তাওবার
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীমআসসালামু অলাইকুম
আমাদের জীবনে তাওবার গুরুত্ব অনেক ।আমরা জেনে শুনে বা না জেনে শুনে কত ছোট বা বড় গোনাহ প্রতিদিন করে থাকি তা একটু চিন্তা করেছেন?আল্লাহ আমাদের কত সুযোগ দিয়েছে তা কি আপনি জানেন?আপনি যত ছোট বা যত বড় গোনাহ করেন না কেন আল্লাহ আমাদেরকে সব ছোট ও বড় গোনাহ থেকে তওবা করার সুযোগ দিয়েছেন।আসুন আমরা আল্লাহ এই অশেষ নিয়ামত তওবা কে নিজেদের জীবনে কাজে লাগাই।খাটি মুসলিম হয়ে যায়।
-
সুরা আত তাহরীম ৮ – হে ঈমানদারগণ ,তোমরা আল্লাহর নিকট নিষ্ঠার সাথে তাওবা কর (প্রত্যাবর্তন কর)।
-
সুরা আল হিজর ৪৯ – আপনি আমার বান্দাদের জানিয়ে দিন যে, নিশ্চয় আমিই একমাত্র ক্ষমাকারী দয়ালু।
-
সুরা আল হিজর ৫০ – আর নিশ্চয়ই আমার শাস্তি হলো যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
-
সুরা হুদ ৩ – তোমরা তোমাদের প্রভূর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। অতঃপর তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তন (তাওবা) কর।
-
আহমেদ ও ইবনে মাজাহ ৬৮০২ – এ জন্যেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: অনুতপ্ত হওয়াই হলো তাওবা।
-
আহমেদ ও তিরমিযী ৬১৩২ – কেননা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট তাওবা করবে ঘড়ঘড়া উঠার পূর্বে, আল্লাহ তার তাওবা কবুল করবেন।
-
সূরা মুযযাম্মিল ৭৩:২০ – এবং তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
-
সূরা আন-নিসা ৪:১১০ – যে গুনাহ করে কিংবা নিজের অনিষ্ট করে , অতপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, করুণাময় পায়।
-
সহীহ বুখারী – রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন , রাতের শেষ সময়ে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার দিকে নাযিল হন এবং বলেন, ডাকার জন্যে কেউ আছে কি যার ডাক আমি শুনব, চাওয়ার জন্যে কেউ আছে কি যাকে আমি দেব, গুনাহ মাফ চাওয়ার কেউ আছে কি যার গুনাহ আমি মাফ করব?
-
সহীহ বুখারি, কিতাব আদ-দাওয়াত-১১/১০১ – আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ(সাঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমি দৈনিক সত্তর বার আলাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তওবা করি
(নিস্চয় ভাল কাজ মোমিন মানুষের লক্ষন।এইগুলো মানুষের কাছে পৌছে দিয়ে কিছু সওয়াবের অধিকারি হন।দয়া করে পেজটি শেয়ার করতে ভুলবেন না ভাই ও বোনেরা ধন্যবাদ )
হাদীসের নির্বাচিত ৩৫টি দোয়াসমূহ
(১) হে আল্লাহ, দৃষ্টির অন্তরালবর্তী ও দৃষ্টিগ্রাহ্য সকল বিষয়ে যেন তোমাকে ভয় করতে পারি হে আল্লাহ, যদি জীবন আমার জন্য কল্যাণকর হয়,তাহলে আমাকে জীবিত রাখ, আর যদি মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর হয় তাহলে আমাকে মৃত্যু দান কর। সেই তাওফিক প্রার্থনা করি। আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করি সত্য কথা বলার তাওফিক, খুশি ও ক্রোধ উভয় অবস্থাতেই। আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করি মিতব্যয়িতার, সচ্ছল-অসচ্ছল উভয়াবস্থায়। প্রার্থনা করি এমন নেয়ামত যা শেষ হবার নয়। প্রার্থনা করি যা চক্ষু জুড়াবে অনিঃশেষভাবে। আমি