে রুকু করবেন এবং বলবেন
سُبْحَانَ رَبِّيِ الْعَظِيمِ
তারপর বলবেন: ”سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَه“
”رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْداً كَثِيراً طَيِّباً مُبَارَكاً فِيهِ مِلْءَ السَّماَوَاتِ وَمِلْءَ الأَرْضِ وَمِلْءَ ما بَيْنَهُمَا وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ“
আর যদি মুক্তাদী হয় তাহলে রুকু থেকে মাথা উঠিয়ে উপরোল্লেখিত দু’আ رَبَّنَا ولَكَ الْحَمْد …. (রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদু…) শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
৮। তারপর اللهُ أَكْبَرُ (আল্লাহু আকবর) বলে বাহুকে তার পার্শ্বদেশ থেকে এবং ঊরুকে উভয় পায়ের রান থেকে আলাদা রেখে সেজদা করবেন। সেজদা পরিপূর্ণ হয় সাতটি অঙ্গের উপর, কপাল-নাক, দুই হাতের তালু, দুই হাঁটু এবং দুই পায়ের অঙ্গুলির তলদেশ। সেজদার অবস্থায় তিনবার অথবা তিন বারেরও বেশি এই দুআ পড়বেন।
سُبْحَانَ رَبِّيَ الاَعْلَى
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَعَافِنِي وَارَزُقْنِي وَاهْدِنِي، وَاجْبُرْنِيْ
১০। তারপর اللهُ أَكْبَر (আল্লাহু আকবার) বলে দ্বিতীয় সেজদা করবেন এবং প্রথম সেজদায় যা করেছেন তাই করবেন।
১১। তারপর اللهُ أَكْبَر (আল্লাহু আকবার) বলে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য উঠে দাঁড়াবেন। (এই ভাবে প্রথম রাকাত পূর্ণ হবে।)
১২। তারপর দ্বিতীয় রাকাআতে সূরা ফাতিহা ও কুরআনের কিছু অংশ পড়ে রুকু করবেন এবং দুই সেজদা করবেন, অর্থাৎ পুরোপুরিভাবে প্রথম রাকাতের মতোই করবেন।
১৩। তারপর দ্বিতীয় রাকাতের দুই সেজ্দা থেকে মাথা উঠানোর পর দুই সাজ্দার মাঝের ন্যায় বসে তাশাহ্হুদের এই দু’আ পড়বেন:
”اَلتَّحِيَاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، اَلسَّلامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، اَلسَّلامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِاللهِ الصَالِحِينَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ الهُص وأَشهدُ أَنَّ مُحَمَّداً عبْدُهُ وَرَسُولُهُ“
তবে নামায যদি দুই রাকাত বিশিষ্ট হয়। যেমন: ফজর, জুমআ, ঈদ তাহলে আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ….. পড়ার পর একই বৈঠকে এই দরূদ পড়বেন:
”اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ، وَ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدٌ“
আপনি মুহাম্মাদ ও তার বংশধরদের উপর বরকত বর্ষণ করুন, যেরূপভাবে আপনি ইব্রাহীম ও তার বংশধরদের উপর বরকত বর্ষণ করেছিলেন। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত, সম্মানিত”।
তারপর চারটি জিনিস থেকে এই বলে পানাহ চাইবেন:
”اَاللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا، وَلَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ. فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ، وَارْحَمْنِي إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ))“
অর্থ: “হে আল্লাহ! আমি অবশ্যই আপনার নিকট জাহান্নাম ও কবরের শাস্তি থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। দজ্জালের ফিত্না এবং জীবন মৃত্যুর ফিত্না থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।”
উক্ত দু’আর পর ইচ্ছেমত দুনিয়া ও আখিরতের কল্যাণ কামনার্থে মাস্নুন দু’আ
পড়বেন। ফরয নামায হোক অথবা নফল সকল ক্ষেত্রে একই পদ্ধতি প্রযোজ্য। তারপর
ডান দিকে ও বাম দিকে (গর্দান ঘুরিয়ে)
”اَلسَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ“
আর নামায যদি তিন রাকাত বিশিষ্ট হয়, যেমন মাগরিব। অথবা চার রাকাত বিশিষ্ট হয়, যেমন যোহর, আসর ও এশা, তাহলে দ্বিতীয় রাকাতের পর (সালাম না ফিরিয়ে) “আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি…. পড়ার পর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে সোজা দাঁড়িয়ে গিয়ে শুধু সূরা ফাতিহা পড়ে প্রথম দু’ রাকাতের মত রুকু ও সাজদা করতে হবে এবং চতুর্থ রাকাতেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। তবে (শেষ তাশাহ্হুদে) বাম পা, ডান পায়ের নীচে রেখে ডান পা খাড়া রেখে মাটিতে নিতম্বের (পাছার) উপর বসে মাগরিবের তৃতীয় রাকাতের শেষে এবং যোহর, আসর ও এশার চতুর্থ রাকাতের শেষে, শেষ তাশাহ্হুদ (আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহ……, ও দরূদ পড়বেন। ইচ্ছে হলে অন্য দু’আও পড়বেন। এরপর ডান দিকে (গর্দান) ঘুরিয়ে (আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ” বলবেন। আর এভাবেই নামায সম্পন্ন হয়ে যাবে।
সঠিক ভাবে নামাজ পদতি - দেখতে কিলিক করুন
সঠিক ভাবে অজুর পদ্ধতি - দেখতে কিলিক করুন
ইসলাম মুসলমানদের উপর দিন ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছে। আর এগুলো হল, ফজরের নামায, যোহরের নামায, আসরের নামায, মাগরিবের নামায এবং এশার নামায।
