হাদিস শাস্ত্রের কতিপয় পরিভাষা[১]: সনদ: হাদিসের মূল কথাটুকু যে সূত্র ও যে বর্ণনা পরম্পরায় সংগ্রহ ও সংকলনকারী পর্যন্ত পৌঁছেছে, তাকে হাদিসের পরিভাষায় সনদ বলে। ইসনাদ: মুখে মুখে হাদিসের সনদ আবৃত্তি করাকে ‘ইসনাদ’ বলে। মতন: সনদ বাদে মূল কথা ও তার শব্দসমূহ হচ্ছে ‘মতন’। রাবী: হাদিস বর্ণনাকারীকে ‘রাবী’ বলে। মুহাদ্দিস: যিনি
হাদিসশাস্ত্রে পণ্ডিত, হাদিসের চর্চা করেন এবং বহু সংখ্যক হাদিসের সনদ, মতন সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান রাখেন তাকেই মুহাদ্দিস বলে। মুতাওয়াতির: যে হাদিসের সনদের বর্ণনাকারীদের সংখ্যা এত অধিক যে,তাঁদের সম্পর্কে মিথ্যা হাদিস রচনার অভিযোগ আনা অসম্ভব বলে মনে হয়, এই ধরনের হাদিসকে ‘হাদীসে মুতাওয়াতির’ বলে। গরিব: কোনো বিশুদ্ধ
হাদিসের যদি বর্ণনাকারী একজন হন তবে তাকে গরিব হাদীস বলে । হাদিসে কুদসী: যে হাদিসের মূল কথা সরাসরি আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে সেই হাদিসকেই ‘হাদিসে কুদসী’ বলে। আল্লাহ, তাঁর শেষ বাণীবাহক (নবী ও রাসূল) মুহাম্মদকে [স.] ওহী অথবা স্বপ্নযোগে এই মূলকথাগুলি জানিয়ে দিয়েছেন।
হাদিসশাস্ত্রে পণ্ডিত, হাদিসের চর্চা করেন এবং বহু সংখ্যক হাদিসের সনদ, মতন সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান রাখেন তাকেই মুহাদ্দিস বলে। মুতাওয়াতির: যে হাদিসের সনদের বর্ণনাকারীদের সংখ্যা এত অধিক যে,তাঁদের সম্পর্কে মিথ্যা হাদিস রচনার অভিযোগ আনা অসম্ভব বলে মনে হয়, এই ধরনের হাদিসকে ‘হাদীসে মুতাওয়াতির’ বলে। গরিব: কোনো বিশুদ্ধ
হাদিসের যদি বর্ণনাকারী একজন হন তবে তাকে গরিব হাদীস বলে । হাদিসে কুদসী: যে হাদিসের মূল কথা সরাসরি আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে সেই হাদিসকেই ‘হাদিসে কুদসী’ বলে। আল্লাহ, তাঁর শেষ বাণীবাহক (নবী ও রাসূল) মুহাম্মদকে [স.] ওহী অথবা স্বপ্নযোগে এই মূলকথাগুলি জানিয়ে দিয়েছেন।
শিয়া দষ্টিভঙ্গি
শিয়া দৃষ্টিভঙ্গিতে ছয়জন প্রসিদ্ধ হাদিস সংগ্রাহককে এতটা মূল্যায়ন
করা হয় না। শিয়া মতানুসারে পাঁচজন প্রসিদ্ধ হাদিস সংগ্রাহক রয়েছেন। এদের
মধ্যে প্রথম চারজন সবচেয়ে প্রসিদ্ধ:
- উসুল আল-কাফি
- আল-ইসতিবাসার
- আল-তাহজিব
- মুন লা ইয়াহ্দুরুহু আল-ফাকিহ
- নাহ্য আল-বালাগা
ইবাদি দৃষ্টিভঙ্গি
ইবাদি মত মূলত আরব রাষ্ট্র ওমানে
প্রচলিত। এই মতে সুন্নিদের অনুসৃত কিছু হাদিস গ্রহণ করা হয়, আবার
অনেকগুলোই গ্রহণ করা হয় না। হাদিস গ্রহণের ব্যাপারে তাদের নিজস্ব মত
রয়েছে। সুন্নিরা বিপুল সংখ্যক হাদিস গ্রহণ করেছেন যা ইবাদিরা করেননি।
তাদের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ এবং একচেটিয়া হাদিস গ্রন্থ হচ্ছে:
- আল-জামি আল-সহিহ্[১] - যার অপর নাম মুসনাদ আল-রাবি ইবন হাবিব। আবু ইয়াকুব ইউসুফ ইবন ইবরাহিম আল-ওয়ারিজলানি এই গ্রন্থ সংকলন করেছেন।
[সম্পাদনা]
অমুসলিম দৃষ্টিভঙ্গি
ইসলামের প্রায় সকল হাদিস যখন সংকলন শেষ হয় তার পরপরই পাশ্চাত্য জগতের সাথে মুসলিমদের মূল বিরোধ এবং সংযোগ শুরু হয়। একদিকে যেমন ক্রুসেডের
মাধ্যমে সম্পর্ক দিনে দিনে বিরূপ আকার ধারণ করছিল অন্যদিকে আবার তেমনই একে
অপরকে বোঝার চেষ্টা করছিল। পাশ্চাত্যে প্রথমে কুরআনের অনুবাদ করা হয়। এর
অনেক পরে কতিপয় চিন্তাবিদ হাদিস এবং ইসলামী আইনশাস্ত্রসহ অন্যান্য বিষয়ে
আগ্রহী হয়ে উঠেন। বর্তমান কালের কয়েকজন বিখ্যাত অমুসলিম হাদিস বিশেষজ্ঞ
হচ্ছেন:
- হার্বার্ট বার্গ, The Development of Exegesis in Early Islam (২০০০)
- ফ্রেড এম. ডোনার, Narratives of Islamic Origins (১৯৯৮)
- উইলফ্রেড মেডিলাং, Succession to Muhammad (১৯৯৭)
[সম্পাদনা
more coming soon inshaAllah