তোমার নিকট চাই তকদিরের প্রতি সন্তুষ্টি। আমি তোমার নিকট চাই মৃত্যুর পর সুখময় জীবন। আমি তোমার নিকট কামনা করি তোমাকে দেখার তৃপ্তি, আমি কামনা করি তোমার সহিত সাক্ষাৎ লাভের আগ্রহ-ব্যাকুলতা যা লাভ করলে আমাকে স্পর্শ করবে না কোন অনিষ্ট, আর আমাকে সম্মুখীন হতে হবে না এমন কোন ফেৎনার যা আমাকে পথভ্রষ্ট করতে পারে। হে আল্লাহ, তুমি আমাদেরকে ঈমানের অলংকার দ্বারা বিভূষিত কর আর আমাদেরকে বানাও পথ প্রদর্শক ও হেদায়েতের পথিক। [নাসায়ি : ৫৪/৩]
(২) হে আল্লাহ, তুমি আমার প্রভু তুমি ছাড়া কোন ইলাহ
নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ আর আমি হচ্ছি তোমার বান্দা এবং আমি আমার
সাধ্য-মত তোমার প্রতিশ্রুতিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ রয়েছি। আমি আমার কৃতকর্মের
অনিষ্ট হতে তোমার আশ্রয় ভিক্ষা করি। আমার প্রতি তোমার নিয়ামতের স্বীকৃতি
প্রদান করছি, আর আমি আমার গুনাহ-খাতা স্বীকৃতি করছি। অতএব তুমি আমাকে মাফ
করে দাও নিশ্চয়ই তুমি ভিন্ন আর কেউ গুনাহ মার্জনাকারী নেই। [বোখারি :
৫৮৩১]
(৩) হে আল্লাহ, আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি
পদস্খলন অথবা পদস্খলিত হওয়া থেকে। পথ হারিয়ে ফেলা অথবা অন্য কর্তৃক
পথভ্রষ্ট হওয়া থেকে। কারও উপর জুলুম করা থেকে অথবা কারো নির্যাতিত হওয়া
থেকে। কারও সাথে মূর্খতা-পূর্ণ আচরণ করা থেকে অথবা অন্যের মূর্খতা-জনিত
আচরণে আক্রান্ত হওয়া থেকে। [নাসায়ি : ৫৩৯১]
(৪) হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট উপকারী বিদ্যা, গ্রহণযোগ্য আমল এবং পবিত্র জীবিকা প্রার্থনা করি।[ইবনে মাজা : ৯১৫]
(৫) হে আল্লাহ! তোমার জিকির, তোমার শুকরিয়া জ্ঞাপন
করার এবং তোমার ইবাদত সঠিক ও সুন্দরভাবে সম্পাদন করার কাজে আমাকে সহায়তা
কর। [হাকিম : ৪৯৯/১]
(৬) আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মা‘বুদ নেই। তিনি
এক তাঁর কোন শরিক নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা মাত্রই তাঁর। তিনি সকল
কিছুর উপর ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ! তুমি যা প্রদান কর তা বাধা দেয়ার কেহই
নেই, আর তুমি যা দেবে না তা দেয়ার মত কেহ নেই। তোমার গজব হতে কোন
বিত্তশালী বা পদমর্যাদার অধিকারীকে তার ধন-সম্পদ বা পদমর্যাদা রক্ষা করতে
পারে না।[বোখারি : ৭৯৯]
(৭) হে আল্লাহ! আমি আশ্রয় চাচ্ছি কৃপণতা থেকে এবং
আশ্রয় চাচ্ছি কাপুরুষতা থেকে। আর আশ্রয় চাচ্ছি বার্ধক্যের চরম পর্যায়
থেকে। দুনিয়ার ফিতনা-ফাসাদ ও কবরের আজাব হতে। [বোখারি : ৫৮৮৮]
(৮) হে আল্লাহ, আমি আমার নিজের উপর অনেক বেশি জুলুম
করেছি আর তুমি ছাড়া গুনাহ্সমূহ কেহই মাফ করতে পারে না। সুতরাং তুমি তোমার
নিজ গুনে মার্জনা করে দাও এবং আমার প্রতি তুমি রহম কর। তুমি তো
মার্জনাকারী ও দয়ালু। [বোখারি : ৫৮৫১]
(৯) হে আল্লাহ! আমার অন্তরে তাকওয়া প্রদান কর, তাকে পবিত্র কর। তুমি তার উত্তম পবিত্রকারী, তার অভিভাবক ও মনিব। [মুসলিম : ২০৮৮/৪]
(১০) হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতের
নিরাপত্তা কামনা করছি। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আমার দ্বীন ও
দুনিয়া, পরিবার ও সম্পদ বিষয়ে ক্ষমা ও নিরাপত্তা কামনা করছি। হে আল্লাহ!