১। ফজরের নামায: ফজরের নামায দুই রাকাত। এর সময় ফজরেসানী অর্থাৎ রাতের শেষাংশে, পূর্বাকাশে, শ্বেত আভা প্রসারিত হওয়া থেকে নিয়ে সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত।
২। যোহরের নামায: যোহরের নামায চার রাকাত। এর সময় মধ্যকাশ থেকে সূর্য ঢলে যাওয়ার পর মূল ছায়া ব্যতীত প্রত্যেক জিনিসের ছায়া তার সমান হওয়া পর্যন্ত।
৩। আসরের নামায: আসরের নামায চার রাকাত। এর সময় যোহরের সময় শেষ হবার পর আরম্ভ হয় যাওয়ালের ছায়া ছাড়া প্রত্যেকটি জিনিসের ছায়া দ্বিগুণ হওয়া পর্যন্ত। (এটি সবচে উত্তম ওয়াক্ত) আর জরুরী ওয়াক্ত সূর্য নিস্তেজ হয়ে রোদের হলুদ রং হওয়া পর্যন্ত।
৪। মাগরিবের নামায: মাগরিবের নামায তিন রাকাত। এর সময় সূর্যাস্তের পর থেকে শফক্বে আহমার অর্থাৎ পশ্চিম আকাশে লোহিত রং অদৃশ্য হওয়ার আগ পর্যন্ত।
৫। এশার নামায: এশার নামায চার রাকাত। এর সময় মাগরিবের সময় শেষ হওয়ার পর থেকে রাতের এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত। অথবা রাতের প্রথম অর্ধাংশ পর্যন্ত।
নামায যেভাবে আদায় করবেন
উল্লিখিত বিবরণ অনুযায়ী নামাযের স্থান ও শরীরের পবিত্রতা অর্জনের পর নামাযের সময় হলে নফল অথবা ফরয, যে কোন নামায পড়ার ইচ্ছা করুন না কেন, অন্তরে দৃঢ়সংকল্প নিয়ে কিব্লা অর্থাৎ পবিত্র মক্কায় অবস্থিত কাবা শরীফের দিকে মুখ করে একাগ্রতার সাথে দাঁড়িয়ে যাবেন এবং নিুবর্ণিত কর্মগুলো করবেন:
১। সেজদার জায়গায় দৃষ্টি রেখে তাক্বীরে তাহ্রীমা (আল্লাহু আকবার) বলবেন।
২। তাকবীরের সময় কান বরাবর অথবা কাঁধ বরাবর উভয় হাত উঠাবেন।
৩। তাকবীরের পর নামায শুরুর একটি দু’আ পড়বেন, পড়া সুন্নাত। দু’আটি নিুরূপ:
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلا إلَهَ غَيْرُكَ
উচ্চারণ: সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তা’আলা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলাহা গাইরুকা।
অর্থ: “প্রশংসা এবং পবিত্রতা বর্ণনা করছি আপনার হে আল্লাহ! বরকতময়
আপনার নাম। অসীম ক্ষমতাধর ও সুমহান আপনি। আপনি ভিন্ন আর কোন উপাস্য নেই”।ইচ্ছা করলে উক্ত দু’আর পরিবর্তে এই দোআ পড়া যাবে:
”اَللَّهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، اَللَّهُمَّ نَقِّنِي مِنْ خَطَايَايَ كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ، اَللَّهُمَّ اغْسِلْنِي مِنْ خَطَايَايَ بِالْمَاْءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ“
উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা বাইদ্ বাইনী ওয়া বাইনা
খাতাইয়াইয়া কামা বা’আত্তা বাইনাল মাশরিকি ওয়াল মাগরিবি, আল্লাহুম্মা
নাক্কিনী মিন খাতাইয়াইয়া কামা য়ুনাক্কাছ ছাওবুল আবইয়াযু মিনাদ্দানাসি,
আল্লাহুম্মাগ্সিল্নী মিন্ খাতাইয়াইয়া বিল মায়ি ওয়াছ্ ছালজি ওয়াল
বারাদি”।
অর্থ: “হে আল্লাহ! আমাকে ও আমার গুনাহের মাঝে এতটা দূরত্ব সৃষ্টি করুন
যতটা দূরত্ব সৃষ্টি করেছেন পূর্ব ও পশ্চিমের মাঝে। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে
ঠিক ঐভাবে পাপমুক্ত করুন যেভাবে সাদা কাপড় ময়লামুক্ত হয়। হে আল্লাহ!
আপনি আমার গুনাহসমূহকে পানি দিয়ে ও বরফ দিয়ে এবং শিশির দ্বারা ধুয়ে
দিন”। (বুখারী ও মুসলিম)৪। তারপর বলবেন:
أَعُوْذُ باللهِِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
উচ্চারণ: “আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম, বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম”।
অর্থ: “আমি আশ্রয় চাচ্ছি আল্লাহর নিকট অভিশপ্ত শয়তান থেকে। আরম্ভ করছি দয়াবান কৃপাশীল আল্লাহর নামে।” এর পর সূরা ফাতিহা পড়বেন:الْحَمْدُ للّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ * الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ * مَلِكِ يَوْمِ الدِّينِ * إِيَّاكَ نَعْبُدُ وإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ * اهدِنَا الصِّرَاطَ المُستَقِيمَ * صِرَاطَ الَّذِينَ أَنعَمتَ عَلَيهِمْ غَيرِ المَغضُوبِ عَلَيهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ آمين
অর্থ: “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি সৃষ্টিকুলের রব। পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। বিচার দিবসের মালিক। আপনারই আমরা ইবাদত করি এবং আপনারই নিকট সাহায্য চাই। আমাদেরকে সরল পথের হিদায়াত দিন। তাদের পথ, যাদেরকে আপনি নিয়ামত দিয়েছেন। যাদের উপর আপনার ক্রোধ আপতিত হয় নি এবং যারা পথভ্রষ্টও নয়।”
৫। তার পর পবিত্র কুরআনের ১১৪ সুরা থেকে একটি সুরা বা নিম্নে ৩ টি আয়াত পড়ুন। (কুরআনের ১১৪ টি সুরা ও উচ্চারন পড়তে অ শুনতে - এখানে ক্লিক করুন) মনে রালখবেন এ ক্ষেত্রে উত্তম হল দ্বিতীয় রাকাতে সুরা পরার সময় সিরিয়াল ঠিক রাখবেন (মানে হল সুরা এখলাসের পরে কাওসার পড়লেন এটা ভুল কেননা সুরা এখলাস ১১২ নং ও সুরা কাওসার ১০৮ নং। এখানে ১১২ < ১০৮ উল্টা হয়ে যাচ্ছে, ১০৮ > ১১২ সঠিক) কুরআন হতে মুখস্থ যা সহজ তা পড়বেন। যেমন:
إِذَا جَاء نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ * وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا * فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا
অর্থ: “যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন আপনি আপনার পালককর্তার পবিত্রতা ঘোষণা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল।”
৬। তারপর আল্লাহু আকবার (আল্লাহ সবচেয়ে বড়) বলে দুই হাত হাঁটুর উপর রেখে পিঠ সোজা ও সমান করে রুকু করবেন এবং বলবেন
سُبْحَانَ رَبِّيِ الْعَظِيمِ
উচ্চারণ: “সুবহানা রাব্বিয়্যাল আযীম
(পবিত্র মহান রবের পবিত্রতা ঘোষণা করছি) এটি তিনবার অথবা তিনের অধিকবার বলা সুন্নত।তারপর বলবেন: ”سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَه“
“সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ”
(আল্লাহ ঐ ব্যক্তিকে শুনলেন যে তাঁর প্রশংসা করল) বলে রুকু থেকে মাথা
উঠিয়ে, ইমাম হোক অথবা একাকী হোক, সোজা দাঁড়িয়ে গিয়ে বলতে হবে:”رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْداً كَثِيراً طَيِّباً مُبَارَكاً فِيهِ مِلْءَ السَّماَوَاتِ وَمِلْءَ الأَرْضِ وَمِلْءَ ما بَيْنَهُمَا وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ“
উচ্চারণ: রব্বানা ওয়া লাকাল হামদু হামদান কাসীরান
তাইয়্যেবান মুবারাকান ফীহ, মিল্ আস্সামাওয়াতি ওয়া মিলআলআরযি, ওয়ামিলআ
মা বাইনাহুমা ওয়া মিলআ মা শী’তা মিন শাইয়িন বা’দু”।
অর্থ: “ হে আমার প্রতিপালক! প্রশংসা আপনারই জন্য, প্রচুর প্রশংসা, যে
প্রশংসা পবিত্র-বরকতময়, আকাশ ভরে, যমীন ভরে এবং এ উভয়ের মধ্যস্থল ভরে,
এমনকি আপনি যা ইচ্ছে করেন তা ভরে পরিপূর্ণরূপে আপনার প্রশংসা”।আর যদি মুক্তাদী হয় তাহলে রুকু থেকে মাথা উঠিয়ে উপরোল্লেখিত দু’আ رَبَّنَا ولَكَ الْحَمْد …. (রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদু…) শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
৮। তারপর اللهُ أَكْبَرُ (আল্লাহু আকবর) বলে বাহুকে তার পার্শ্বদেশ থেকে এবং ঊরুকে উভয় পায়ের রান থেকে আলাদা রেখে সেজদা করবেন। সেজদা পরিপূর্ণ হয় সাতটি অঙ্গের উপর, কপাল-নাক, দুই হাতের তালু, দুই হাঁটু এবং দুই পায়ের অঙ্গুলির তলদেশ। সেজদার অবস্থায় তিনবার অথবা তিন বারেরও বেশি এই দুআ পড়বেন।
سُبْحَانَ رَبِّيَ الاَعْلَى
উচ্চারণঃ সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা (পবিত্রতা ঘোষণা করছি আমার মহান প্রতিপালকের) বলবেন এবং ইচ্ছা মত বেশী করে দু’আ করবেন।
৯। তারপর اللهُ أَكْبَرُ (আল্লাহু আকবার) বলে মাথা উঠিয়ে পা খাড়া রেখে বাম পায়ের উপর বসে দুই হাত, রান ও হাঁটুর উপর রেখে বলবেন,اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَعَافِنِي وَارَزُقْنِي وَاهْدِنِي، وَاجْبُرْنِيْ
উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মাগর্ফিলী ওর্য়াহামনী ওয়া আফিনী ওয়ারজুকনী ওয়াহ্দিনী ওয়াজবুরনী”।
অর্থ: “ হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, দয়া করুন, নিরাপদে রাখুন, জীবিকা দান করুন, সরল পথ দেখান, শুদ্ধ করুন”।১০। তারপর اللهُ أَكْبَر (আল্লাহু আকবার) বলে দ্বিতীয় সেজদা করবেন এবং প্রথম সেজদায় যা করেছেন তাই করবেন।
১১। তারপর اللهُ أَكْبَر (আল্লাহু আকবার) বলে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য উঠে দাঁড়াবেন। (এই ভাবে প্রথম রাকাত পূর্ণ হবে।)
১২। তারপর দ্বিতীয় রাকাআতে সূরা ফাতিহা ও কুরআনের কিছু অংশ পড়ে রুকু করবেন এবং দুই সেজদা করবেন, অর্থাৎ পুরোপুরিভাবে প্রথম রাকাতের মতোই করবেন।
১৩। তারপর দ্বিতীয় রাকাতের দুই সেজ্দা থেকে মাথা উঠানোর পর দুই সাজ্দার মাঝের ন্যায় বসে তাশাহ্হুদের এই দু’আ পড়বেন:
”اَلتَّحِيَاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، اَلسَّلامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، اَلسَّلامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِاللهِ الصَالِحِينَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ الهُص وأَشهدُ أَنَّ مُحَمَّداً عبْدُهُ وَرَسُولُهُ“
উচ্চারণ:আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস্সলাওয়াতু
ওয়াত্তাইয়েবাতু, আস্সালামু আলাইকা আইয়ুহান্নাবিয়্যু ওয়া রহ্মাতুল্লাহি
ওয়া বারাকাতুহ, আস্সালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস্ সলেহীন, আশ্হাদু
আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশ্হাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া
রাসূলুহ”।
অর্থ : “সকল তাযীম ও সম্মান আল্লাহর জন্য, সকল সালাত আল্লাহর জন্য এবং
সকল ভাল কথা ও কর্মও আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপানার প্রতি শান্তি, আল্লাহর
রহমত ও তাঁর বরকত বর্ষিত হোক। আমাদের উপরে এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপরে
শান্তি বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য
নেই এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মাদ আল্লাহর বান্দা এবং তাঁর রাসূল।”তবে নামায যদি দুই রাকাত বিশিষ্ট হয়। যেমন: ফজর, জুমআ, ঈদ তাহলে আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ….. পড়ার পর একই বৈঠকে এই দরূদ পড়বেন:
”اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ، وَ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدٌ“
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়ালা আলি
মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহীমা ওয়ালা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা
হামীদুম মাজীদ, ওয়া বারিক আলা মুহাম্মাদিওঁ ওয়ালা আলি মুহাম্মাদিন কামা
বারাক্তা আলা ইব্রাহীমা ওয়ালা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ”।
অর্থ: “ হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মদ ও তার বংশধরদের উপর রহমত বর্ষণ করুন,
যেরূপভাবে আপনি ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম ও তার বংশধরদের উপর রহমত বর্ষণ
করেছিলেন। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত সম্মানিত।”আপনি মুহাম্মাদ ও তার বংশধরদের উপর বরকত বর্ষণ করুন, যেরূপভাবে আপনি ইব্রাহীম ও তার বংশধরদের উপর বরকত বর্ষণ করেছিলেন। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত, সম্মানিত”।
তারপর চারটি জিনিস থেকে এই বলে পানাহ চাইবেন:
”اَاللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا، وَلَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ. فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ، وَارْحَمْنِي إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ))“
উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা ইন্নি জলামতু নাফছি জুল্মান কাসিরও অলা ইয়াগফিরুজ জুনুবা
ইল্লা আন্তা ফাগফিরলি মাগফিরতাম মিন ইন্দিকা অরহামনি ইন্নাকা আন্তাল গফুরুর রহিম
অর্থ: “হে আল্লাহ! আমি অবশ্যই আপনার নিকট জাহান্নাম ও কবরের শাস্তি থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। দজ্জালের ফিত্না এবং জীবন মৃত্যুর ফিত্না থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।”
”اَلسَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ“
উচ্চারণ: “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ”
বলবেন।আর নামায যদি তিন রাকাত বিশিষ্ট হয়, যেমন মাগরিব। অথবা চার রাকাত বিশিষ্ট হয়, যেমন যোহর, আসর ও এশা, তাহলে দ্বিতীয় রাকাতের পর (সালাম না ফিরিয়ে) “আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি…. পড়ার পর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে সোজা দাঁড়িয়ে গিয়ে শুধু সূরা ফাতিহা পড়ে প্রথম দু’ রাকাতের মত রুকু ও সাজদা করতে হবে এবং চতুর্থ রাকাতেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। তবে (শেষ তাশাহ্হুদে) বাম পা, ডান পায়ের নীচে রেখে ডান পা খাড়া রেখে মাটিতে নিতম্বের (পাছার) উপর বসে মাগরিবের তৃতীয় রাকাতের শেষে এবং যোহর, আসর ও এশার চতুর্থ রাকাতের শেষে, শেষ তাশাহ্হুদ (আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহ……, ও দরূদ পড়বেন। ইচ্ছে হলে অন্য দু’আও পড়বেন। এরপর ডান দিকে (গর্দান) ঘুরিয়ে (আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ” বলবেন। আর এভাবেই নামায সম্পন্ন হয়ে যাবে।
সঠিক ভাবে নামাজ পদতি - দেখতে কিলিক করুন
সঠিক ভাবে অজুর পদ্ধতি - দেখতে কিলিক করুন
আচ্ছা, সূরা ফাতিহা পড়ার আগে আউজুবিল্লাহ আর বিসমিল্লাহ্ পড়লাম, এরপর সূরা ফাতিহার পর যে সূরাটা পড়বো সেটার আগে কি আবার বিসমিল্লাহ পড়তে হবে? আর ২য় রাকাতে সূরা ফাতিহা পরও কি বিসমিল্লাহ্ পড়তে হবে? এরুপ আত্তাহিয়াতু আর দুরুদ শরীফের মাঝখানেও কি বিসমিল্লাহ্ পড়তে হবে?
ReplyDeleteজোখন আলহামদু লিল্লাহ পড়া হয়ে গেলো তারপর বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পরে নিলেন তারপর সূরা পড়বেন।।।।।। আর বললেন যে দ্বিতীয় রাকাতে আলহামদু পড়ার পর বিসমিল্লাহ পড়তে হবে তারপর সূরা পড়তে হবে ।।।।।। আর একটা বললেন আত্তাহিয়াতু টা পড়লেন তারপর আর বিসমিল্লাহ বলবেন না দরুদ শরীফ পড়বেন তারপর দুই মাসুরা পড়বেন
Deleteঅসাধারণ
Deleteচার রাকাত বিশিষ্ট নামাজে দুই রাকাতে তাশাহুদ কতটুকু পড়তে হবে নাকি তাশাহুদ সম্পূর্ণ পরতে হবে
DeleteAmr o same question kinto ami jani half porta hoy
Deleteসূরা ফাতিহা পড়ার পর যে সূরা পড়বেন সে সূরা পরার আগে বিসমিল্লাহ...... পড়া মুস্তাহাব।
Deleteনা
ReplyDeleteভাই আমি জানতে চাই যদি আমি একা একা যোহরের নামাজ আদায় করি তা হলে প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতিহার সাথে অন্য সুরা মিলাব দ্বিতীয় দুই রাকাতে কি সুরা ফাতিহার সাথে সুরা মিলানো লাগবে কি লাগবে না?