তুমি গোপন ব্যাপারগুলো আচ্ছাদিত করে রাখো। ভয়-ভীতি থেকে আমাকে নিরাপত্তা
দাও। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে নিরাপদে রাখ, আমার সম্মুখের বিপদ হতে, পশ্চাতের
বিপদ হতে, ডানের বিপদ হতে, বামের বিপদ হতে আর ঊর্ধ্ব দেশের গজব হতে। তোমার
মহত্ত্বের দোহাই দিয়ে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি আমার নিম্নদেশ
হতে আগত বিপদে আকস্মিক মৃত্যু হতে। [আবু দাউদ : ৪৪১২]
(১১) হে আল্লাহ! তুমি ঈমানকে আমাদের নিকট সুপ্রিয় করে
দাও, এবং তা আমাদের অন্তরে সুশোভিত করে দাও। কুফর, অবাধ্যতা ও পাপাচারকে
আমাদের অন্তরে ঘৃণিত করে দাও, আর আমাদেরকে হেদায়েত প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত
করে নাও। হে আল্লাহ! আমাদেরকে মুসলমান হিসেবে মৃত্যু দাও। আমাদের মুসলমান
হিসেবে বাঁচিয়ে রাখ। লাঞ্ছিত ও বিপর্যস্ত না করে আমাদেরকে সৎকর্মশীলদের
সাথে সম্পৃক্ত কর। [আহমদ : ১৪৯৪৫]
(১২) হে আল্লাহ! তোমারই রহমতের আকাঙ্ক্ষী আমি। সুতরাং
এক পলের জন্যও তুমি আমাকে আমার নিজের আমার নিজের উপর ছেড়ে দিয়ো না। তুমি
আমার সমস্ত বিষয় সুন্দর করে দাও। তুমি ভিন্ন প্রকৃত কোন মা‘বুদ নেই। [আবু
দাউদ : ৪৪২৬]
(১৩) আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মা‘বুদ নেই, যিনি
সহনশীল, মহীয়ান। আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মা‘বুদ নেই, যিনি সুমহান আরশের
প্রতিপালক। আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মা‘বুদ নেই। তিনি আকাশমণ্ডলীর
প্রতিপালক, জমিনের প্রতিপালক এবং সুমহান আরশের প্রতিপালক।[আহমদ : ৩২৮৬]
(১৪) হে আল্লাহ! তুমিই প্রথম, তোমার পূর্বে কিছু নেই।
তুমিই সর্বশেষ, তোমার পরে কিছু নেই। তুমি প্রকাশ্য, তোমার উপরে কিছুই নেই।
তুমি অপ্রকাশ্য, তোমার চেয়ে নিকটবর্তী কিছুই নেই; তুমি আমার ঋণ পরিশোধ করে
দাও, আমাকে দারিদ্র্যমুক্ত করে সম্পদশালী বানাও। [মুসলিম : ৪৮৮৮]
(১৫) হে আল্লাহ! সমস্ত প্রশংসা তোমার জন্য। তুমি
আকাশমণ্ডলী-পৃথিবী ও এর মধ্যকার সকল কিছুর নূর। সমস্ত প্রশংসা তোমার জন্যই।
তুমি আকাশমণ্ডলী-পৃথিবী ও এর মধ্যকার সকল কিছুর রক্ষক। সকল প্রশংসা
তোমার, তুমি আকাশমণ্ডলী-পৃথিবী ও এর মধ্যকার সকল কিছুর প্রতিপালক। তুমি
সত্য, তোমার প্রতিশ্রুতি সত্য। তোমার বাণী সত্য। তোমার দর্শন লাভ সত্য।