ReplyDeleteনা লাগবেনা
Deleteকেন লাগবে না? ভাই আমি এই প্রশ্নের উত্তর অনেক দিন থেকে খুজসি কিন্তু মিলছে না। শেষের দুই রাকাতে কেনো সুরা ফাতেহার সাথে অন্য সুরা মিলানো লাগবে না? হাদিস এর রেফারেন্স সহ দিবেন প্লিজ।
Deleteসুন্নাত নামাজে হলে পরবর্তী দুই রাকাতে সূরা মিলানো লাগবে। ফরজ নামাজে লাগবেনা। এই ভুল টা আমিও করতাম আগে।
Deleteআরেকটা বিষয় হলো সুন্নত নামাজে প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হয় কিন্তু ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে শেষ দুই রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে কোনো সূরা মিলাতে হবে না। এই হলো সুন্নত ও ফরজ নামাজের মধ্যে পার্থক্য
DeleteYes
Deleteউওর চাই
Deleteযদি জামআতে নামাজ পড়ি তাহলে হাত বাধা আবস্হায় কি সুরা পড়তে হবে ?
ReplyDelete৪ রাকাত ফরয নামাযের সময় কোন কারণে যদি কেউ ২য় বা ৩য় বা ৪র্থ রাকাতে জামাতে শরিক হলে সেক্ষেত্রে কিভাবে নামাজ শেষ করতে হবে কেউ সহিভাবে জানালে খুব উপকার হবে।
ReplyDeleteআলহামদুলিল্লাহ ভাই দারুন প্রশ্ন করেছেন, আমরা এমন সমস্যায় অনেক পরি।
Deleteআপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে আমাদের একটু দেরি হয় মাঝে মাঝে। কারন আমরা প্রশ্ন কারির প্রশ্নের উত্তর খুজতে অনেক মুফতির মাওলানা ও দলিল নিয়ে কাজ করি। অতঃপর তা টাইপ করে দিতে আমাদের দেরি হয়ে জায়। আর আমরা চাইনা আমাদের কোন পোস্ট বা উত্তর কোন তর্কে জাক তাই অনেক ভেবে উত্তর দি। আমাদের প্রশ্নের দেরির জন্য খমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল। উত্তর পড়ে মন্তব্য দিলে আমরা উপকৃত হব।
যে মুক্তাদি (মুসল্লি) ইমামের সাথে এক বা একাধিক রাকাত পায়নি তাকে মাসবুক বলে।
মাসবুক ইমামের সাথে শেষ বৈঠকে তাশাহুদ (আত্তাহিয়্যাতু) এমন ধীরে ধীরে পড়বে যেন তার তাশাহুদ শেষ হতে হতে ইমামের দুরূদ ও দোয়ায়ে মাছুরা শেষ হয়ে যায়। মাসবুকের তাশাহুদ যদি আগেই শেষ হয়ে যায় তাহলে সে চুপচাপ বসে থাকতে পারে। (ফতওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ ৩/৩৮২,ফতওয়ায়ে শামী ২/২২০)
ইমাম সেজদায়ে সাহু দিলে মাসবুকও সেজদায়ে সাহু করবে তবে সেজদায়ে সাহুর পর সালাম ফিরাবে না। ভুলে যদি সালাম ফিরিয়ে দেয় তাহলে আবার সেজদায়ে সাহু করতে হবে। (ফতওয়ায়ে আল বাহরুর রায়েক-২/১৭৬,ফতওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ-৩/৩৭৯)
ইমামের উভয় দিকে সালাম ফিরানোর সামান্য পর মাসবুক তার অবশিষ্ট নামাজ পড়ার জন্য আল্লাহু আকবার বলে উঠে দাঁড়াবে। একদিকে সালাম ফিরানোর সাথে সাথে মাসবুকের উঠে দাঁড়ানো উচিত নয় কারন এতে সে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে । যেমনঃ ইমাম সাহেব নামাজের মধ্যে ভুল বশত কোন ওয়াজিব ত্বরক (ছুটে গেলে) করলে ইমাম সাহেবের ওপর সাহু সেজদা ওয়াজিব এমতাবস্থায় আপনি যদি একদিকে সালাম ফিরানোর সাথে সাথে দাঁড়িয়ে যান তাহলে আপনি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এবং ইহা সুন্নাতের খেলাফ।
মাসবুক অবশিষ্ট নামাজ পড়ার জন্য উঠে প্রথমে ছানা,আউযুবিল্লাহ্ ও বিসমিল্লাহ্ পড়বে। এরপর কেরাত মিলানো রাকাতগুলো পড়বে। পরিশেষে কেরাত বিহীন রাকাত পড়ে নিবে।
মাছবূকের এক রাকাআত ছুটে গেলে তা কিভাবে পড়বে :
ইমাম উভয় সালাম ফিরানোর পর মাছবূক আল্লাহু আকবার বলে উঠবে, ছানা পড়বে, আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ সহ সূরা ফাতিহা পড়বে, তারপর বিসমিল্লাহ সহ সূরা মিলাবে এবং রুকু সাজদা ও বৈঠক করে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবে।
মাছবূক দুই রাকাআত ছুটে গেলে তা কিভাবে পড়বে :
ইমাম উভয় সালাম ফিরানোর পর মাছবূক আল্লাহু আকবার বলে উঠবে এবং পূর্ব বর্ণিত নিয়মে প্রথম রাকাআত আদায় করবে।তিন রাকাত বিশিষ্ট নামাজ হলে বৈঠক করে (বৈঠকে শুধু তাশাহ্হুদ পড়তে হবে) আর চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ হলে বৈঠক না করেই দ্বিতীয় রাকাতের জন্য উঠবে। এ রাকাতে ছানা ব্যতীত এবং শুধু বিসমিল্লাহ সহ সূরা ফাতিহা ও সূরা/কিরাত মিলিয়ে শুধু সাজদা ও বৈঠক কের সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবে।
মাসবূক তিন রাকাত ছুটে গেলে কিভাবে পড়বে:
মাছবূক যদি ইমামের সাথে এক রাকাত পায় এবং নি রাকাত না পায়, তাহলে ইমামের উভয় সালাম ফিরানোর পর উঠে পূববর্তী নিয়মে প্রথম রাকাত পড়বে এবং বৈঠক করে দ্বিতীয রাকাতের জন্য উঠবে। দ্বিতীয় রাকাতে সূরা/কিরাত মিলাতে হবে এবং বৈঠক না করেই তৃতীয় রাকাতের জন্য উঠবে।তৃতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে কোন সূরা/কিরাত মিলাতে হবে।
মাসবুক কোন রাকাত না পেলে কিভাবে পড়বঃ
মাছবূক যদি কোন রাকাত না পায় শুধু শেষ বেঠকে এসে শরিক হয়, তাহলে ইমামের উভয় সালাম ফিরানোর পর উঠে একাকি যেভাবে নামাজ পড়া হয় সেভাবে পূণ নামাজ আদায় হবে।
প্রশ্ন : চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজে আমি যদি প্রথম তিন রাকাত না পাই তা হলে, এই তিন রাকাত পড়ার সময় সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা কিভাবে মিলাব?