জান্নাত সত্য। জাহান্নাম সত্য। নবিগণ সত্য। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম সত্য। কেয়ামত সত্য।[বোখারি : ৫৮৪২]
اَ
(১৬) হে আল্লাহ! তোমার কাছে আত্মসমর্পণ করলাম। তোমার উপর ভরসা করলাম। তোমার প্রতি ঈমান আনলাম। তোমার দিকে প্রত্যাবর্তন করলাম। তোমাকে কেন্দ্র করে বিবাদে লিপ্ত হলাম। তোমার নিকট বিচার ফয়সালা সোপর্দ করলাম। অতঃপর আমাকে ক্ষমা কর, যা আগে করেছি এবং যা পরে করব, যা প্রকাশ্যে করেছি এবং যা গোপনে করেছি। তুমিই আমার মা‘বুদ। তুমি ব্যতীত সত্যিকার কোন মা‘বুদ নেই।[বোখারি : ৫৮৪৩]
اَ
(১৬) হে আল্লাহ! তোমার কাছে আত্মসমর্পণ করলাম। তোমার উপর ভরসা করলাম। তোমার প্রতি ঈমান আনলাম। তোমার দিকে প্রত্যাবর্তন করলাম। তোমাকে কেন্দ্র করে বিবাদে লিপ্ত হলাম। তোমার নিকট বিচার ফয়সালা সোপর্দ করলাম। অতঃপর আমাকে ক্ষমা কর, যা আগে করেছি এবং যা পরে করব, যা প্রকাশ্যে করেছি এবং যা গোপনে করেছি। তুমিই আমার মা‘বুদ। তুমি ব্যতীত সত্যিকার কোন মা‘বুদ নেই।[বোখারি : ৫৮৪৩]
(১৭) হে আল্লাহ! তুমি তোমার হারাম বস্তু হতে বাঁচিয়ে
তোমার হালাল বস্তু দিয়ে আমার প্রয়োজন মিটিয়ে দাও। এবং তোমার অনুগ্রহ
দ্বারা সমৃদ্ধ করে তুমি ভিন্ন অন্য সবার থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী করে
দাও।[তিরমিজি : ৩৪৮৬]
(১৮) হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় চাচ্ছি জাহান্নামের
আজাব হতে, কবরের আজাব হতে, মসিহ দজ্জালের ফিতনা হতে এবং জীবন মৃত্যুর ফেনা
হতে। [মুসলিম : ৯৩০]
(১৯) হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি, আমি
সাক্ষ্য দিই যে- তুমিই আল্লাহ। তুমি ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। তুমি একক
অদ্বিতীয়। সকল কিছুই যার মুখাপেক্ষী। যিনি জন্ম দেন নাই এবং জন্ম নেন নাই
এবং যার সমকক্ষ কেউ নেই।[তিরমিযি : ৩৩৯৭]
(২০) হে আল্লাহ! আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি বিপদের কষ্ট, নিয়তির অমঙ্গল, দুর্ভাগ্যের স্পর্শ ও বিপদে শক্রর উপহাস হতে। [বোখারি : ৫৮৭১]
(২১) হে আল্লাহ! আমি সকল বিরোধ, মুনাফেকি এবং বদ চরিত্র হতে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। [বোখারি : ৫৩৭৬]
(২২) হে আল্লাহ! আমার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দাও ছোট গুনাহ, বড় গুনাহ, প্রকাশ্য ও গোপন গুনাহ, আগের গুনাহ, পরের গুনাহ। [মুসলিম : ৭৪৫]