উত্তর : আপনি যে রাকাতটি পেয়েছেন, সেটিকে প্রথম রাকাত ভেবে বাকি নামাজ শেষ করুন। তা হলে প্রথম দু’টিতে ফাতিহার পর সূরা-কেরাত মিলাবেন। শেষ রাকাতটি শুধু ফাতিহা পড়ে নামাজ শেষ করবেন।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
আসসালামু আলাইকুম...
Deleteভাই আমি এই প্রশ্নের উত্তর অনেক দিন থেকে খুজসি কিন্তু মিলছে না। শেষের দুই রাকাতে কেনো সুরা ফাতেহার সাথে অন্য সুরা মিলানো লাগবে না?
হাদিস এর রেফারেন্স সহ দিবেন প্লিজ।
ফরয নামাজে তৃতীয়-চতুর্থ রাকাতে সূরা ফাতিহার পরে অন্য সূরা মিলানো হয় না, কিন্তু কেউ যদি ভুলবশতঃ অন্য সূরা মিলিয়ে ফেলে বা অন্য সূরা মিলানোর উদ্দেশ্য বিসমিল্লাহ পড়ে তাহলে এতে সাহু সেজদা ওয়াজিব হয় না। (আলমগীরী ১/১২৬)
Deleteوالله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী
ইমামের পেছনে মুক্তাদি নামাজে কোন কেরাত পড়বে না। কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
مَنْ كَانَ لَهُ إِمَامٌ فَقِرَاءَتُهُ لَهُ قِرَاءَةٌ
যে ব্যক্তির ইমাম আছে তার ইমামের কেরাতই তার জন্য কেরাত বলে ধর্তব্য হবে। (সুনানে ইবন মাজাহ, হাদীস ৮৫০)
পক্ষান্তরে একাকী নামায আদায়কারী প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতিহা পড়বে এবং অন্য সূরা মিলাবে। আর শেষ রাকাতগুলোতে শুধু সূরা ফাতিহা পড়বে, অন্য সূরা মিলাবে না। ইবনু নুজাইম রহ. বলেন,
ثُمَّ الْفَاتِحَةُ وَاجِبَةٌ فِي الْأُولَيَيْنِ مِنْ الْفَرْضِ , وَفِي جَمِيعِ رَكَعَاتِ النَّفْلِ , وَفِي الْوِتْرِ وَالْعِيدَيْنِ , وَأَمَّا فِي الْأُخْرَيَيْنِ مِنْ الْفَرْضِ فَسُنَّةٌ
অতপর ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে, নফল নামাজের সকল রাকাতে, বিতরের নামাজে ও দুই ঈদের নামাজে সূরা ফাতিহা পড়া ওয়াজিব। আর ফরজ নামাজের শেষ দুই রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়া সুন্নাত। (আল বাহরুর রায়েক ১/৩১২)
সুন্নাতঃ
সুন্নতের ক্ষেত্রে পরের দুই রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য যেকোনো সূরা মিলাতে হবে।নতুবা সালাত আদায় হবে না। কিন্তু ফরযের ক্ষেত্রে পরের দুই রাকাতে
সূরা ফাতিহার পরে অন্য সূরা পড়তে হবে না।
(উত্তর করেছেন রাশেদ_সামি)
(১)ফজরের ফরযের পূর্বে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা সুন্নত।
(২) জোহরের ফরযের আগে চার রাকাত ও ফরযের পরে দুই রাকাত নামাজআদায় করা সুন্নত।
(৩) জুমার ফরযের আগে চার রাকাত ও ফরযের পরে চার রাকাত নামাজ আদায় করা সুন্নত।
(৪) মাগরিবের ফরযের পরে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা সুন্নত।
(৫) এশার ফরযের পরে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা সুন্নত।
এসকল সুন্নত নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদা বলা হয়। কোন ধরনের ওযর ছাড়া এসুন্নতগুলো তরক কারী গুনাহগার হবে।
সুন্নত নামাজের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতেহার পর সূরা মিলাতে হবে আর বাকী সকল নিয়ম অন্যান্য নামাজের মতই। সুন্নত নামাজ যদি সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদা ও নফল হয় এবং চার রাকাত বিশিষ্ট হয় , তাহলে দ্বিতীয় রাকাতে তাশাহ্হুদের পরে দুরুদ শরীফ ও দু‘আয়ে মাছুরা পড়াও উত্তম ।
উত্তর করেছেনঃ মাওলানা হাদিউজ্জামান
নামাযে হাত বাঁধা ও নাভীর নিচে বাঁধা এর নিয়োম টা জানতে চাই...
ReplyDeleteআপনার উত্তর টা অনেক আলোচনা ও দিলিল বিশিষ্ট তাই পোস্ট আকৃতিতে উপস্তাপন করা হচ্ছে...
ReplyDeleteসুবহানাল্লাহ অনেক ভালকিছু পেলাম আপনাদের থেকে। অনেক উপকার হলো।
Deleteঅনেকে বলে যে চার রাকাত নামাযের দুই রাকাত পড়ার পর তাশহুদ শুধু আশহাদু আল্লাহ পর্যন্ত পড়তে হয়.... এটা কি ঠিক???কেউ বলবেন প্লিজ
ReplyDeleteতাশাহুদ সম্পূর্ণ পড়তে হবে।
Deletehttps://fbhackbd.blogspot.com/2021/01/blog-post_6.html?m=1
Delete৩য় ও ৪র্থ রাকাতে শুধু সূরা ফাতিহা পড়তে হবে? সাথে অন্যকোনো সূরা মিলালে কি নামাজ হবে না?
ReplyDeleteআর নামাজের শুরুতে আল্লাহু আকবার বলার পর ছানা পড়া কি বাধ্যতামূলক?
ফরজ(৪ রাকাত) নামাযে ৩য় ও ৪র্থ রাকাতে সুরা ফাতিহা কি পড়া বাধ্যতামূলক? যদি সুরা ফাতিহা না পড়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে রুকুতে যাওয়া হয় সেক্ষেত্রে হুকুম কি?
ReplyDeleteধন্যবাদ।
৩য় ও ৪র্থ রাকাতে শুধু সূরা ফাতিহা পড়তে হবে,সাথে অন্যকোনো সূরা মিলালে কি নামাজ হবে না?
ReplyDeleteরাসুল সা. যেমন করে পড়েছেন তেমন করেই পড়ুন
ReplyDeleteআসসালামুআলাইকুম,
ReplyDeleteআমি যেটা জানতে চাচ্ছি সেটা হলো যে, একা একা নামাজ পড়ার সময় সুন্নত ও ফরজ নামাজে তৃতীয় রাকাতে গিয়ে সূরা ফাতিহার সাথে কি অন্য সূরা মিলিয়ে পড়তে হয়?এর নির্দিষ্ট নীয়ম টা জানালে উপকৃত হব।ধন্যবাদ।
ফরয নামাজে তৃতীয়-চতুর্থ রাকাতে সূরা ফাতিহার পরে অন্য সূরা মিলানো হয় না, কিন্তু কেউ যদি ভুলবশতঃ অন্য সূরা মিলিয়ে ফেলে বা অন্য সূরা মিলানোর উদ্দেশ্য বিসমিল্লাহ পড়ে তাহলে এতে সাহু সেজদা ওয়াজিব হয় না। (আলমগীরী ১/১২৬)
Deleteوالله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী
ইমামের পেছনে মুক্তাদি নামাজে কোন কেরাত পড়বে না। কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
مَنْ كَانَ لَهُ إِمَامٌ فَقِرَاءَتُهُ لَهُ قِرَاءَةٌ
যে ব্যক্তির ইমাম আছে তার ইমামের কেরাতই তার জন্য কেরাত বলে ধর্তব্য হবে। (সুনানে ইবন মাজাহ, হাদীস ৮৫০)
পক্ষান্তরে একাকী নামায আদায়কারী প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতিহা পড়বে এবং অন্য সূরা মিলাবে। আর শেষ রাকাতগুলোতে শুধু সূরা ফাতিহা পড়বে, অন্য সূরা মিলাবে না। ইবনু নুজাইম রহ. বলেন,
ثُمَّ الْفَاتِحَةُ وَاجِبَةٌ فِي الْأُولَيَيْنِ مِنْ الْفَرْضِ , وَفِي جَمِيعِ رَكَعَاتِ النَّفْلِ , وَفِي الْوِتْرِ وَالْعِيدَيْنِ , وَأَمَّا فِي الْأُخْرَيَيْنِ مِنْ الْفَرْضِ فَسُنَّةٌ
অতপর ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে, নফল নামাজের সকল রাকাতে, বিতরের নামাজে ও দুই ঈদের নামাজে সূরা ফাতিহা পড়া ওয়াজিব। আর ফরজ নামাজের শেষ দুই রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়া সুন্নাত। (আল বাহরুর রায়েক ১/৩১২)
সুন্নাতঃ
সুন্নতের ক্ষেত্রে পরের দুই রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য যেকোনো সূরা মিলাতে হবে।নতুবা সালাত আদায় হবে না। কিন্তু ফরযের ক্ষেত্রে পরের দুই রাকাতে
সূরা ফাতিহার পরে অন্য সূরা পড়তে হবে না।
(উত্তর করেছেন রাশেদ_সামি)
(১)ফজরের ফরযের পূর্বে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা সুন্নত।
(২) জোহরের ফরযের আগে চার রাকাত ও ফরযের পরে দুই রাকাত নামাজআদায় করা সুন্নত।
(৩) জুমার ফরযের আগে চার রাকাত ও ফরযের পরে চার রাকাত নামাজ আদায় করা সুন্নত।
(৪) মাগরিবের ফরযের পরে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা সুন্নত।
(৫) এশার ফরযের পরে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা সুন্নত।
এসকল সুন্নত নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদা বলা হয়। কোন ধরনের ওযর ছাড়া এসুন্নতগুলো তরক কারী গুনাহগার হবে।
সুন্নত নামাজের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতেহার পর সূরা মিলাতে হবে আর বাকী সকল নিয়ম অন্যান্য নামাজের মতই। সুন্নত নামাজ যদি সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদা ও নফল হয় এবং চার রাকাত বিশিষ্ট হয় , তাহলে দ্বিতীয় রাকাতে তাশাহ্হুদের পরে দুরুদ শরীফ ও দু‘আয়ে মাছুরা পড়াও উত্তম ।
উত্তর করেছেনঃ মাওলানা হাদিউজ্জামান
আরেকটা বিষয় হলো সুন্নত নামাজে প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হয় কিন্তু ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে শেষ দুই রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে কোনো সূরা মিলাতে হবে না। এই হলো সুন্নত ও ফরজ নামাজের মধ্যে পার্থক্য
Deleteআচ্ছা সিজদার পর বসার পর তাশাহুদ এর আগে কি ছানা পড়তে হয়?