(২৩) হে আল্লাহ! তুমি যাদেরকে হেদায়েত করেছ, আমাকে
তাদের অন্তর্ভুক্ত কর। তুমি যাদেরকে নিরাপদ রেখেছ আমাকে তাদের দলভুক্ত কর।
তুমি যাদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছ, আমাকে তাদের দলভুক্ত করো। তুমি আমাকে যা
দিয়েছ তাতে বরকত দাও। তুমি যে অমঙ্গল নির্দিষ্ট করেছ তা হতে আমাকে রক্ষা
করো। কারণ তুমিই তো ভাগ্য নির্ধারণ কর। তোমার উপরে তো কেউ ভাগ্য নির্ধারণ
করার নেই। তুমি যার অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছ, সে কোন দিন অপমানিত হবে না এবং
তুমি যার সাথে শত্রুতা করেছ, সে কখনো সম্মানিত হতে পারে না। হে আমাদের
প্রভু! তুমি বরকতপূর্ণ ও সুমহান। [তিরমিযি : ৪২৬]
(২৪) হে আল্লাহ! তোমার কাছে আত্মসমর্পণ করলাম। তোমার
প্রতি ঈমান আনলাম। তোমার উপর ভরসা করলাম। তোমার দিকে প্রত্যাবর্তন করলাম।
তোমার উদ্দেশ্যে বিবাদে লিপ্ত হলাম। তোমার নিকট বিচার ফয়সালার ভার সোপর্দ
করলাম। অতঃপর তুমি আমাকে ক্ষমা কর, যা আগে করেছি ও পরে করব, যা প্রকাশ্যে
করেছি ও যা গোপনে করেছি। এবং যে বিষয়ে আমার থেকেও তুমি অধিক অবহিত আছ।
তুমিই আমার মা’বুদ তুমি ব্যতীত প্রকৃত কোন মা’বুদ নেই। [বোখারি : ৫৮৪২]
(২৫) হে আল্লাহ! তুমি আমার অন্তর আলোকময় কর। আমার
কর্ণ আলোকময় কর। আমার চোখ জ্যোতির্ময় কর। আমার সম্মুখ আলোকময় কর। আমার
পশ্চাৎ আলোকময় কর। আমার ডানে, আমার বামে, আমার সামনে, আমার পিছনে জ্যোতি
ছড়িয়ে দাও। আমার নূরকে তুমি বৃহদাকার করে দাও। হে বিশ্ব জাহানের
প্রতিপালক। [মুসলিম : ১২৭৯]
(২৬) হে আল্লাহ! তোমারই রহমতের আকাঙ্ক্ষী আমি, সুতরাং
তুমি এক পলক পরিমাণ সময়ের জন্যও আমাকে আমার নিজের উপর ছেড়ে দিয়ো না।
তুমি আমার সমস্ত বিষয় সুন্দর করে দাও। তুমি ভিন্ন প্রকৃত কোন মা’বুদ নেই।
[আবু দাউদ : ৪৪২৬]
(২৭) হে আল্লাহ! আমি তোমার বান্দা, তোমারই এক বান্দার
পুত্র আর তোমার এক বান্দির পুত্র। আমার ভাগ্য তোমারই হাতে। আমার উপর তোমার
নির্দেশ কার্যকর। আমার প্রতি তোমার ফয়সালা ইনসাফপূর্ণ। আমি সেই সমস্ত
নামের প্রত্যেকটির বদৌলতে, যে নাম তুমি নিজের জন্য নিজে রেখেছ,অথবা তোমার
যে নাম তুমি তোমার কিতাবে নাজিল করেছ, অথবা তোমার সৃষ্ট জীবের মধ্যে কাউকে
যে নাম শিখিয়েছ, অথবা স্বীয় ইলমের ভাণ্ডারে নিজের জন্য সংরক্ষণ করে
রেখেছ, তোমার নিকট এই কাতর প্রার্থনা জানাই-তুমি কুরআন মাজিদকে আমার
হৃদয়ের প্রশান্তি, আমার বক্ষের জ্যোতি,আমার চিন্তা-ভাবনার অপসারণকারী এবং
উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার বিদূরণকারীতে পরিণত কর। [আহমদ : ৩৫২৮]
(২৮) হে অন্তর সমূহের পরিবর্তনকারী! তোমার দ্বীনের উপর আমার অন্তরকে অবিচল রাখ। [তিরমিযি : ৩৪৪৪]
(২৯) হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে কল্যাণময় সকল বিষয় কামনা করি, কল্যাণের আগত ও অনাগত বিষয়গুলো; যা আমি জানতে পেরেছি এবং যা আমি
জানতে পারিনি। আর আমি তোমার আশ্রয় কামনা করছি সকল প্রকার অনিষ্ট হতে, অনিষ্টের আগত ও অনাগত সকল বিষয় হতে, যা আমি জানতে পেরেছি এবং যা আমি জানতে পারিনি। [ইবনে মাজা : ৩৮৩৬]
জানতে পারিনি। আর আমি তোমার আশ্রয় কামনা করছি সকল প্রকার অনিষ্ট হতে, অনিষ্টের আগত ও অনাগত সকল বিষয় হতে, যা আমি জানতে পেরেছি এবং যা আমি জানতে পারিনি। [ইবনে মাজা : ৩৮৩৬]
(৩০) হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় কামনা করছি অসার
জ্ঞান হতে, অশ্রুত দো’আ হতে, এবং এমন প্রবৃত্তি হতে যা পরিতৃপ্ত হয়
না, এমন অন্তর হতে যা বিগলিত হয় না। [মুসলিম : ৪৮৯৯]
(৩১) হে আল্লাহ! তুমি আমাকে সকল ঘৃণিত স্বভাব, অবাঞ্ছিত আচরণ, কুপ্রবৃত্তির তাড়না ও রোগ-ব্যাধি হতে দূরে রাখ। [তিরমিযি : ৩৫১৫]
(৩২) হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে
হেদায়েত, তাকওয়া, চারিত্রিক পবিত্রতা, সম্পদের প্রাচুর্য এবং সে কাজ করার
সামর্থ্য কামনা করি যা তুমি পছন্দ কর ও যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও। [মুসলিম :
৪৮৯৮]
(৩৩) হে আল্লাহ! আমাকে ইসলাম সহকারে দাঁড়ানো অবস্থায়
এবং বসা অবস্থায় তথা সর্বাবস্থায় হেফাজত কর। আমার ক্ষেত্রে আমার কোন
শত্রু,আমার কোন নিন্দুক বা হিংসুক খুশি হয়ে উপহাস করতে পারে এমন কোন কাজ
করনা। [সহিহ জামেউস সগীর : ১২৬০]
(৩৪) হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে কামনা করছি সেসব
কল্যাণ ও মঙ্গল যার ভাণ্ডার তোমার হাতে। আর তোমার কাছে আশ্রয় কামনা করছি
সেসব অনিষ্ট ও ক্ষতি হতে, যার ভাণ্ডারও তোমার হাতে। [বোখারি : ১৬৩/৭]
(৩৫) হে আমাদের রব! তুমি আমাদিগকে দুনিয়া ও আখেরাতে মঙ্গল দান কর। আর জাহান্নামের শাস্তি হতে আমাদের রক্ষা কর
দোওয়া ও আমল