ReplyDeleteআরবি দোয়া : «رَبِّ اغْفِرْ لِي، رَبِّ اغْفِرْ لِي». বাংলা উচ্চারণ : রব্বিগফির লী, রব্বিগফির লী। বাংলা অর্থ : বাংলা অর্থ : হে আমার রব্ব! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। হে আমার রব্ব! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। [আবূ দাউদ ১/২৩১, নং ৮৭৪; ইবন মাজাহ্ নং ৮৯৭। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ, ১/১৪৮।] দুই. আরবি দোয়া : «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَاهْدِنِي، وَاجْبُرْنِي، وَعَافِنِي، وَارْزُقْنِي، وَارْفَعْنِي». বাংলা উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগফির লী, ওয়ারহামনী, ওয়াহদিনী, ওয়াজবুরনী, ওয়া‘আফিনি, ওয়ারযুক্বনী, ওয়ারফা‘নী। বাংলা অর্থ : “হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন, আমার সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করে দিন, আমাকে নিরাপত্তা দান করুন, আমাকে রিযিক দান করুন এবং আমার মর্যাদা বৃদ্ধি করুন”। [হাদীসটি নাসাঈ ব্যতীত সুনান গ্রন্থগারগণ সবাই সংকলন করেছেন। আবূ দাউদ, ১/২৩১, নং ৮৫০; তিরমিযী, নং ২৮৪, ২৮৫; ইবন মাজাহ, নং ৮৯৮। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ১/৯০; সহীহ ইবন মাজাহ ১/১৪৮। ] মূল : ড. সাঈদ ইব্ন আলী ইব্ন ওয়াহফ আল-ক্বাহত্বানী অনুবাদ ও সম্পাদনা : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া গ্রন্থনা : মাওলানা মিরাজ রহমান
Deleteআসসালামু আলাইকুম,
ReplyDeleteআমি কয়েকজন স্কলারের কাছ থেকে জেনেছি, বিতর নামাজ এক বা তিন বা পাঁচ রাকাত করে আদায় করা যায়। কিন্তু উনারা সঠিক কোন পদ্ধতিতে বিতর আদায় করবো সেটা উল্লেক করেননি; উপরন্তু কোনো হাদিস উল্লেখ করেননি। বর্তমানে আমরা বিতর নামাজ যেভাবে আদায় করছি সেটাকেও তারা দুর্বল হাদিসের উল্লেখ করেছেন। আপনারা যদি এই বিষয়টা দেখতেন, তাহলে অনেকে উপকৃত হবে। আল্লাহ আমাদের সহায় হউন এবং আমদের সকলকে হেদায়েত দান করুন (আমিন)।
এটার উওর কি? যদি জানেন বলবেন প্লিজ, জানাটা দরকার৷ আর আপনাদের কি ফেইসবুক পেইজ আছে?
DeleteAlhamdulillah
ReplyDeleteAnek kichu janlam
Allah apaner nek hayat dan koruk
হুম
ReplyDeleteবিতর নামাজের নিয়মটা বলবেন প্লিজ এবং প্রথম দুই রাকাতের পরে কি সূরা ফাতেহার সাথে কি অন্য সূরা মিলাতে হবে ও দোয়া কুনুত কি পড়তেই হবে নাকি অন্যকিছু পড়লে হব
ReplyDeleteচার রাকাত নামাজে প্রথম দুই রাকাত পড়ার পর প্রথম বৈঠকে শুধু তাশাহহুদ পড়তে হবে বা এর সাথে দূরুদ ইবরাহীম এবং দোয়ায়ে মাসুরা পড়লে কি নামাজ ভেংগে যাবে বা সহী হবে / পড়া যাবে কিনা আদৌ জানালে খুব উপকৃত হব। ধন্যবাদ
ReplyDelete৩য় ও ৪র্থ রাকাতে শুধু সূরা ফাতিহা পড়তে হবে?
ReplyDeleteনা পরলে কি নামায হবে না
প্রশ্ন উত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন
Delete৪ রাকাত নামাজে ৪র্থ বৈঠকে তাশাহুদ,দরুদ শরীফ এবং দোয়া মাছুরা পড়তে হয়।আগের দুই বৈঠকে কি শুধু তাশাহুদ পড়লেই চলবে?
ReplyDeleteআপনার প্রশ্নের উত্তর পেতে উপরে ক্লিক করুন
ReplyDeleteজামাতে নামায আদায় করার সময় কি মুক্তাদিরকেও সুরা ফাতিহা পরতে হবে
ReplyDeleteহে অবশ্য পরতে পবে
Deleteকেন পড়তে হবে এর রেফারেন্স দিলে খুশি হতাম প্লিজ
Deleteভাই, ৪ রাকাআত নামাজে ২ রাকাআত পর আত্তাহিয়াতু কি অর্ধেক পড়া যাবে? অর্থাৎ... ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ পর্যন্ত। দয়া করে উত্তর দিবেন।
ReplyDeleteBitor namaj bisoye bolben plz,
ReplyDeleteশুরুরেই হাত উত্তলনে ভুল আছে তাই বাকি অংশ পড়লাম না।হাত উত্তলনের যতগুলি সহি হাদীস আছে সব গুলোতেই কাধ অথবা কান পর্যন্ত উত্তোলনের কথা উল্লেখ আছে।
ReplyDeleteAssalamu"alikum, Ami jante chachilam, ami mosjide jamat sese sunnat othoba kono woqth chute jawa namaz podar somoy jodi keo ase amake imam baniye pichine faroj namaz podar jonno dadiye jay tahole amar koroni ki
ReplyDeleteনামাজে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা কয়বার করে পড়তে হয়???? জানলে বলবেন ....
ReplyDeleteবেতের নামাজ পড়ার নিয়ম টা বলবেন
ReplyDelete৪রাকাত নামাজ ২ রাকাতের বইঠকে কি পরবো
ReplyDeleteচার রাকাতের নামাজে ২য় রাকাতে আত্যাহিয়াতুর পরে কি অন্য সূরা পরা লাগবে?
ReplyDelete